ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

মারুফ রায়হান

ঢাকার দিনরাত

প্রকাশিত: ০৫:৩৮, ১৫ ডিসেম্বর ২০১৫

ঢাকার দিনরাত

গতকাল পেরিয়ে এলাম শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস। আগামীকাল মহান বিজয় দিবস। এ এক আবেগমথিত সময়। কান্না আর হাসি মেশানো যুগপৎ মৌন ও মুখর সময়। একদিকে শোক, অপরদিকে উৎসবÑ আশ্চর্য এক মিশ্র অনুভূতিতে আপ্লুত হওয়া। তবু এরই মাঝে আমাদের উচ্চারণ করতে হবে কিছু জরুরী কথা। শহীদ বুদ্ধিজীবীদের তাৎপর্যপূর্ণ স্মরণের প্রয়োজন। কেননা স্মরণকেও আমরা আনুষ্ঠানিকতার প্রলেপে মুড়িয়ে দিয়েছি। আমাদের ভেতর জাতিগতভাবেই সম্ভবত দেখানেপনা আছে। আর হাহাকার, হাহুতাশ, বাষ্পরুদ্ধ হয়ে পড়া, চোখ থেকে দু’ফোঁটা অশ্রু ফেলে আত্মশ্লাঘা অনুভব আমাদের মজ্জাগত হয়ে পড়েছে। ভাষা আন্দোলনের সেই বিখ্যাত গানটির দিকেই ফিরে তাকান। পুরো গানটা আমরা গাই না। ওই গানের একটা অংশ অশ্রুভারাতুর, অন্য অংশে মশাল জ্বালার অঙ্গীকার। নাগিনীদের জেগে উঠে বসুন্ধরাসুদ্ধ কাঁপিয়ে দেয়ার দ্রোহের দিকটি উপেক্ষা করে ‘আমি কি ভুলিতে পারি’ বলে মনটাকে কান্নার দলার ভেতর মুচড়ে দিতেই আমাদের স্বস্তি। দৃষ্টি আকর্ষণ করলে গানটির রচয়িতা স্বয়ং আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী আমাকে তার চমৎকার উত্তর দিয়েছিলেন দু’দশক আগে। বলেছিলেন, ‘একুশে ফেব্রুয়ারির যে একটা বিদ্রোহাত্মক দিক আছে, কোন সরকারই চান না সেটা থাকুক। তারা এটাকে প্রথাগত উৎসবে রূপান্তরিত করেছেন। একুশের ভেতরে আসলেই যে উদ্দীপনার স্পন্দন ছিল, সেটা এখন নেই। এটা একটা উৎসব। এটার যে একটা স্বকীয়তা ছিল ষাটের দশক পর্যন্ত, এখন আর সেটা নেই। এর অন্তর্গত বিদ্রোহ সুকৌশলে এভয়েড করা হয়েছে।’ শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার দিকে তাকিয়ে দেখুনÑ সেখানে শোকের কথাই বহুল উচ্চারিত। কে কত বেশি শোকাতুর করে তুলবেন গোটা বিষয়ে, তারই এক সূক্ষ্ম প্রতিযোগিতা। নিশ্চয়ই ১৪ ডিসেম্বর আমাদের শোকের একটি দিন। এত বড় বর্বরতা আর কোন জাতির ওপর চাপিয়ে দিয়েছে কে কবে? সেকথা সবিস্তারে আমরা নিশ্চয়ই তুলে ধরব নতুন প্রজন্মের কাছে। কিন্তু জাতির সেরা সন্তানদের অবদানের দিকগুলোকে কেন আমরা এড়িয়ে যাব? স্বাধীনতার পরপর ১৯৭২ সালে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের জেলাওয়ারি একটি হিসাব প্রকাশিত হয় যা বাংলা উইকিপিডিয়ায় তুলে ধরা হয়েছে। খেয়াল করে দেখবেন সেখানে কোন সাহিত্যিক শহীদ বুদ্ধিজীবী লেখক-তালিকায় আলাদাভাবে অন্তর্ভুক্ত হননি। সেখানে ৯৯১ জন শিক্ষাবিদের নাম আছে। এমনকি সাংবাদিক, চিকিৎসক, আইনজীবীদের পেশাটিও স্বতন্ত্রভাবে চিহ্নিত। ‘অন্যান্য’ হিসেবে এসেছে শহীদ সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, শিল্পী ও প্রকৌশলীদের নাম। ওই তালিকা থেকে কেবলমাত্র লেখকদের নাম আলাদা করতে গেলে কাজটা সহজ হয় না। এটা প্রথম সমস্যা। এর পরেই আমাদের যা বলা জরুরী সেটা হলো শহীদ লেখক বা সাহিত্যিকদের রচনাসম্ভার পাঠকের কাছে সহজলভ্য করা। সেইসব লেখা নিয়ে আলোচনার সূত্রপাত করা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের হত্যা করে বিশ্ববিদ্যালয়কে শিক্ষকশূন্য, জাতিকে মনন-প্রতিবন্ধী করার দুরভিসন্ধি তো ছিলই পাকিস্তানী শাসকচক্রের। ঈর্ষা, পরশ্রীকাতরতাই এর নেপথ্য কারণÑ বিষয়টি এত সরল নয়। এ এক গভীর জাতিবিদ্বেষ। ভাষাবিদ্বেষ। সাহিত্যবিদ্বেষ। যে ক’জন সাহিত্যিককে ১৪ ডিসেম্বরে জীবন থেকে সরিয়ে দেয়া হয়েছিল তাঁরা প্রত্যেকেই ছিলেন সমাজের অগ্রসর সাহিত্যিক। মুনীর চৌধুরীর মতো নাট্যকার সেই বায়ান্নোর ভাষা আন্দোলন-পরবর্তী সময় থেকেই পশ্চিম পাকিস্তানীদের কাছে ছিলেন চক্ষুশূল। তাঁর কবর নাটকটি প্রতিবাদের এক আশ্চর্য নাট্যসৃষ্টি। নাটকটি তৎকালীন শাসকগোষ্ঠীকে অনেক বিব্রত করেছে। সমাজে সাধারণ মানুষের কাছে নাটকের মাধ্যমে বক্তব্য সহজেই সঞ্চারিত করা যায়। অত্যন্ত শক্তিশালী জনমত গঠন এবং একই সঙ্গে বিনোদনে সক্ষম এক শিল্পমাধ্যমের পুরোধা ব্যক্তিত্বকে সরানো নরঘাতকদের জন্যে জরুরী হয়ে উঠেছিল। মুনীর চৌধুরীর অল্প কিছু রচনা আলোচনার পাদপ্রদীপের আলোয় নিয়ে আসা হয়েছে স্বাধীনতার পর। পাঠ্য বইয়ের বাইরে তিনিও ব্যাপকভাবে পঠিত ও আলোচিত হননি। স্বাধীন দেশে জহির রায়হান নিখোঁজ হয়েছিলেন। এতে বিন্দুমাত্র সংশয়ের অবকাশ নেই যে ১৪ ডিসেম্বরের অসমাপ্ত পরিকল্পনাটির এক ধরনের আপাত সমাপ্তি ঘটে জহির রায়হানকে সরিয়ে ফেলার ভেতর দিয়ে। জহির রায়হানের ক্ষেত্রেও আমরা দেখব তাঁর চলচ্চিত্র বহুল প্রদর্শিত, আলোচিত। সে তুলনায় তার সাহিত্যকর্ম প্রায় উপেক্ষিত। এটা কি আমাদের উদাসীনতা, নাকি সচেতন উপেক্ষা? জহির রায়হানের অগ্রজ শহীদুল্লা কায়সারের দুটি উপন্যাস সারেং বউ ও সংশপ্তক। সারেং বউ সিনেমা হয়েছিল, সংশপ্তক ধারাবাহিক টিভি নাটক। এ দুটোর দর্শক মিলেছে অনেক, উপন্যাসের পাঠক সে তুলনায় নগণ্য। একাত্তরে যেসব লেখক শহীদ হয়েছিলেন তাঁদের সেরা রচনাগুলো মলাটবন্দী হয়ে আজকের প্রজন্মের পাঠকের হাতে তুলে দেয়া দরকার। শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি প্রকৃত সম্মান জানাতে হলে অবশ্যই আমাদের পাঠ করতে হবে তাঁদের সৃষ্টিসম্ভার। শীত মানে বহুমুখী উৎসব জীবনানন্দ দাশ শীতের কথা বলতে গিয়ে ‘শীতরাত’ কবিতায় কী ভীষণ সত্যোচ্চারণই না করেছেন : ‘এইসব শীতের রাতে আমার হৃদয়ে মৃত্যু আসে’। এতে দার্শনিকতা আছে। কিন্তু গোটা কবিতা যখন পড়ি তখন এক ব্যাপক গভীর গহিন মৃত্যু আমাদের গ্রাস করতে চায়। শীতের পরেই আছে বসন্ত; মাঘের বাগধারার পরে ফালগুনের ফুলের সৌগন্ধ। জীবনানন্দ যেন এই পুনপুন আবর্তনকে ব্যঙ্গ করে যান এই ভাবেÑ ‘এদিকে কোকিল ডাকছেÑ পউষের মধ্যরাতে;/ কোনো একদিন বসন্ত আসবে বলে? / কোনো একদিন বসন্ত ছিল তারই পিপাসিত প্রচার?’ জীবনের চূড়ান্ত গন্তব্য তবে শূন্যতায়, অমোঘ মৃত্যুতে। শীতরাতই সে ধ্রুব সত্যকে আমাদের সামনে নিয়ে আসতে সমর্থ। এই কবিতার শেষটা ভীষণ ভয়ার্ত। কবি জানাচ্ছেন, অরণ্যকে আর পাবে না সিংহ, খসে পড়া কোকিলের খসে পড়া গান পাহাড়ে নিস্তব্ধ! উপসংহারে পৃথিবীর উদ্দেশে বলছেন, হে পৃথিবী, হে বিপাশামদির নাগপাশ,Ñ তুমি পাশ ফিরে শোও, কোনোদিন কিছু খুঁজে পাবে না আর। শীতের মৃত্যুচুম্বিত রাতগুলো নিয়ে আর কী সত্য আমাদের জানা বাকি রইল, বলুন? তবে ঢাকাবাসী কেবল নয়, গোটা দেশেই শীতে চলে বহুমুখী উৎসব। কবি যাই বলুন, শীত অনেকের হৃদয়েই উষ্ণতা ছড়ায়। অবশ্য আজ পৌষ মাস শুরু হলেও শীতের দাপট দেখা যাচ্ছে না। তবে অন্তত এক মাস আগে থেকে শুরু হয়ে গেছে শীতকালীন সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড। আর পিকনিক মৌসুমও শুরু হয়ে গেছে। রাজধানীবাসী পারিবারিক ও প্রাতিষ্ঠানিকভাবে দল বেঁধে এই সময়টায় ঢাকার বাইরে যান। যদিও বনভোজনের জন্য সময় মেলে খুবই কম, মোটে আধবেলা। যাওয়া-আসাতেই সময় চলে যায়। যদিও ওই যাওয়া-আসার সময়টুকুও অনাবিল আনন্দে ভরে রাখার কম প্রয়াস থাকে না। শুক্রবারই বেছে নেয়া হয় এক্ষেত্রে। গত শুক্রবারে ধুম লেগেছিল পিকনিকের। একটি মহিলা মেডিক্যাল কলেজের পিকনিকযাত্রী বহনকারী কমপক্ষে দশটি বাস ঢাকা ত্যাগ করল উত্তর প্রান্ত দিয়ে। নিজের চোখেই দেখা। উৎসবের গন্ধ পেলে কে থাকে বসে? রাজধানীর অলিতে গলিতে এখন পিঠা খাওয়ার উৎসব। এমন কোন সড়ক নেই যার পাশে পসরা সাজিয়ে বসছে না পিঠাবিক্রেতা। চিতই আর ভাপা পিঠেÑ এ দুটো চট করে বানানো সম্ভব। রাজধানীর পিঠা বিক্রেতাদের কল্যাণে সাময়িকভাবে ঘুচে যাচ্ছে শ্রেণী দূরত্ব। রিক্সাঅলারা যেমন রিক্সা অদূরে রেখে পিঠা খেতে ভিড় জমান, তেমনি অনেক গাড়িঅলা স্যুটেড-বুটেড ভদ্রলোকও কিনে নিয়ে যান পিঠা। কয়েক হাজার দরিদ্র মানুষের ভাল উপার্জনের সুযোগ করে দেয় শীত মৌসুম। যদি বলি কোটি টাকার পিঠা বিক্রি হয় ফুটপাথে, অবিশ্বাস্য মনে হবে নাকি? দু-তিনটে মাস অবিরাম পিঠা বিক্রি হয় ফুটপাথে। একটু হিসাব করলেই আমরা বুঝব লাখো মানুষের পিঠাপ্রীতির জন্য কোটি টাকা কত সামান্য! মহান বিজয় দিবসকে সামনে রেখে কেবল রাজধানী নয়, সারাদেশেই অজস্র অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। মূলত মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক আয়োজন হলেও এসব সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে ঐতিহ্যগত এক ধরনের নবায়ন হয়ে থাকে। ভৌগোলিক অবস্থানভেদে বাঙালী সংস্কৃতির নব নব অবয়ব প্রত্যক্ষ করা গেলেও তার মূল চেতনার জায়গাটি কিন্তু অভিন্ন। বাংলার একুশ, পহেলা বৈশাখ আর ষোলোই ডিসেম্বর সাত সাগর পাড়ের বাঙালীর মনে একই অনুভূতি নিয়ে উপস্থিত হয়। বাংলাদেশের বাঙালীর কথাই এখানে বিশেষ করে বলতে চাইছি। সাধারণভাবে সংস্কৃতি বলতে অধিকাংশ মানুষই সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান মনে করে থাকেন। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও সংস্কৃতির অংশ, যদিও সংস্কৃতি একটি সামগ্রিক ধারণা। আমাদের জীবনযাপনে জীবনাচারে সংস্কৃতি নীরবে ফল্গুধারার মতো বহমান। আমাদের কথায় ও কাজে থাকে তার প্রতিফলন। তাই সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের নেপথ্যে থাকে সংস্কৃতির শেকড় থেকে পাওয়া প্রাণরস। একটি জাতির উৎকর্ষ ও সমৃদ্ধির পেছনে সংস্কৃতির থাকে বড় ভূমিকা। তাই সংস্কৃতিকে লালন করতে হয়, তার ওপর কোন আঘাত আসলে রুখে দাঁড়াতে হয়; তার বিকাশে উদ্যোগী ও সৃষ্টিশীল হতে হয়। মানুষের অন্তরে যেমন থাকে সংস্কৃতির আলোকধারা, তেমনি মানুষ সংস্কৃতি সৃজনেও ভূমিকা রাখে। সাংস্কৃতিক আয়োজন একইভাবে মানুষকে সংস্কৃতিপ্রেমী করে, সংস্কৃতি সম্পর্কে সচেতন করে। উদ্বুদ্ধ করে দেশপ্রেমে। মরণফাঁদ নালা ও ম্যানহোল উন্মুক্ত থাকার বিপদ মানুষ হাড়ে-হাড়ে বুঝছে। গত সপ্তাহে খোলা নালায় পড়ে করুণ মৃত্যু হয়েছে শিশু নীরবের। গত বছর ডিসেম্বরে প্রায় একইভাবে (পাইপে পড়ে গিয়ে) মর্মান্তিক মৃত্যু ঘটেছিল জিহাদের। সমাজের বিবেককে এসব মৃত্যু প্রবলভাবে নাড়া দিয়ে যায়। স্বাভাবিকভাবেই কর্তৃপক্ষের প্রতি বিষোদ্গার করেন মানুষ। যথাযথভাবে দায়িত্ব পালন করলে এমন দুর্ঘটনা ঘটে না। তবে সামাজিক মানুষ হিসেবে সব দায় কর্তৃপক্ষের ওপর চাপিয়ে দেয়াও কি ঠিক? আমাদেরও কি কোন দায়িত্ব নেই? শুধুমাত্র অকুস্থল চিহ্নিত করে রাখলেও পথচারী সচেতন হয়। আড়াআড়িভাবে বাঁশের কিছু খণ্ড রেখেও কোন গর্ত অনেকখানি ঢেকে ফেলা যায়। বাঁশের মাথায় লাল গামছা বেঁধে রাখলে দূর থেকে দেখে আন্দাজ করা যায় ওখানে বিপজ্জনক কিছু আছে। এটুকু পরিশ্রম ও অর্থব্যয় এলাকার সামাজিক সংগঠনগুলো করতেই পারি। রাজনৈতিক সংগঠনের কথা না হয় বাদই রাখলাম। দুই শিশুর মৃত্যু আমাদের অপরাধী করে তুলেছে। মৃত্যুফাঁদে পড়ে আর কোন শিশু যাতে অকালে হারিয়ে না যায় সেজন্য আমাদের বড়দের অবশ্য পালনীয় কর্তব্য থেকে মুখ ফিরিয়ে রাখলে চলবে না। ডিএসসিসি ও ঢাকা ওয়াসা সূত্রে জানা গেছে, শুধু ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন ও ঢাকা ওয়াসার মোট ৩২ হাজার ৫৯৮টি ম্যানহোল রয়েছে। এর মধ্যে ডিএসসিসির ১৪ হাজার ২৪০টি ও ওয়াসার ১৮ হাজার ৩৫৮টি ম্যানহোল রয়েছে। ডিএসসিসির খাতাপত্রে মাত্র ৩৪টি ও ওয়াসার রেকর্ডে মাত্র ৫৭টি ম্যানহোলের কভার নেই বলে উল্লেখ রয়েছে। কিন্তু ওই হিসাবের সঙ্গে বাস্তবতার কোন মিল নেই। সাংবাদিকরা অনুসন্ধান করে দেখেছেন অন্তত অর্ধেক ম্যানহোলই পড়ে আছে ঢাকনাবিহীন অবস্থায়। ডিসিসি ও ওয়াসা ছাড়াও বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন কোম্পানি (বিটিসিএল) ও তিতাস গ্যাস কোম্পানির ম্যানহোল রয়েছে। বিভিন্ন বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের নানা সংযোগ লাইন নির্মাণকালেও বিভিন্ন স্থানে ম্যানহোল তৈরি হয়েছে। ফকিরেরপুল, মতিঝিল, নয়াপল্টন, পুরানা পল্টন, মালিবাগ, মগবাজার, রামপুরা, বাড্ডা, বাসাবো, গোড়ান, তালতলা, শান্তিনগর, মোহাম্মদপুর, আজিমপুর, রাজারবাগ, মুগদা, জুরাইন, গোপীবাগ, শহীদবাগ, কদমতলা, সবুজবাগ, লালবাগ, শহীদ নগর, ইসলামবাগ, চকবাজার, নয়াবাজার, সূত্রাপুরসহ পুরান ঢাকার সরু অলিগলির অধিকাংশ স্থানের ম্যানহোলে ঢাকনা নেই। প্রিয় মেয়র, আপনাকেই বলছি আমরা এই কলামে ঢাকার দুই মেয়রের দৃষ্টি আকর্ষণ করে তাৎক্ষণিকভাবে সমস্যার সমাধান ও অনিয়মের সুরাহা চাইছি। এটা নিছক আমাদের অনুরোধ নয়, সমাজেরই দাবি। পুরনো ঢাকার বংশালের মাঠটি স্বাধীনতার আগে ‘পাকিস্তান মাঠ’ হিসেবে পরিচিত ছিল। এখন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের অধীনে এই মাঠ। মাঠে বালু ও ইট-পাথরের টুকরোর কারণে ঠিকমতো খেলাধুলা করা যাচ্ছে না। কয়েক দিন আগে ইটের টুকরোর ওপর পড়ে গিয়ে আহত হয়েছে আগা সাদেক লেনের এক কিশোর। এছাড়া মাঠে ধুলাবালির কারণে শ্বাসকষ্ট হয়। প্রিয় মেয়র, দ্রুত ব্যবস্থা নিন। ১৪ ডিসেম্বর ২০১৫ সধৎঁভৎধরযধহ৭১@মসধরষ.পড়স
×