ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

মুক্তিযোদ্ধা তালিকা হচ্ছে কি?

প্রকাশিত: ০৫:৩৮, ১৫ ডিসেম্বর ২০১৫

মুক্তিযোদ্ধা তালিকা হচ্ছে কি?

১৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৪ একটি শীর্ষ দৈনিকে সংবাদ প্রকাশ পেয়েছিল যে আগামী ২৬ মার্চ, ২০১৫ মুক্তিযোদ্ধা তালিকা প্রকাশ হরা হবে। বলা হয়েছে, লাল মুক্তি বার্তায় এবং ভারতীয় তালিকায় অর্থাৎ ভারতের বিভিন্ন ক্যাম্পে যারা সশস্ত্র ট্রেনিং গ্রহণ করেছিল এবং ভারতের ট্রেনিংক্যাম্পগুলোতে তালিকাভুক্ত হয়ে যুদ্ধ ক্ষেত্রে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল তাদের নাম, পিতার নাম ও স্থায়ী ঠিকানাসহ তালিকা ভারতেই তৈরি করা হয়েছিল। সেই প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত তালিকায় যাদের নাম রয়েছে তাদের তালিকা সরকারীভাবে প্রকাশ করা হবে। স্মরণ করা যেতে পারে যে, সরকারের পূর্ববর্তী আমলে মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রী ক্যাপ্টেন তাজুল ইসলামের নির্দেশে মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয় প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা প্রণয়নের ক্ষেত্রে (মার নাম, স্থায়ী ঠিকানা ইত্যাদি আরও অনেক কিছু) ডাটাবেজ তৈরিসহ বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছিল কিন্তু কার্যত ফলাফল শূন্য। গত ৪৪ বছরে অনেক আঞ্চলিক কমান্ডার ও অনেক জেলা কমান্ডার এবং মুক্তিযোদ্ধা, সরকারের স্বীকৃতি, ভাতাসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা না পেয়েই না-ফেরার দেশে চলে গেছেন। মৃত্যুবরণকারী ঐ সকল মুক্তিযোদ্ধার বেদনাভরা দীর্ঘশ্বাস এই বাংলাদেশের আকাশে-বাতাসে ভেসে বেড়াচ্ছে। এই ৪৪ বছরে কতজন মুক্তিযোদ্ধা মৃত্যুবরণ করেছেন তার একটি তালিকা হয়ত দৈনিক জনকণ্ঠ, দৈনিক ইত্তেফাক, দৈনিক যুগান্তর, দৈনিক প্রথম আলোসহ বিভিন্ন পত্রিকা থেকে পাওয়া যেতে পারে (অবশ্য যাদের মৃত্যুজনিত তথ্য পত্রিকায় দেয়া হয়েছে)। প্রতিদিনই পত্রিকার পাতা খুললে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের মৃত্যুর সংবাদ দেখতে পাওয়া যায়। এবং মুক্তিযোদ্ধাদের সংখ্যা ক্রমশই কমছে। এসব কারণে আশঙ্কা হচ্ছে পূর্ণাঙ্গ মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা প্রকাশ পাবে কি? মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যাণকামী বর্তমান সরকারের কাছে মুক্তিযোদ্ধাদের প্রত্যাশা, মুক্তিযোদ্ধারা এই বছরের ১৬ ডিসেম্বরের মধ্যে সরকারের স্বীকৃত মুক্তিযোদ্ধা সার্টিফিকেট ও আইডি কার্ড পাবেন। তবে এই মুক্তিযোদ্ধা সার্টিফিকেট ও আইডি কার্ডে সরকারের তরফ থেকে মুক্তিযোদ্ধারা কোন ধরনের সুযোগ-সুবিধা পাবেন তার সুস্পষ্ট উল্লেখ থাকতে হবে। মুক্তিযোদ্ধারা চান না তালিকা নিয়ে আর কোন দীর্ঘসূত্রতা হোক। নতুন এই তালিকা (প্রকাশের পর) অনুযায়ী মুক্তিযোদ্ধা ভাতার সরকারী ‘চেক’ মুক্তিযোদ্ধাদের দেয়া ঠিকানায় পাঠানোর বন্দোবস্ত করা হোক। সব শেষে বলতে চাই কেন এই ৪৪ বছরেও মুক্তিযোদ্ধা তালিকা প্রণয়ন করা গেল না, এই ব্যর্থতার দায়ভার কে নেবে। সৈয়দ মোহাম্মদ শাহ্ আলম লালমাটিয়া, ঢাকা।
×