ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

বন্দরে দুটি কন্টেনার আটক

ব্যাংকের জাল ডকুমেন্টে পণ্য রফতানির চেষ্টা

প্রকাশিত: ০৫:৪৬, ১৫ ডিসেম্বর ২০১৫

ব্যাংকের জাল ডকুমেন্টে পণ্য রফতানির চেষ্টা

স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম অফিস ॥ ব্যাংকের জাল ডকুমেন্টে চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে পোশাক রফতানির সময় আটক হয়েছে দুটি কন্টেনার। সোমবার দুপুরে পণ্যভর্তি কন্টেনার দুটি এছাক ব্রাদার্স ডিপোতে আটক করেন শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের কর্মকর্তারা। এদিকে, গত রবিবার রাতে চট্টগ্রাম বন্দরে দুবাই হতে আসা একটি কন্টেনার থেকে উদ্ধার করা হয়েছে একটি এয়ারগান। গোপন তথ্যের ভিত্তিতে তল্লাশি চালানো হয় কন্টেনারটিতে। শুল্ক গোয়েন্দা অধিদফতর সূত্রে জানা যায়, ঢাকার মিরপুরের সেনপাড়া এলাকার মেসার্স এসএম ডিজাইন নামের একটি প্রতিষ্ঠান ফিলিপিন্সের ম্যানিলায় রফতানি করছিল ৮ হাজার ৩৪ ডজন তৈরি পোশাক, যার মূল্য দেখানো হয় ৫২ হাজার ৮৩৪ মার্কিন ডলার। চালানটি যাচ্ছিল ম্যানিলার ডিএমডি বুটিক নামের একটি প্রতিষ্ঠানের ঠিকানায়। কিন্তু ঢাকার এই প্রতিষ্ঠানের এ ধরনের পণ্য রফতানির যোগ্যতা নেই। শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের কর্মকর্তারা গোপন তথ্যের ভিত্তিতে এছাক ব্রাদার্স ডিপোতে পণ্যভর্তি কন্টেনার দুটি আটক করেন। কাগজপত্র চেক করে দেখা যায় এক্ষেত্রে তারা সোনালী ব্যাংকের জাল ডকুমেন্ট ব্যবহার করছিল। চালান দুটি আটক করে কাস্টমস এ্যাক্ট অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতর চট্টগ্রাম অঞ্চলের উপ-পরিচালক জাকির হোসেন জানান, একই প্রতিষ্ঠান গত তিন বছরে মোট ৫১টি চালান বিদেশে রফতানি করেছে। সেগুলোও জাল ডকুমেন্টে পাঠানো হয়েছিল কি-না তা তদন্ত করে দেখা হবে। ম্যানিলায় আমদানিকারকের যে ঠিকানাটি ব্যবহৃত হয়েছে সেটিও একটি ভুয়া প্রতিষ্ঠান হয়ে থাকতে পারে। এদিকে, রবিবার রাত ১১টার দিকে চট্টগ্রাম বন্দরে আসা একটি কন্টেনার থেকে উদ্ধার করা হয় একটি এয়ারগান। দুবাই থেকে আসে এ কন্টেনারটি। জাহাজ থেকে নামিয়ে ৭নং শেডে রাখার পর গোপন তথ্যের ভিত্তিতে এতে তল্লাশি চালান শুল্ক বিভাগের কর্মকর্তারা। এ সময় উদ্ধার হয় এয়ারগানটি। কন্টেনারটি সিলগালা করে বন্দর কর্তৃপক্ষের নিরাপত্তা হেফাজতে রাখা হয়েছে।
×