ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

বিজয় দিবসে আবুল হায়াতের ‘ডায়েরি ৭১’

প্রকাশিত: ০৬:২৮, ১৫ ডিসেম্বর ২০১৫

বিজয় দিবসে আবুল হায়াতের ‘ডায়েরি ৭১’

সংস্কৃতি ডেস্ক ॥ মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে নিজের রচনায় বিশেষ নাটক নির্মাণ করেছেন দেশবরেণ্য অভিনেতা ও নির্মাতা আবুল হায়াত। নাটকের নাম ‘ডায়েরি ৭১’। নাটকের বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন তৌকীর আহমেদ, তারিন, খায়রুল আলম সবুজ প্রমুখ। নাটকটি আগামীকাল বুধবার রাত ৮-৪৫ মিনিটে এটিএন বাংলায় প্রচার হবে। মূলত একটি ডায়েরীকে কেন্দ্র করেই নির্মিত হয়েছে নাটকটি। নাটকের গল্পে দেখা যাবে সাদেক সাহেবের কাছে হঠাৎ একদিন একটা চিঠি এলো। আমার ডায়েরিটা ফেরত চাই। তিনি ভীষণ বিচলিত হন। কন্যা দোলন বাবার কাছে বিচলিত হওয়ার কারণ জানতে চাইলে বাবা বলেন, এই ডায়েরিটা অমুক গ্রামে গিয়ে রশিদা নামের এক মহিলাকে দিয়ে আয়। দোলন আর বেশিকিছু জানতে চায়নি। অসুস্থ বাবার অনুরোধ রক্ষায় গিয়ে হাজির হয় সেই গ্রামে। ডায়েরির মালিককে খুঁজে বের করে জানতে পারে-এক কাহিনী। মহীয়সী বীর নারীর কাহিনী, যাকে তার বাবা কথা দিয়েও কথা রাখেননি। তবে বাবা ডায়েরিটা পড়তে নিষেধ করার কারণে শত ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও ডায়েরিটা পড়েনি দোলন। ডায়েরিটা নিয়ে মহিলার হাতে তুলে দেন। কিন্তু যেদিন ঐ ডায়েরিটা মহিলার হাতে দেয়া হয়, সেই দিনই মহিলা মারা যান। তবে মারা যাওয়ার আগে ঐ মহিলা ডায়েরিটা তুলে দেন দোলনের হাতে। দোলনকে ডায়েরিটা দিয়ে মহিলা বলেন, এটা এখান থেকে তোমার সম্পত্তি। এবার দোলন ডায়েরিটা খুলে পড়া শুরু করেন। ডায়েরি পড়ে দোলন জানতে পারেন বাবার বিশ্বাস ভঙ্গের কাহিনী। রশিদার সঙ্গে বিশ্বাস ভঙ্গ, দেশের সঙ্গে বিশ্বাস ভঙ্গ সবই লেখা রয়েছে ডায়েরিতে। দোলন বিক্ষিপ্ত মনে রওয়ানা হয় বাবার মুখোমুখি হওয়ার জন্য। বিশ্বাস ভঙ্গের কারণ জানার জন্য। কিন্তু বাসায় ফিরে দেখে সাদেক সাহেব চলে গেছেন পরপারে! দোলন বাবার শবদেহকে ত্যাজ্য করে আঞ্জুমানে মফিদুল ইসলামে ফোন দেয়। ফোন দিয়ে বলে একজন রাজাকারের মৃত্যু হয়েছে, দেহটা পড়ে আছে, আপনারা দেহটা নিয়ে যেতে পারেন।
×