ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

আর্সেনালের সামনে ফের মেসি-আতঙ্ক

প্রকাশিত: ১৮:৩০, ১৫ ডিসেম্বর ২০১৫

আর্সেনালের সামনে ফের মেসি-আতঙ্ক

অনলাইন ডেস্ক॥ ইপিএলের এক নম্বর বনাম লা লিগার এক নম্বরের টক্কর। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোলোয় লিওনেল মেসির বার্সেলোনার মুখোমুখি আর্সেনাল। গ্রুপে দ্বিতীয় হয়ে শেষ ষোলোয় যাওয়ায় গানার্সরা প্রথম লেগে কাতালানদের বিরুদ্ধে ঘরের মাঠে খেলবে। তবে আর্সেনাল সমর্থকদের আবার ড্র দেখার পরই মাথায় হাত। পরিসংখ্যানই যে বলছে টক্করে প্রবল ভাবে ফেভারিট বার্সেলোনা। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে সাত বার মুখোমুখি লড়াইয়ে নেমে ছ’বারই হেরেছে আর্সেনাল। তার মধ্যে মেসির চার ম্যাচে একটি হ্যাটট্রিক সহ ছ’গোল রয়েছে গানার্সদের বিরুদ্ধে। ইপিএলের বাকি দুটি দল চেলসি আর ম্যাঞ্চেস্টার সিটির চ্যালেঞ্জ আবার অন্য রকম। ফের শেষ ষোলোয় চেলসিকে লড়তে হবে প্যারিস সাঁ জাঁর বিরুদ্ধে। এই নিয়ে টানা তৃতীয় বার। গত বার ইব্রাহিমোভিচরা অ্যাওয়ে গোলের সুবাদে শেষ ষোলোতেই ছিটকে দিয়েছিল চেলসিকে। তার আগের মরসুমে আবার ব্লুজ একই নিয়মে কোয়ার্টার ফাইনালে হারিয়েছিল প্যারিস সাঁ জাঁকে। কিন্তু এ বার ঘরোয়া লিগে দুরন্ত ফর্মে (১৭ পয়েন্টে এগিয়ে ফরাসি লিগে শীর্ষে) থাকা ইব্রাদের বিরুদ্ধে চেলসির চ্যালেঞ্জ তাই বেশ কঠিন। ইপিএলে আটটি হারের পর টেবলে ষোলো নম্বরে নেমে গিয়েছে জোসে মোরিনহোর টিম। অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখা আর ঘরোয়া লিগে আত্মবিশ্বাস ধরে রাখতে এই ম্যাচের উপর অনেকটা নির্ভর করতে হবে মোরিনহোদের। তবে ম্যাঞ্চেস্টার সিটির ভক্তরা প্রথম বার টিমের কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠার আশা উজ্জ্বল দেখছেন। কেন না সিটিকে শেষ ষোলোয় লড়তে হবে অপেক্ষাকৃত দুর্বল দল দিনামো কিয়েভের বিরুদ্ধে। তবে ২০১০-’১১ মরসুমে ইউরোপা লিগে কিন্তু ম্যান সিটিকে মুখোমুখি লড়াইয়ে হারিয়েছে কিয়েভ। এ বার যদিও দর্শকশূন্য ঘরের মাঠে সের্জিও আগেরোদের বিরুদ্ধে খেলতে হবে কিয়েভকে। গ্রুপ লিগে চেলসি-কিয়েভ ম্যাচে তাদের সমর্থকরা বর্ণবিদ্বেষী বিতর্কে জড়ানোয় এই শাস্তি। নক আউটে গত বারের ফাইনালিস্ট জুভেন্তাসের চ্যালেঞ্জ আবার বায়ার্ন মিউনিখের বিরুদ্ধে। এ ছাড়া সবচেয়ে বেশি হইচই হচ্ছে— ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর রিয়াল মাদ্রিদের সঙ্গে এএস রোমার লড়াই নিয়ে। রবিবার লা লিগায় ভিয়ারিয়ালের বিরুদ্ধে ০-১ হারল রিয়াল। বার্সা ড্র-য়ের সুযোগ নিতে না পারায় রোনাল্ডোরা থাকল লিগ টেবলের দ্বিতীয় স্থানে। সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা
×