ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

আজ সকালে আনন্দের আমন্ত্রণ

প্রকাশিত: ০৮:১১, ১৬ ডিসেম্বর ২০১৫

আজ সকালে আনন্দের আমন্ত্রণ

এ সকালটি আমার জীবন থেকে হারিয়ে গিয়েছিল চুয়াল্লিশ বছর আগে। আমি ও আলীম সবেমাত্র কথা সেরেছি যখনই সময় হবে যাব আত্মসমর্পণ দেখতে। ১৫ ডিসেম্বরের শেষ বিকেল। ভারতীয় মিগের স্বচ্ছন্দ বিচরণ মেঘমুক্ত নীল আকাশে। রেডিওতে জেনারেল মানেকশর অবিরাম ঘোষণা- ‘হাতিয়ার ডাল দো’। আর বাকি নেই বিজয়ের। ঠিক তখনই জমদূত হয়ে এলো সশস্ত্র তিন আলবদর। আমার সামনে থেকে আলীমকে ধরে নিয়ে গেল। বিজয়ের সকাল দেখা আর হলো না আমার। কখনও সেটি ফিরে পাব ভাবিনি। মৃত্যুর আগে এমন দিন দেখব ছিল স্বপ্নের অগোচর। মনেপ্রাণে নিবিড়ভাবে অনুভব করেছি সে আনন্দ কিন্তু কাঁটার মতো বিঁধেছে স্বামীর নির্মম হত্যার বিচার না পাওয়ার ব্যর্থতা। সবকিছু করেছি নীরবে কিন্তু বুকের পাথরচাপা দুঃখটা থেকেই গেছে। সেই গুমড়ে থাকা যন্ত্রণা থেকে আজ অনেকটাই নিষ্কৃতি পেয়েছি। আমি স্বামী হত্যার বিচার পেয়েছি। আমার মতো সকলেই পেয়েছেন। হারানো সকাল ফিরে এসেছে আমাদের জীবনে। মহান রাষ্ট্রনায়ক জননন্দিত দেশনেত্রী শেখ হাসিনা সেই অসাধ্য সাধন করেছেন। আমি প্রতিদিনের প্রতি মুহূর্ত তাকে স্যালুট করি, স্মরণ করি। তাঁর জন্য আল্লাহর কাছে প্রাণভরে দোয়া করি। দুর্বিনীত দুরাত্মা সাকা-মুজাহিদের ফাঁসিতে বিচারহীনতার অপসংস্কৃতি থেকে আমরা মুক্তি পেলাম। এর আগে আরও দুজনের ফাঁসি হয়েছে। এরপর নিজামী-মীর কাশেমের পালা। সব মিলিয়ে এ পর্যন্ত ২৪ জন যুদ্ধাপরাধী দ- পেয়েছে। আরও বাকি রয়েছে। ক্রমান্বয়ে সব যুদ্ধাপরাধীর বিচার হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন পর্যায়ক্রমে চলবে এ বিচার যতদিন পর্যন্ত একজন যুদ্ধাপরাধীও থাকবে বাংলাদেশে। আমরা এখন বিশ্বাস করি সে সুদিন আসবে বাংলাদেশে। বঙ্গবন্ধু হত্যার পর দুই যুগেরও বেশি সময় আমরা পার করেছি চরম হতাশায়। তখন ফিরে গিয়েছিলাম মধ্যযুগীয় বর্বরতার দেশে। পরাজিত শত্রু পাকিস্তানের এজেন্ডা বাস্তবায়ন শুরু করেন জিয়াউর রহমান। তাকে অনুসরণ করেন স্বৈরাচারী এরশাদ ও পাকি-বন্ধু জামায়াতের মহিলা আমির খালেদা জিয়া। তারা সকলে তাদের শাসনামলে দালাল যুদ্ধাপরাধী শাহ আজিজ, সাকা, নিজামী, মুজাহিদ, আবদুল মান্নানকে মুক্তিযোদ্ধাদের রক্তে ধোয়া সংসদে বসিয়ে, মন্ত্রী বানিয়ে শহীদদের অপমানিত ও লাঞ্ছিত করেছেন। এ অবমাননা সইতে না পেরে চরম দুঃখের অন্ধ প্রকোষ্ঠে আশ্রয় নিই। মুখ আমাদের বন্ধ থাকে। লেখনী স্তব্ধ হয়ে যায়। বঙ্গবন্ধু, জয়বাংলা, মুক্তিযুদ্ধ এমনই সব বাঙালীর ভালবাসার কথাগুলো নিষিদ্ধ হয়ে যায়। তেমনই আড়ালে চলে যায় অভিশপ্ত শব্দাবলীÑ আলবদর, আলশামস, রাজাকার, দালাল, যুদ্ধাপরাধ, বিচার ইত্যাদি। পঁচাত্তরের পর দু’মাসের মধ্যে বদলে যায় সব বইপুস্তক। ওতে মিথ্যা বিকৃত ইতিহাস স্থান করে নেয়। সুকৌশলে বাঙালীকে মুক্তিযুদ্ধ ভুলিয়ে দেয়ার পাকাপোক্ত ব্যবস্থা জিয়াউর রহমান গ্রহণ করেন। রাষ্ট্রীয় চার নীতি ভূলুণ্ঠিত হয়। পঞ্চম ও অষ্টম সংশোধনী দিয়ে সংবিধানকে কলঙ্কিত করা হয়। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের জন্য বঙ্গবন্ধুর গঠিত ৭৩টি ট্রাইব্যুনাল এবং দালাল আইন বাতিল হয়ে যায়। ১১ হাজার বন্দী যুদ্ধাপরাধী মুক্তি লাভ করে। এরপর আমাদের প্রত্যাশার জায়গায় শুধু বিরাজ করে গভীর শূন্যতা। স্বজন হারাবার দুঃখ শতগুণ বৃদ্ধি পায় বিচারহীনতার অপসংস্কৃতি এবং খুনী ধর্ষক যুদ্ধাপরাধীদের ক্ষমতায় দেখে। সেই দুঃস্বপ্নের কুটিল রাত কখনও শেষ হবে তা ভুলেও আমাদের মনে হয়নি। যে আমরা হাসতে পারিনি প্রাণ খুলে সেই আমরা আজ উচ্ছ্বসিত, উল্লসিত, নতুন করে বাঁচার স্বপ্নে বিভোর। তবুও আমরা সম্পূর্ণ শঙ্কামুক্ত নই। যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচাতে জামায়াতে ইসলামী দেশকে সম্পূর্ণভাবে অস্থিতিশীল এবং ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। তাদের পৃষ্ঠপোষকতা করতে অগাধ টাকা ঢালছে পাকিস্তান। লন্ডনে পুষছে তারেক রহমানকে আর বাংলাদেশে জামায়াত-শিবির বিএনপিকে। এই ত্রিধারার মিলিত শক্তি দেশে ঘটিয়েছে জঙ্গী উত্থান। গড়ে তুলেছে বিশাল জঙ্গী বাহিনী। তৈরি করেছে অসংখ্য জঙ্গী সংগঠনÑ হিযবুল মুজাহিদীন, হিযবুত তাহ্রীর, আনসারুল্লাহ বাংলা টিম, হামযা ব্রিগেড, আল্লাহর দল প্রভৃতি। মগজ ধোলাই করে জঙ্গীদের শুধু শেখানো হচ্ছে ‘জিহাদ’। মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা, জয়বাংলা, বাংলাদেশের পতাকা। জাতীয় সঙ্গীত, সাহিত্য সংস্কৃতি সব হারাম। হালাল শুধু চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে, গ্রেনেড বোমা ছুড়ে মানুষ হত্যা। সরাসরি বেহেশতে যাওয়ার সহজ উপায়। ১৯৪৭-এর পর আমাদের ভূখ-ে পাকিস্তানের আচরণ ছিল রক্তচোষা ভয়ঙ্কর ড্রাকুলার মতো। ওদের তেইশ বছরের শাসনকাল ছিল বৈষম্য, শোষণ, বঞ্চনা, অপসংস্কৃতি, সাম্প্রদায়িকতা, গুম, খুনের জবরমহ ড়ভ ঞবৎৎড়ৎ, সহ্যের সব সীমা ছাড়িয়ে যায় ১৯৭১-এ। সে কারণেই নিপীড়িত-নির্যাতিত অসহায় মানুষ প্রাণপ্রিয় নেতা বঙ্গবন্ধুর একটি মাত্র ডাকে ঝাঁপিয়ে পড়ে মুক্তিযুদ্ধে। মরণকে বাঙালী ভয় করেনি। পাকিস্তানীদের অত্যাচার সহ্য করার চেয়ে মৃত্যুও শ্রেয়Ñ তা ছিল সবার মনের কথা। ১৬ ডিসেম্বর বাঙালীর সব চাওয়া পূর্ণতা পায়। পূর্ব পাকিস্তানের শবের ওপর পা রেখে বিজয় তিলক পরে মাথা তুলে দাঁড়ায় স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ। ব্যর্থতার আগুনে নিক্ষিপ্ত হয় কুচক্রী পরধনহরণকারী লুটেরা ধর্মান্ধ পাকিস্তান। সে-ই থেকে জ্বলুনি পোড়ানিতে দগ্ধ হতে হতে আজ শেষ অবস্থায় এসে দাঁড়িয়েছে। এক শ’ ভাগ ব্যর্থ এ রাষ্ট্রটি অসহায় চোখে চেয়ে চেয়ে দেখছে বাংলাদেশের অনন্য অসাধারণ রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা সব ষড়যন্ত্র, বিদ্বেষ ও মিথ্যাচারের জাল ছিন্ন করে, দেশ বিদেশের হুমকি-ধমকি পায়ে দলে অপ্রতিরোধ্য বেগে এগিয়ে চলেছেন উন্নয়নের পথে। তাঁর উচ্চতা ওদের নাগালের বাইরে। তিনি আরও ঊর্ধ্বে উঠছেন ক্রমাগত। সারা বিশ্বের এক শ’ চিন্তাবিদের তালিকায় শীর্ষ দশের একজন দেশরতœ শেখ হাসিনা। তলাবিহীন ঝুড়ি বলে যারা বাংলাদেশকে একদিন তাচ্ছিল্য দেখিয়েছিল তারাই আজ স্বীকার করছে বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের রোল মডেল। প্রধানমন্ত্রীর অসংখ্য কৃতিত্বের তালিকা দীর্ঘতর হচ্ছে প্রতিদিন। যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষার সব রকম চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে অপশক্তির। সাকা মুজাহিদের ফাঁসি হতে পারে বিশ্বাস করেনি ওদের পরিবারসহ সব প্রতিক্রিয়াশীল চক্র। ফাঁসি হওয়ার পর টনক নড়েছে। এখন আরও গভীর চক্রান্তে লিপ্ত পাকিস্তান এবং জামায়াত-শিবির বিএনপি। দেশ-বিদেশের মিডিয়ায় চলছে অপপ্রচার, মিথ্যাচার। শিয়া সম্প্রদায়কে এখন টার্গেট করেছে। অন্যান্য সম্প্রদায়ও আছে এই তালিকায়। এদেশের শত শত বছরের ঐতিহ্য এ ধর্মীয় সম্প্রীতি বিনষ্ট করাই ওদের লক্ষ্য। খোদ পাকিস্তান থেকে আসছে নতুন নতুন হামলার ছক, অর্থ ও রসদ। অনেক পাকিস্তানী নাগরিক ধরা পড়ছে জাল টাকা, পাসপোর্ট, গোলাবারুদ, অস্ত্রসহ। যারা আরও ধরা পড়ছে ওদের সবাই জামায়াত-শিবির বিএনপির ক্যাডার। সন্দেহের তীর এখন যুদ্ধাপরাধীদের পরিবারের সদস্যদের দিকে ধাবিত। সাকা-মুজাহিদের প্রাণভিক্ষা বিতর্কে সাকার ছেলে হুম্মাম কাদের বলেছে, ‘সরকার এমন বহু প্রমাণ তৈরি করতে পারে। মুজাহিদের ছেলে বলেছে, ‘সরকার মিথ্যাচার করছে’। এমন রাষ্ট্র ও সরকারবিরোধী মন্তব্যের জন্য এদের গ্রেফতার করা উচিত। বিদেশে লবিস্টদের সঙ্গে যোগাযোগেও যুদ্ধাপরাধীদের সন্তানরা জড়িত। পত্রপত্রিকায় অনুসন্ধানী রিপোর্ট উঠে আসছে সব। এদের এখনই দমন করা অবশ্য কর্তব্য। পঁচাত্তরের পর থেকে বাড়তে বাড়তে এই অপরাধী চক্রের ক্ষমতা, দাপট, দম্ভ, অর্থবিত্ত গগনচুম্বী হয়েছে। এদের উত্তরসূরিগণ এখন এসবের মালিক। মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধী পিতাদের জন্য ওদের বিন্দুমাত্র লজ্জা বা অনুশোচনা নেই বরং রয়েছে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ও আক্রোশ। এরা এদেশে থাকলে সব সময় চেষ্টা করবে বাংলাদেশের ক্ষতি করতে। এটা প্রমাণিত সত্য। সাকা-মুজাহিদরা একই কাজ করেছে গত ৪৪ বছর ধরে। আমরা এর অবসান চাই। যারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সঙ্গে নিজেদের সম্পৃক্ত করতে পারবে না, যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে মেনে নিতে পারবে না তাদের এদেশে থাকার কোন অধিকার নেই। তারা কস্মিনকালেও দেশের এক বিন্দু কল্যাণ করবে না বরং ক্রমাগত চেষ্টা চালাবেÑ দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করার। অনেক প্রমাণ এ পর্যন্ত দেখা গেছে। বাংলাদেশে অগণিত মাদ্রাসা, স্কুল, কিন্ডারগার্টেন, কোচিং সেন্টার রয়েছে সেখানে অনবরত জিহাদী তৈরি করা হচ্ছে। মওদুদীবাদ শিক্ষা দিতে তার বই পড়ানো হচ্ছে। বাংলাদেশের বোর্ডের বই ওরা পড়ে না। বাংলাদেশের পতাকা ওরা ওড়ায় না, জাতীয় সঙ্গীত গাওয়া হয় না। ছোট ছোট বাচ্চাকে শেখানো হচ্ছেÑ ওসব কুফরি। ওদের বেশভূষা দেখলে মনে হয় এ দেশটা আফগানিস্তান অথবা সৌদি আরব। বাংলাদেশের শিক্ষা-সংস্কৃতি যেখানে পরিত্যাজ্য সেই প্রতিষ্ঠানগুলো কেন বন্ধ হবে না? আজ যারা চাপাতি, ছুরি দিয়ে মানুষ হত্যা করছে তারা রগকাটা, গলাকাটা জামায়াত শিবিরদেরই উত্তরসূরি। এদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপের প্রথম ধাপই হলো জামায়াত-শিবিরকে নিষিদ্ধ করা। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের রায়ের সব ক’টিতে মহামান্য আদালত বলেছেন, জামায়াত-শিবির অপরাধী সংগঠন। বঙ্গবন্ধু এদের নিষিদ্ধ করেছিলেন একই কারণে। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বকে নিষ্কণ্টক করতে হলে এই অপরাধী সংগঠনকে অবিলম্বে নির্মূল করার কোন বিকল্প নেই। একাত্তরের গণহত্যা হয়েছিল ধর্মের জিগির তুলে। এখন আর ওই অবস্থায় দেশকে ফিরিয়ে নিতে এই শত্রুরা বদ্ধপরিকর। আমরা লক্ষ করছি স্কুল-কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় হাট-বাজার, পাড়া-মহল্লায় একটি গোষ্ঠী কিশোর-কিশোরী, তরুণদের ধর্মের নানা অপব্যাখ্যা দিয়ে ধর্মোন্মাদ বানাচ্ছে। তারা চেহারাই পাল্টে ফেলেছে। অংশ নিচ্ছে নানা রকম অপরাধে। এমনকি গুপ্তহত্যাও হচ্ছে ওদের হাতেই। ধরা পড়লে ওরা বলে, আমি অনুতপ্ত নই, এটিই বেহেশতে যাওয়ার সোজা পথ। এভাবে সমাজকে ধ্বংস করার মাস্টার মাইন্ডদের উৎস খুঁজে বের করা একান্ত জরুরী। ওদের মূল উৎপাটন করতেই হবে। আমরা দ্রুত অগ্রসর হচ্ছি উন্নত দেশের স্ট্যাটাসের দিকে কিন্তু ধর্মোন্মাদনার ঘুণপোকা যদি ভেতরে ভেতরে সমাজকে বিনাশের দিকে টেনে নেয় তাহলে দুঃখের কোন শেষ থাকবে না। বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা, স্থপতি বঙ্গবন্ধু এদেশের মাটি ও মানুষকে সবচেয়ে বেশি চিনতেন, বুঝতেন। তাই তিনি রাষ্ট্রীয় মূলনীতিতে রেখেছিলেন ধর্মনিরপেক্ষতা অর্থাৎ অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ। সেই মূলনীতিকে সংবিধান থেকে বাতিল করেছেন জিয়াউর রহমান। স্বৈরাচারী এরশাদ আরও এক ধাপ এগিয়ে অসাম্প্রদায়িক সর্বধর্ম সমন্বয়ের বাংলাদেশকে ধর্মীয় রাষ্ট্র বানিয়েছেন। আজ দেখছি তার কুফল। ধর্মোন্মাদনায় আক্রান্ত শিশু-কিশোর, যুবা, তরুণ-তরুণী, আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিতরাও এর বাইরে থাকতে পারছে না। আর এই উন্মত্ততার ফোকর গলে সমাজে ঢুকে পড়ছে সন্ত্রাস-নৈরাজ্য। আমাদের সকলকে এখনই সংঘবদ্ধভাবে কাজে নামতে হবে। থামাতে হবে এ উগ্রতা। পাড়া-মহল্লা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সংস্কৃতিচর্চা বাড়াতে হবে। ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে ওঠা বিদেশী অর্থে পুষ্ট জিহাদী তৈরির কারখানাগুলো উৎখাত করতে হবে। আমাদের প্রিয়জনের রক্তে গড়া এ দেশ আমরা ধ্বংস হতে দিতে পারি না। সকল অন্যায়-অপরাধ-দুর্নীতি থেকে প্রিয় স্বদেশকে মুক্ত করার দায়িত্ব আমাদেরই। বিজয় দিবসের ঊষা লগ্নে এই হোক আমাদের অঙ্গীকার।
×