ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

সেলিনা হোসেন

কষ্ট ও বেদনার ক্ষত

প্রকাশিত: ০৮:১১, ১৬ ডিসেম্বর ২০১৫

কষ্ট ও বেদনার ক্ষত

ডিসেম্বরের চার তারিখে ভারতীয় মিগ যখন উড়ে এলো ঢাকার আকাশে, তখন আমি এলিফ্যান্ট রোডে, রিক্সায় যাচ্ছি। বিমানের শব্দে মানুষ ছুটে এসেছে ঘরের বাইরে। কারও মনে কোন ভয় নেই। স্বতঃস্ফূর্ত জনতার চোখেমুখে উল্লাস। যুদ্ধের পুরো নয় মাস দেশটা দু’দল মানুষের শহর হয়ে গেছে। একদল বীরদর্পে ঘুরে বেড়ায়। ওদের হাতে অস্ত্র, যা খুশি তা করতে পারে। পঁচিশের রাতের পর থেকেই ওরা তা করছে! একদল ওদের তাঁবেদার হয়েছে। ওদের কথায় ওঠে বসে। বিকেল হতেই শহরের রাস্তাগুলো খালি হয়ে যায়। ওরা মুক্তিবাহিনীর অপেক্ষায় থাকে। বোমার শব্দ না শুনলে ওদের সাহস ধড়ফড় করে। মনে হয় ওরা বুঝি বেঁচে নেই। গেরিলা অপারেশনের খবরে ওদের সাহস পুনরুর্জ্জীবিত হয়। এভাবেই দু’দলে ভাগ হয়ে গিয়েছিল যুদ্ধের সময়কার ঢাকার মানুষ। না শুধু ঢাকা কেন, পুরো দেশের মানুষই একদল পাকিস্তান সেনাবাহিনী, রাজাকার-আলবদর এবং তাদের দোসররা। অন্যদিকে মুক্তিবাহিনী এবং তাদের সমর্থকরা। জীবনযাপনের এই টানাপোড়েনের ভেতরে কে কোন উচ্চকিত শব্দ সচকিত করে দিত শহরবাসীকে। তাই মিগের শব্দে ভয় পাওয়া কোন ব্যাপার ছিল না। সেদিন মাথার ওপর দিয়ে উড়ে যাওয়া মিগ আমিও দেখার চেষ্টা করেছি রিক্সা থেকে মাথা বের করে। তখনি বোমা পড়ে শহরটা বিধ্বস্ত হয়ে যেতে পারে, মরে পড়ে থাকতে পারি রাস্তার ওপর এমন কোন চিন্তা মাথায়ই অসেনি। স্বাধীনতার স্বপ্ন সেদিন এমনই ছিল, এমনই প্রবল। মনে হচ্ছিল, বোমা যদি পড়ে তো পড়বেই। দেশ তো স্বাধীন হয়ে যাচ্ছে। ডিসেম্বর এলেই মনে পড়ে প্রহর গোনার কথা। প্রতিটি মুহূর্ত গুনে গুনে পার করা যেন। পঁচিশের রাতের পর থেকে জীবনকে হাতের মুঠোয় রেখে আমরা প্রহর গুনেছি। মৃত্যু কি, মৃত্যু কত রকম, কিভাবে হয়, সব আমরা জেনে গেছি। তবুও আমরা মৃত্যু-চিন্তায় কাতর দার্শনিক মানুষ হয়ে থাকিনি। কারণ আমাদের চারপাশে যোদ্ধা ছেলেরা ছিল। তখন মৃতপ্রায় এই শহরে, একমাত্র জেগে থাকা গেরিলা অপারেশনের যোদ্ধা ছেলেদের অপেক্ষায়, যারা বোমা ফাটিয়ে কাঁপিয়ে দেবে শহরটাকে, আর আমরা সে শব্দ বুকের ভেতর ধারণ করব। অথবা কানের কাছে ট্রানজিস্টার রেখে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র শুনে স্বপ্নগুলো তারার মতো ফুটিয়ে রাখা, যে তারা মৃতপ্রায় এই শহরের বুকটা আলোকিত করে। কখনও বেঁচে থাকা ছিল ফুঁসে-ওঠা। বাংলা একাডেমি অফিস ঘরে খাকি পোশাক পরা রাও ফরমান আলীকে দেখে রক্ত গরম হয়ে ওঠা বুকের ভেতরের ঝনঝন শব্দ নিয়ে তাকিয়ে থাকা। প্রয়াত কবি হুমায়ুন কবীরের হাতে মুক্তিযোদ্ধাদের সাহায্যে মাসিক চাঁদা ধরিয়ে দেয়া। এর মাঝে মন খারাপ হয়ে যেত প্রিয় কলাম ‘সংবর্ত’ লিখতে পারছি না বলে। ’৭০-এর নবেম্বরের প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড়ের পর থেকে বিভিন্ন রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে এই কলামটি লিখতাম। সাপ্তাহিক ‘ললনা’য় প্রকাশিত ‘সংবর্ত’ তখন বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিল। ১৯ মার্চ শেষ সংখ্যাটি বের হয়। এরপর আর বের হয়নি। মাঝে মাঝে মনে পড়ে সম্পাদক মুহম্মদ আখতারকে, নির্ভীক, সাহসী মানুষ। ধীরস্থির ঠা-া, সম্পাদক হিসেবে ছিলেন ইনোভেটিভ। কেমন আছেন তিনি? জানি না। কোথায় আছেন, তাও জানি না। পঁচিশের পর আর দেখা হয়নি। আমরা থাকতাম সায়েন্স ল্যাবরেটরির কলোনিতে। এলিফ্যান্ট রোডের মাঝখানে হলেও কলোনির ভেতরটা ছিল নিরিবিলি। যানবাহনের শব্দ বা সড়কের হৈচৈ এই শান্ত-স্নিগ্ধ পরিবেশে এসে পৌঁছুত না। যুদ্ধের নয় মাস কলোনির ভেতরে পাকিস্তান আর্মি ঢোকেনি। ১৪ ডিসেম্বর মনীষা বিল্ডিংয়ের একতলার বাসায় দাঁড়িয়ে আছি, দেখলাম ইপিআরটিসির লাল রঙের যাত্রীবাহী কোচ ঢুকল সায়েন্স ল্যাবরেটরি কলোনি চত্বরে। দু’বিল্ডিংয়ের মাঝখানের মাঠের ধারে দাঁড়িয়েছে গাড়ি। খাকি পোশাক পরা কয়েকজন তরুণ চটপট নেমে দৌড়ে গেল সামনের বিল্ডিংয়ে। ওখানে ড. সিদ্দিক আর ড. আমিনউদ্দিন থাকতেন। আকাশে মুহর্মুহু বিমান হামলাÑ শহরে কারফিউÑ আমাদের বাইরে বেরোনো নিষেধ। নিষেধ নয় ওদেরÑ যারা হন্তারক, ঘাতকÑ দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তানদের কলজেটি ছিনিয়ে নেয়ার জন্য ছুটোছুটি করছে শহরময়। ওরা লাল রঙের কোচে তুলে নিয়ে গেল ড. সিদ্দিক ও ড. আমিনউদ্দিনকে। এর আগে ড. সিদ্দিকের বাসায় জামায়াতীরা গিয়েছিল ইসলাম ধর্মসংক্রান্ত এবং সেই সময়ে পালীনয় কর্তব্য সম্পর্কে নানা ধরনের লিফলেট বিলি করতে। তিনি ওদের মুখের ওপর দরজা বন্ধ করে দেয়ার আগে বললেন, ‘আপনারা আমাকে ইসলাম ধর্মের কথা বলতে এসেছেন? এই মুহূর্তে চলে যান এখান থেকে। আমার স্ত্রী আমাকে ভালবেসে এ দেশে এসেছে। ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছে। এখন ধর্মের নামে আপনাদের এসব বীভৎস নিষ্ঠুর কাজ দেখে ও আবার খ্রীস্টান হয়ে যেতে চায়।’ তখন সেই দুঃসময়ের দিনগুলোতে এই কথাগুলো আমার কাছে কেমন অলৌকিক মনে হতো। ড. সিদ্দিকের স্ত্রী ছিলেন সুইডিশ। ধর্মান্তরিত হয়ে নাম নিয়েছিলেন ফাতেমা। ছেলের নাম রেখেছিলেন ওমর। ১৪ তারিখে ওদের ধরে নিয়ে যাওয়ার আগে ড. সিদ্দিক ড. আমিনউদ্দিনকে বলেছিলেন, ‘ভয়ের কিছু নেই, আমরা জয়ী হবই।’ আরও আগে বাংলা একাডেমি থেকে নিয়ে যেতে দেখেছি সরদার ফজলুল করিমকে। কিন্তু ১৪ ডিসেম্বরের ঘটনাটি ছিল অন্যরকম। তখন জানতে পারিনি আমরা আলবদর বাহিনীর বুদ্ধিজীবী হত্যার নীলনক্সার কথা। আমরা সবাই ভেবেছি হয়ত ওনারা ফিরে আসবেন। সে রাতে ঘুমুতে পারিনি। অনেক রাত পর্যন্ত জেগে থেকে কেবলই ছটফট করেছি। তখন রুদ্ধশ্বাস অবস্থা। ১৫ তারিখ বিকেল থেকে ঘটনা নতুন মোড় নেয়। আকাশবাণী থেকে প্রচারিত হতে থাকে নিয়াজীর উদ্দেশে জেনারেল অরোরার আত্মসমর্পণের আহ্বান। বুঝে যাই আর দেরি নয়। স্বাধীনতা খুব কাছে। কিন্তু সেটা যে পরদিনই তা বুঝতে পারিনি। ততক্ষণে মিত্রবাহিনী ঢাকার উপকণ্ঠে এসে পৌঁছেছে। প্রতিদিনের মতো ভোরবেলা কেটে যায়। বাড়িতে একগাদা লোক। রাজশাহীতে আমাদের বাড়ি বিহারীরা লুট করার পর আমার আব্বা-আম্মা ও ছোট বোন তিন মাস গ্রামে পালিয়ে ঢাকায় আমার কাছে আসে। নাস্তার টেবিলে কল্পনা-জল্পনার শেষ নেই। কী হতে যাচ্ছে কিছু আন্দাজ করা যাচ্ছে না। আকাশে বিমানের শব্দ নেই, নিচে বোমা ফাটার শব্দ নেই। মনে হয় হঠাৎ করে চারদিক নীরব হয়ে গেছে। দশটা কি এগারোটার দিকে শুনতে পাই রাস্তায় হৈচৈ, না কোন ভীতসন্ত্রস্ত কণ্ঠ নয়, চারদিকে যেন উল্লাসধ্বনি। বারান্দায় দাঁড়িয়ে থাকি। অল্পক্ষণে কলোনির ছেলেরা হৈ-হৈ করে ছুটে যায় রাস্তার দিকে। চিৎকার করে বলে, দেশ স্বাধীন হয়ে গেছে। স্বাধীন হয়ে গেছে? একছুটে ঘরে যাই। স্বাধীন হয়ে গেছে, স্বাধীন হয়ে গেছে! যেন জীবনের চারদিকে প্রবল উৎসব। কে কোথায় আছ, ছুটে আস, আনন্দ করি। পরক্ষণে বুক মুচড়ে ওঠে। পঁচিশের রাতের কথা মনে হয়। তারপর নয় মাস ধরে কত মৃত্যু। কেমন আছে স্বজনহারানো পরিবার? ২৭ মার্চ কারফিউ ভাঙলে দেখতে গিয়েছিলাম ইকবাল হল। সেদিন ইকবাল হলের গেটের সামনে দেখা হয়েছিল শহীদুল্লা কায়সারের সঙ্গে। বিদেশী সাংবাদিকদের সঙ্গে জিপে করে যাচ্ছিলেন। ক্ষণিকের জন্য গাড়ি থামিয়ে ধমকের সুরে বলেছিলেন, এ সময় কেউ বের হয়? যান, বাড়ি যান। মুহূর্তে মনে হয় কেমন আছেন শহীদুল্লা কায়সার? রেডিওতে বলা হচ্ছে আত্মসমর্পণের কথা! ভাবি, বিকেলে রেসকোর্স ময়দানে যাব নিয়াজীর আত্মসমর্পণের অনুষ্ঠান দেখতে। কিন্তু না, বিকেলে আর রেসকোর্সে যাওয়া হলো না। দুপুরের পর বাসায় এলেন খালাতো ভাই আবু ইউসুফ। তিনি কর্নেল তাহেরের বড়। তার একমুখ দাড়ি, পিঠে রাইফেল। ১১নং সেক্টরে যুদ্ধ করেছেন, যে সেক্টরের মুক্তিযোদ্ধারা মিত্রবাহিনীর সঙ্গে প্রথম ঢাকা শহরে ঢোকে। কর্নেল তাহের ছিলেন এ সেক্টরের কমান্ডার। ইউসুফ ভাইকে দেখে বিজয়ের আনন্দে উদ্বেল হয়ে উঠি। জিজ্ঞেস করি, তাহের ভাই কোথায়? ইউসুফ ভাই চুপ করে থেকে বললেন, ও ভারতের হাসপাতালে। তার মানে? কী হয়েছে? চেঁচিয়ে বলি। ইউসুফ ভাই বললেন, শত্রুর গোলার আঘাতে তাহেরের বাম পা উড়ে গেছে। অস্ফুট আর্তনাদ বেরিয়ে আসে আমার মুখ থেকে। আমার ম্লান মুখের দিকে তাকিয়ে ইউসুফ ভাই বললেন, জানো, তাহের না প্রচ- সাহসী। গোলার আঘাতে ওর বাম পা যখন উরু থেকে আলাদা হয়ে যায় তখনো ওর নিজের দিকে খেয়াল নেই। পায়ের নিচের অংশ চামড়ার সঙ্গে ঝুলছিল তবুও ও আমাদের কমান্ড দিয়ে যাচ্ছে। ওর চেহারায় যন্ত্রণার চিহ্নটুকু ছিল না। আমি হা করে তাকিয়ে থাকি ইউসুফ ভাইয়ের মুখের দিকে। স্বাধীনতার পরে সুফিয়া কামালের সঙ্গে দেখা হলে তিনি আমাকে জড়িয়ে ধরে বললেন, তুমি বেঁচে আছো? তিনি শহীদ সেলিনা পারভিনের সঙ্গে আমাকে গুলিয়ে ফেলেছিলেন। কারণ ‘ললনা’ পত্রিকার সম্পাদক মুহম্মদ আখতার শহীদ হয়েছেন। তাঁকে ১৪ ডিসেম্বর পুরনো পল্টনের বাসা থেকে আলবদর বাহিনীর সদস্যরা ধরে নিয়ে যায়। এখন মাঝে মাঝে ভাবি সুফিয়া কামাল যোগসূত্র মিলিয়েছিলেন ললনার সঙ্গে লেখালেখির সম্পর্ক। তিনি কি আসলে ভুল করেছিলেন? নাকি আমাদের সবার পরিণতি অমন অনিবার্য হয়ে উঠেছিল সে সময়? তাই অবচেতনের আশঙ্কা অমন অকস্মাৎ প্রকাশ পায়! সেদিন সুফিয়া কামালের প্রশ্নে আমি বিস্মিত হইনি। কেননা পঁচিশে মার্চের রাতের পর থেকে শুধু মৃত্যুর প্রহর গোনা নয়, কাঁটাসুর ও শিয়ালবাড়ি বধ্যভূমি আবিষ্কৃত হওয়ার পর সেদিন এ প্রশ্ন আরও বেশি করে উচ্চারিত হচ্ছিল। এখনো আমার স্মৃতিতে বিজয় দিবস একজন মুক্তিযোদ্ধার রক্তাক্ত লাল উরু এবং একটি বিচ্ছন্ন বাম পা। আসলে এ কোনো স্মৃতি নয়, হৃদয়ের গভীর থেকে একটি ভিন্ন চোখ দিয়ে দেখা, যে দেখা স্মৃতির মতো উজ্জ্বল, চোখ বুজলে সেই না দেখা দৃশ্য ছবি হয়ে ফুটে ওঠে। তবু আজকের দিনে বিজয় দিবসের প্রাক্কালে ভাবনা এমন যে, একাত্তরের নয় মাসের প্রতিটি দিন এমন ছিল যে, আমরা যে কেউ যে কোনো সময়ই মরে যেতে পারতাম। একজন মুহম্মদ আখতার চলে গেলেও কেউ না কেউ তো থেকেই যাবেন, যিনি ‘সংবর্ত’ লেখার জন্য আরেকজনকে অনুপ্রাণিত করবেন। যেভাবে তিনি আমাকে দিয়ে ‘সংবর্ত’ শিরোনামে উপসম্পাদকীয় লেখাতেন প্রতি সপ্তাহে। না, দায়িত্ব শুধু এটুকুই নয় এখন আর। দায়িত্ব আরও বড়, ব্যাপক এবং গভীর। আবারো আমরা অস্তিত্বের হুমকির সামনে দাঁড়িয়ে। সেদিন আমার কাছে আনন্দের চেয়ে বেদনা ছিল গভীরÑ সে বেদনা ছিল নিজের, একজন ব্যক্তির। প্রিয়জনদের জন্য বেদনা। এখন বেদনা অন্যরকম। এ বেদনার ক্ষত আরও মর্মন্তুদ। কবে শুকোবে কে জানে! কারণ এখনো আমরা মানবতাবিরোধী কাজের জন্য অপরাধীদের বিচারের রায় পাইনি। আমাদের অপেক্ষার প্রহর গুনতে হচ্ছে। এমন একটি ক্ষোভের কথা উচ্চারণ করেছিলাম ১৯৮৩ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে। ২০১৫ সালের বিজয় দিবস ফিরে এসেছে আমাদের মাঝে। আমরা জানি এটি শুধু আমাদের স্মৃতির দিন মাত্র নয়। ২০১৪-১৫ সালে চারজন মানবতাবিরোধী অপরাধীর বিচারের রায় কার্যকর হয়েছে। এই রায়ে ধৃষ্টতা ও ঔদ্ধত্য দেখিয়েছে পাকিস্তান সরকার। অস্বীকার করছে বাংলাদেশে গণহত্যার দায়। যারা অন্য দেশের স্বাধীনতার গৌরবকে মানতে পারে না তারা বন্ধু-রাষ্ট্র হতে পারে না। তাদের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক রাখার দরকার নেই।
×