ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

এবার শীত ক্ষণস্থায়ী ॥ তাপমাত্রা কমছে, ঘন কুয়াশা

প্রকাশিত: ০৫:৩৬, ১৭ ডিসেম্বর ২০১৫

এবার শীত ক্ষণস্থায়ী ॥ তাপমাত্রা কমছে, ঘন  কুয়াশা

স্টাফ রিপোর্টার ॥ ঠা-া বাড়িয়ে এলো পৌষ। শুরু হয়েছে মৌসুমের প্রথম শৈত্যপ্রবাহ। শরীরে উঠেছে গরম কাপড়। তাপমাত্রা কমে গিয়ে শীত পড়েছে। ঘন কুয়াশা ও তীব্র শীতে দুর্ভোগে পড়েছে দেশবাসী। বুধবার রাজধানীতে দিনভর অনুভূত হয়েছে হাল্কা থেকে মাঝারি ধরনের শীত। শীত পড়ার কারণে হঠাৎ করেই চাহিদা বেড়েছে শীতের পোশাকের। নগরীর ফুটপাথসহ বিভিন্ন গরম কাপড়ের দোকানে ক্রেতাদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। দেশের বেশকিছু অঞ্চলে আজ বৃহস্পতিবারও মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বইতে পারে। সারাদেশে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে। তবে এই শীত বেশিদিন স্থায়ী হবে না বলে জানিয়েছেন ভারতীয় ও বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার আবহাওয়াবিদরা। রাজধানীতে মৌসুমের সবচেয়ে বেশি শীত অনুভূত হয়েছে বুধবার। সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রার ফারাক বেশি কাছাকাছি আসায় এমনটি হয়েছে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা। পাশাপাশি রয়েছে ঘন কুয়াশা এবং কনকনে উত্তুরে হিমেল হাওয়া। রাজধানীতে হিমেল হাওয়া বইছে ১০ থেকে ১৫ কিলোমিটার বেগে। এমন অবস্থা আরও দু’তিন দিন অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। তীব্র শীত, কুয়াশা ও ঠা-া বাতাসে দেশবাসীর দুর্ভোগের সীমা ছিল না। আবহাওয়া অফিস জানায়, সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রার পার্থক্য যত কাছাকাছি হবে শীত তত বেশি অনুভূত হবে। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা হ্রাস পাওয়ার পাশাপাশি সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রার পার্থক্যও বেশ কমে এসেছে। বুধবার দিনের তাপমাত্রা ৪ থেকে ৬ ডিগ্রী সেলসিয়াস কমে যায়। সূর্যরশ্মির স্বল্পতাও দিনের বেলায় বেশি শীত অনুভূত হওয়ার পেছনে ভূমিকা রেখেছে। বুধবার দেশের বেশিরভাগ সেন্টারের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২২ থেকে ২৪ ডিগ্রী এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১১ থেকে ১৫ ডিগ্রী সেলসিয়াসের মধ্যে অবস্থান করে। তবে বেশ কয়েকটি সেন্টারে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৭ থেকে ১০ ডিগ্রী সেলসিয়াস রেকর্ড হয়। গত কয়েকদিন ধরে রাজধানীতে শীতের তীব্রতা বেড়েছে। তবে বুধবার শীতের তীব্রতা হাল্কা থেকে মাঝারিতে চলে আসে। দিনভর নগরীর আকাশ ছিল কুয়াশার দখলে। হিমেল হাওয়া বাড়িয়ে দেয় শীতের তীব্রতা। কুয়াশা ভেদ করে বেরিয়ে আসা সূর্যের তেজ ছিল না বললেই চলে। সন্ধ্যার পর শীত বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে বেড়ে যায় ছিন্নমূল মানুষের কষ্টের মাত্রা। বুধবার দিনের বেলাতেও নগরবাসীর অনেকেই গরম কাপড় ব্যবহার করেছে। দোকানে দোকানে পড়ে যায় গরম কাপড় কেনার হিড়িক। দেড় থেকে দ্বিগুণ দামে বিক্রি হয় গরম কাপড়। মাথায় গরম টুপি, গলায় মাফলার, গায়ে ভারি চাদর বা জ্যাকেট এবং পায়ে মোজাÑ এ সবই ছিল বুধবারের পোশাক। ভিড় জমে ওঠে প্রতিটি চায়ের দোকানে। ব্যবহার বেড়ে যাওয়ায় কমে যায় গ্যাসের চাপ। তবে এই শীত বেশিদিন স্থায়ী হবে না বলে জানিয়েছেন ভারতীয় ও বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার আবহাওয়াবিদরা। তাঁরা বলছেন, উচ্চচাপ বলয়ের প্রভাবে বর্তমানে শীতের তীব্রতা কিছুটা বেড়েছে। বেশিদিন স্থায়ী হবে না এই শীত। এ বছরের বাকি সময় বেশি শীত পড়বে না। ইতোমধ্যে চলতি বছরকে সম্ভাব্য উষ্ণতম ঘোষণা করেছেন বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা। বাংলাদেশও এই একই বলয়ে রয়েছে।
×