অনলাইন রিপোর্টার ॥ ১৯৫ পাকি যুদ্ধাপরাধীর প্রতীকী বিচারে ‘আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ গণবিচার’ কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। নৌপরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান ৫০১-সদস্য বিশিষ্ট কমিটির আহ্বায়ক হয়েছেন।
শুক্রবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির স্বাধীনতা ভবনের হলরুমে এক সাংবাদিক সম্মেলনে এ কমিটি ঘোষণা করা হয়।
কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক হয়েছেন, সাংবাদিক আবেদ খান, শিরীন আখতার এমপি, মুক্তিযোদ্ধা আলাউদ্দিন মিয়া ও ডিইউজের সাধারণ সম্পাদক কুদ্দুস আফ্রাদ প্রমুখ। সদস্যসচিব হয়েছেন, মুক্তিযোদ্ধা ওসমান আলী, সহকারী সদস্যসচিব অভিনেত্রী শমী কায়সার, সাংবাদিক অঞ্জন রায় । সদস্যদের মধ্যে রয়েছেন, মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মালেক মিয়া, অভিনেত্রী রোকেয়া প্রাচী ও কবির আহম্মেদ খান ।
আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ গণবিচার কমিটির আহ্বায়ক এবং নৌ পরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান ১৯৫ জন অভিযুক্ত পাকিস্তানী যুদ্ধাপরাধীর বিচারের জন্য পাকিস্তানের প্রতি আহ্বান জানান। নতুবা আগামী ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসে নরঘাতক পাকিস্তানীদের প্রতীকী বিচার অনুষ্ঠিত হবে।
শাজাহান খান বলেন, ‘আমরা দৃঢ়ভাবে প্রতিজ্ঞা করছি, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সকল স্তরের, সকল শেণীর, পেশার মানুষ দলমত নির্বিশেষে ঐক্যবদ্ধভাবে গণজাগরণ সৃষ্টি করে পাকিস্তানী চর, জামায়াত, শিবির, রাজাকার নির্মূল করে বাংলাদেশকে ষড়যন্ত্রমুক্ত করবো। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ, জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদ প্রতিরোধে আমরা ঐক্যবদ্ধ’।
তিনি সংগঠনের ১৪টি লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য বর্ণনা করেন এবং আগামী দিনের আন্দোলনের কর্মসূচী ঘোষণা করেন।
আন্দোলনের কর্মসূচীর মধ্যে রয়েছে, ১৯ ডিসেম্বর থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সকল শেণী পেশার সাথে মত বিনিময়, আগামী ৩ জানুয়ারি বিকেল ৩টায় মতিঝিল শাপলা চত্বরে সমাবেশ ও শেষে গণ মিছিল, ৬ জানুয়ারি যুদ্ধাপরাধী মতিউর রহমান নিজামীর যুদ্ধাপরাধের রায় ঘোষণার দিনে তার ফাঁসির আদেশ বহাল ও কার্যকর করার দাবীতে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে গণ অবস্থান কর্মসূচী পালন করা হবে। আন্দোলনের পরবর্তী কর্মসূচী পর্যায়ক্রমে ঘোষণা করা হবে।