ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

পদত্যাগ করলেন স্পীকার

ইন্দোনেশিয়ার ‘ওয়াটারগেটের’ গোপন টেপ ফাঁস

প্রকাশিত: ০৩:৪৫, ২০ ডিসেম্বর ২০১৫

ইন্দোনেশিয়ার ‘ওয়াটারগেটের’ গোপন টেপ ফাঁস

ইন্দোনেশিয়ার ইতিহাসে সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক কেলেঙ্কারির ঘটনা প্রকাশ পেল ইন্দোনেশীয়দের চোখের সামনে। টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচারে এ কেলেঙ্কারির ঘটনা ধারাবাহিকভাবে তুলে ধরেছে হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসের ইথিকস কাউন্সিল তাদের শুনানিতে। দর্শকরা এ কেলেঙ্কারি ঘটনা প্রত্যক্ষ করার জন্য দু’সপ্তাহের বেশি সময় ধরে টেলিভিশনের সামনে স্থির হয়ে বসে থাকেন। খবর ইন্টারন্যাশনাল নিউইয়র্ক টাইমসের। হাউসের স্পীকার সত্য নোভান্তোর বিরুদ্ধে বিশাল মার্কিন খনিজসম্পদ উত্তোলন প্রতিষ্ঠান ফ্রিপোর্ট ম্যাকমোরামের স্থানীয় ইউনিটের থেকে ৪শ’ কোটি মার্কিন ডলারের শেয়ার আদায়ের চেষ্টার অভিযোগ আনা হয়েছে। এক প্রকৌশল কোম্পানির সেলস ওশ্যান শ্রি পুরওয়ান্তি (৩৮) দিনের বেলা এ শুনানি প্রত্যক্ষ করেছেন অফিসে তার বন্ধুদের সঙ্গে এবং সন্ধ্যায় বাড়িতে তার স্বামীর সঙ্গে। পুরওয়ান্তি বলেন, রাজনীতিটা বেশিরভাগই হচ্ছে রেডিও টিভির সস্তা আবেগসর্বস্ব নাটকের মতো। অনেক কিছুই ঘটে রুদ্ধদ্বার কক্ষে। আমি কদাচিৎ বিশ্বাস করি এগুলো। শুনানি শেষ হয়েছে বুধবার রাতে এবং সেই সঙ্গে পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছেন স্পীকার সত্য নোভান্তো। এ শুনানি ইন্দোনেশিয়ার ওয়াটারগেট কেলেঙ্কারির মতোই হয়ে থাকবে হয়ত। দৃশ্যত খনিজসম্পদ উত্তোলন কোম্পানিকে কাজের কন্ট্রাক্ট পাইয়ে দেয়ার সহযোগিতার বিনিময়ে স্পীকারের উৎকোচ চাওয়ার দৃশ্যের ৮০ মিনিটের রেকর্ডিংয়ের সবচেয়ে নিন্দনীয় দিকগুলো বার বার বাজিয়ে শোনানো হয়, যাতে সবাই তা শুনতে পারে। পদত্যাগের বিষয়টি ইথিকস কাউন্সিলে ১৫-২ ভোটে পাস হওয়ার কয়েক ঘণ্টা আগেই পদত্যাগ করেন সত্য। ভাইস প্রেসিডেন্ট ইউসুফ কাল্লা বলেন, সত্য পদত্যাগ করেছেন, এটা খুবই ভাল সিদ্ধান্ত যদিও বিলম্ব হয়েছে কিছুটা। তার পদত্যাগ করা উচিত ছিল গত সপ্তাহেই। সত্যের এ কেলেঙ্কারি ঘটনা ইথিকস কাউন্সিলকে রিপোর্ট করেছেন এবং অডিও রেকর্ডিং সরবরাহ করেছেন ইন্দোনেশিয়ার জ্বালানিমন্ত্রী সুদিরমান সাইদ। রেকর্ডিংটি তৈরি করেছেন ফ্রিপোর্ট ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট ডিরেক্টর মারওয়েফ জামসোদ্দিন। স্পীকার সত্যের অনুরোধে গত জুনে আয়োজিত এক প্রাইভেট মিটিংয়ের সময় তিনি রেকর্ডিংটি করেন। বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থায় আফগানিস্তানের সদস্যপদ লাভ বিশ্বের অন্যতম দরিদ্র দেশ আফগানিস্তান আনুষ্ঠানিকভাবে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) সদস্যপদ পেয়েছে। বৃহস্পতিবার কেনিয়ার রাজধানী নাইরোবিতে সংস্থাটির মন্ত্রীপর্যায়ের দশম সম্মেলনে দেশটির সদস্যপদ অনুমোদন করা হয়। খবর ওয়েবসাইটের। সম্মেলনে আফগানিস্তানের উপপ্রধান নির্বাহী মোহাম্মাদ খান রহমানি বলেন, বাণিজ্যভিত্তিক উন্নয়ন, নতুন অর্থনৈতিক সুযোগ এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে সহায়ক হবে, বিশেষ করে নারীদের ক্ষেত্রে। এর ফলে দারিদ্র্য দূর হবে, সমৃদ্ধি আসবে। তিনি আরও বলেন, চরমপন্থা কমিয়ে আনা ও আঞ্চলিক শান্তি এবং নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠাতেও এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।সংস্থাটিতে আফগানিস্তানের আনুষ্ঠানিক সদস্যপদপ্রাপ্তিকে স্বাগত জানিয়েছেন ডব্লিউটিওর মহাপরিচালক রবার্তো আজাভেদো। দশকেরও বেশি সময় ধরে যুদ্ধে আফগানিস্তানের অধিকাংশ প্রয়োজনীয় অবকাঠামো ধ্বংস হয়ে গেছে, নিরাপত্তাহীনতা ও দুর্নীতি ছড়িয়ে পড়েছে। ফলে বিনিয়োগকারীরা মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন এবং লাখ লাখ আফগান শরণার্থীতে পরিণত হয়েছেন। ১৯৭০-এর দশকে বিশ্বে শুকনা ফলের বাজারের ১০ ভাগই ছিল আফগানিস্তানের দখলে। মূলত আমদানিনির্ভর অর্থনীতির দেশ আফগানিস্তান বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার বৈদেশিক সহায়তায় টিকে রয়েছে। বিশ্বের স্বল্পোন্নত দেশগুলোর একটি আফগানিস্তান।
×