ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

সাংসদ নাট্যোৎসবে ‘মহাজনের নাও’

প্রকাশিত: ০৩:৪৮, ২০ ডিসেম্বর ২০১৫

সাংসদ নাট্যোৎসবে ‘মহাজনের নাও’

স্টাফ রিপোর্টার ॥ সুবচন নাট্য সংসদের ৩৩তম প্রযোজনা ‘মহাজনের নাও’। শাহ আবদুল করিমের জীবনভিত্তিক এ নাটকটি লিখেছেন শাকুর মজিদ এবং নির্দেশনা দিয়েছেন সুদীপ চক্রবর্তী। নাটকের বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেন আহম্মেদ গিয়াস, আসাদুল ইসলাম, আমিরুল ইসলাম বাবুল, আনসার আলী, সোনিয়া হাসান সুবর্ণা, ইমরান হোসেন, ইমতিয়াজ, সোহেল, রাসেল, তানভীর প্রমুখ। সুবচন সূত্রে জানা গেছে, সাভারে নাটকটির ৯২তম প্রদর্শনী হতে যাচ্ছে। সাভারের এনাম মেডিক্যাল কলেজ মিলনায়তনে সাংসদ নাট্যোৎসবে আগামী মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টায় মঞ্চায়ন হবে সুবচন নাট্য সংসদ প্রযোজিত নাটক ‘মহাজনের নাও’। বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশনের পরিকল্পনা ও আয়োজনে সংসদ সদস্য (ঢাকা ১৯ আসন) ডাঃ এনামুর রহমানের পৃষ্ঠপোষকতায় ১৪ ডিসেম্বর থেকে শুরু হয়েছে ১০ দিনব্যাপী এই নাট্যোৎসব শুরু হয়েছে। ভাটি অঞ্চলের প্রখ্যাত মরমী কবি শাহ আবদুল করিমের জীবনভিত্তিক ‘মহাজনের নাও’ নাটকটি বাংলাদেশের ভাটি অঞ্চল সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলায় ১৯১৬ সালে জন্ম নেয় সাধক শাহ আবদুল করিম। তার জীবনের তত্ত্ব কথা ও জীবনদর্শন নিয়ে এ নাটকটি রচনা করেন শাকুর মজিদ। নাটকে দেখা যায় বাউল করিম রাখাল বালক, গরুর পাল নিয়ে ছুটে চলে গ্রামের মেঠোপথে, দোতারা হাতে নদীর তীরে হাঁটে, রাখাল বালক হাঁটতে হাঁটতে গান বাধে। তার গানে থাকে ভাটির কথা, অনাহারী কৃষকের কথা। গানে গানে মানুষের দুঃখে করিম কাঁদে। করিমের কণ্ঠে উঠে আসে হাওর প্রদেশের গান; গানে উঠে আসে ভাটির টান। ভাটি গ্রাম উজানধরের মসজিদের ইমাম বাউল করিমকে গান-বাজনা করে বলে গ্রাম থেকে তাড়িয়ে দিতে চান। আকবর, রুহী, বনেশসহ ভাটি অঞ্চলের বাউলের দল করিমের পিছু পিছু দলে এসে ভিড়ে যায়। সবাই মুর্শিদ মেনে করিমের শিষ্য হতে চায়; ভাটি অঞ্চল আর হাওর প্রদেশের নদীর তীরে রাখাল বালক থেকে দিনে দিনে বাউলের খ্যাতি ছড়িয়ে পড়ে। এভাবে দিন যায় মাস যায় বছর যায়। পরিণত বয়সে এসে করিমের মনে ভাবনার উদয় হয় কোন এক মহাজনের কাছ থেকে পাওয়া ধার করা নৌকা, যে নৌকার মালিক তিনি নন, চালিয়ে নেয়াটাই ছিল শুধু তার দায়িত্ব। ‘মহাজনের নাও’ নাটকে সুবচন নাট্যদল শাহ্ আবদুল করিমের জীবনের গল্প বলতে গিয়ে এ কথাটিই বলতে চেয়েছেন দর্শকদের। প্রসঙ্গত, ২০১০ সালের ১৮ জুন ‘মহাজনের নাও’ নাটকটি মঞ্চে নিয়ে আসে সুবচন নাট্য সংসদ। বাংলাদেশ সরকারের সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে দক্ষিণ কোরিয়ায় দুটি প্রদর্শনী ছাড়াও ভারতের ত্রিপুরা, জলপাইগুড়ি, অসম, কলকাতা, লন্ডন এবং বাংলাদেশের কুমিল্লা, চাঁদপুর, রাজশাহী, সিলেট, সাভার, বিয়ানীবাজার, বরিশালসহ বিভিন্ন জায়গায় প্রদর্শনী হয়েছে।
×