ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

রক্ষা করা হচ্ছে না সোহ্্রাওয়ার্দী উদ্যানের স্মৃতি বিজড়িত স্থানগুলো ;###;২০৪টি বধ্যভূমি চিহ্নিত হলেও স্মৃতিস্তম্ভ তৈরি ও রক্ষার উদ্যোগ নেই ;###;রায়ে বলা হয়েছিল এসব স্থানে দাঁড়িয়েই ভবিষ্যত প্রজন্ম স্মরণ করবে পূর্বপুরুষদের

বেহাল মুক্তিযুদ্ধ স্মারক

প্রকাশিত: ০৫:১০, ২০ ডিসেম্বর ২০১৫

বেহাল মুক্তিযুদ্ধ স্মারক

আরাফাত মুন্না ॥ বাঙালীর শ্রেষ্ঠ অর্জন স্বাধীনতার তীর্থভূমি সোহরাওয়ার্দী উদ্যান। ঐতিহাসিক এই স্থান থেকে ঘোষণা করা হয়েছিল স্বাধীনতার মূলমন্ত্র। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানেই (সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) আত্মসমর্পণের দলিলে সই করেছিল পাকিস্তানী বাহিনী। স্বাধীনতার ৪৪ বছর পরও ঐতিহাসিক এই ময়দানে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিবিজড়িত স্থানগুলো চিহ্নত করা হয়নি। অন্যদিকে, স্বাধীনতার এত বছর পরও অরক্ষিত দেশের প্রায় সব বধ্যভূমি। দেশের বধ্যভূমিগুলো খুঁজে বের করাও কষ্টকর হয়ে গেছে। এসব বধ্যভূমির অনেক জায়গা হয়ে গেছে বেদখল। ফলে অনেক ঐতিহাসিক স্থান এখনও নতুন প্রজন্মের অগোচরেই রয়ে গেছে। ২০০৯ সালে হাইকোর্ট এক ঐতিহাসিক রায়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মুক্তিযুদ্ধে স্মৃতি বিজড়িত স্থান ও সারা দেশের বিভিন্ন স্থানে থাকা বধ্যভূমি সংরক্ষণের নির্দেশ দেয়। রায় দেয়ার ৬ বছর পার হলেও উল্লেখযোগ্য কোন অগ্রগতি দেখা যায়নি। তৎকালীন হাইকোর্টের বিচারপতি এবিএম খায়রুল হক (সাবেক প্রধান বিচারপতি, বর্তমানে আইন কমিশনের চেয়ারম্যান) ও বিচারপতি মোঃ মমতাজ উদ্দিন আহমেদের বেঞ্চ এ রায় দেয়। পরে পূর্ণাঙ্গ রায় লেখেন বিচারপতি এবিএম খায়রুল হক। সূত্র জানায়, ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার স্বাধীনতা যুদ্ধের স্মৃতিবিজড়িত স্থান ও বধ্যভূমিগুলো সংরক্ষণের উদ্যোগ নেয়। ৩৫টি বধ্যভূমি ও স্মৃতিবিজড়িত স্থান সংরক্ষণ করতে ‘স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ’ শীর্ষক প্রকল্প হাতে নেয়া হয়। প্রকল্পটি ২০০৮ সালে সমাপ্ত হয়। প্রকল্পের কার্যক্রম দৃশ্যমান না হওয়ায় আদালতে জনস্বার্থে রিট আবেদন দায়ের করা হয়। সেক্টর কমান্ডার মেজর জেনারেল (অব) কেএম শফিউল্লাহ, ইতিহাসবিদ অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন এবং হিউম্যান রাইটস এ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ হাইকোর্টে এ রিট আবেদন করেন। শুনানির পর ২০০৯ সালের ৮ জুলাই হাইকোর্ট ওই ঐতিহাসিক রায় দেয় । হাইকোর্টের রায়ে, কমিটি গঠনের মাধ্যমে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিবিজড়িত সব ঐতিহাসিক স্থাপনা চিহ্নিত করে সংরক্ষণের নির্দেশ দেয়া হয়। রায়ে বলা হয়, ১৯৪৮ সালের ২১ মার্চ পাকিস্তানের প্রথম গবর্নর জেনারেল মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ এ উদ্যানে দাঁড়িয়ে ভাষণ দিয়েছিলেন। গণঅভ্যুত্থানের সময় ১৯৬৯ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এ উদ্যানেই ভাষণ দিয়েছিলেন। এ উদ্যানে দাঁড়িয়েই শপথ গ্রহণ করেছিলেন ১৯৭১ সালের ৩ জানুয়ারি আওয়ামী লীগ থেকে নির্বাচিত জাতীয় ও প্রাদেশিক সংসদের সদস্যরা। ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ভাষণ, ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বরে পাকিস্তানী বাহিনীর এ উদ্যানে আত্মসমর্পণ, দেশ স্বাধীনের পর ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি পাকিস্তান থেকে দেশে ফিরে বঙ্গবন্ধুর ভাষণ এবং ১৯৭২ সালের ১৭ মার্চ ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর ভাষণ এ উদ্যানেই অনুষ্ঠিত হয়। একই সঙ্গে সারা দেশের বিভিন্ন স্থানে অবহেলা-অযতেœ পড়ে থাকা বধ্যভূমি এবং মুক্তিযোদ্ধা ও মিত্রবাহিনীর সৈনিকদের সমাধিক্ষেত্র চিহ্নিত করতে বলা হয় রায়ে। এছাড়া দৃষ্টিনন্দন ও ভাবগাম্ভীর্যপূর্ণ স্মৃতিসৌধ, সমাধিক্ষেত্র, স্মৃতিফলক,স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করে স্থানগুলো সংরক্ষণের নির্দেশ দেয় উচ্চ আদালত। সোহরাওয়ার্দী উদ্যান সংরক্ষণের বিষয়ে রায়ের পর্যবেক্ষণে আদালত উল্লেখকরে, রমনার রেসকোর্স ময়দান বর্তমানে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ১৯৪৮ সাল থেকে বিভিন্ন সময়ে অনুষ্ঠিত জনসভা এবং ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর এই উদ্যানেই অনুষ্ঠিত পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠান ইতিহাস সৃষ্টি করেছে। সে কারণে স্থানগুলো বাংলাদেশের ২৪ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী ঐতিহাসিক স্থান (সংবিধানের ২৪ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, ‘বিশেষ শৈল্পিক কিংবা ঐতিহাসিক গুরুত্বসম্পন্ন বা তাৎপর্যম-িত স্মৃতি নিদর্শন, বস্তু বা স্থানসমূহকে বিকৃতি, বিনাশ বা অপসারণ হইতে রক্ষা করিবার জন্য রাষ্ট্র ব্যবস্থা গ্রহণ করিবেন’)। রায়ে বলা হয়, ইতিহাসের দিকে তাকালে দেখা যাবে যে, প্রাচীনকাল থেকে রাজা-বাদশাগণ বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণ করে গেছেন। ওই সকল স্থাপনা তৎকালীন সভ্যতার সাক্ষ্য বা নিদর্শন হিসেবে রয়েছে এবং ইতিহাসে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। যেমন, প্রাচীন মিসরের পিরামিড, স্ফিঙ্কস ও ফারাওদের মূর্তি, গ্রীক এবং রোমক সভ্যতার বিভিন্ন স্থাপনা। রায়ে বলা হয়, বিশ্বের বহু জায়গায় গুরুত্বপূর্ণ যুদ্ধের স্থানকেও ঐতিহাসিক স্থান হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। ভাষণের বিষয়ে রায়ে বলা হয়, ইতিহাসের দিকে দৃষ্টি দিলে দেখা যাবে, ঐতিহাসিক ভাষণ দেয়ার স্থানসমূহও চিহ্নিত করে সংরক্ষণ করা হয়েছে। যেমন ৬৩২ সালে মক্কা শরীফের নিকটবর্তী আরাফাত ময়দানে হযরত মোহাম্মদ (স.) (দরুদ ও সালাম)-এঁর দেয়া বিদায় হজ্বের ভাষণ দেয়ার স্থান। এছাড়াও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট আব্রাহাম লিঙ্কনের সংক্ষিপ্ত ভাষণ দেয়ার স্থানে আব্রাহাম লিঙ্কনের আবক্ষ মূর্তি নির্মাণ করে সংরক্ষণ করা হয়েছে। তেমনি আমাদের সোহরাওয়ার্দী উদ্যানও বহু ইতিহাসের সাক্ষী। রায়ে পর্যবেক্ষণে বলা হয়, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের যে অংশে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানী সেনাবাহিনী যৌথবাহিনীর নিকট আত্মসমর্পণ করেছিল, উদ্যানের সেই অংশটিকে ‘স্বাধীনতা উদ্যান’ নামকরণ করার জন্য আমরা সরকারের কাছে আহ্বান জানাচ্ছি। বধ্যভূমির বিষয়ে রায়ে বলা হয়, শতবর্ষ পরে হলেও আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্ম এই বধ্যভূমির সামনে দাঁড়িয়ে মুক্তিযুদ্ধের সময় নিহত তাদের পূর্বপুরুষগণের আত্মত্যাগকে সম্মান প্রদর্শন করবে। এই সম্মান প্রদর্শনের মাধ্যমে তারা একটি আত্মসম্মানবোধ সম্পন্ন জাতি হিসেবে বিশ্বের দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারবে। রায়ে বলা হয়, এই সকল বধ্যভূমির সামনে দাঁড়িয়ে ভবিষ্যত প্রজন্ম উপলব্ধি করবে যে, মুক্তিযোদ্ধাদের রক্তের বিনিময়ে, সম্ভ্রমের বিনিময়ে তারা আজ গর্বিত জাতি। রায়ে আরও বলা হয়, তারা স্মরণ করবে নবাব সিরাজউদ্দৌলা, মীরমদন, মোহনলালকে; তারা স্মরণ করবে তিতুমীর, প্রফুল্ল চাকি, ক্ষুদিরাম, মাষ্টারদা সূর্যসেন, প্রীতিলতা ওয়াদেদ্দার, ইলা মিত্রকে। তারা নীরবে স্মরণ করবে নাম না জানা মুক্তিযোদ্ধাদের। তারা মনে মনে বলিবে, চুপ! আস্তে!! খুব আস্তে, ধীরে, ‘তিষ্ঠ ক্ষণকাল; এই স্থানে আমাদের বীরগণ চিরনিদ্রায় শায়িত!! আমরা ভুলি নাই, আমরা আত্মত্যাগের কথা ভুলি নাই!! ভুলিতে পারি না!! এই রায়ের পর ২০১০ সালের শেষদিকে বধ্যভূমিসমূহ সংরক্ষণ ও স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ (২য় ধাপ) নামের একটি উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব (ডিপিপি) তৈরি করে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়। এ প্রকল্পের মাধ্যমে সারা দেশের ২০৪টি বধ্যভূমি চিহ্নিত করা হয়। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো ঢাকা জেলায় আটটি, রাজবাড়ী জেলায় তিনটি, ফরিদপুরে চারটি, নরসিংদীতে চারটি, মুন্সীগঞ্জে পাঁচটি, টাঙ্গাইলে দুটি, শেরপুরে দুটি, কিশোরগঞ্জে ১১টি, ময়মনসিংহে নয়টি এবং মানিকগঞ্জ, শরীয়তপুর ও গাজীপুরে একটি করে বধ্যভূমি আছে। এছাড়া জয়পুরহাটে পাঁচটি, নওগাঁয় সাতটি, রাজশাহীতে তিনটি, নাটোরে ছয়টি, পাবনায় একটি, বগুড়ায় চারটি, রংপুরে দুটি, লালমনিরহাটে একটি, গাইবান্ধায় নয়টি, পঞ্চগড়ে চারটি, ঠাকুরগাঁওয়ে চারটি, নীলফামারীতে ছয়টি, দিনাজপুরে একটি, চট্টগ্রামে ১১টি, সুনামগঞ্জে দুটি, হবিগঞ্জে একটি, যশোরে তিনটি, ঝিনাইদহে দুটি, খুলনায় দুটি, পিরোজপুরে দুটি এবং বাগেরহাট ও ভোলায় একটি করে বধ্যভূমি রয়েছে। এসব বধ্যভূমিতে ২ হাজার ৯৮৪টি সমাধি চিহ্নিত করা হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সূত্র জানায়, প্রস্তাবিত প্রকল্পের আওতায় প্রথমে দেশের ১৭৬টি বধ্যভূমি সংরক্ষণের উদ্যোগ নেয়া হলেও প্রয়োজনীয় তথ্যের অভাবে পরে ১২৯টি বধ্যভূমি সংরক্ষণ এবং সেখানে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়। প্রকল্পটি অনুমোদনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো হলেও সেখান থেকে তা দু’দফায় নতুন নতুন তথ্য চেয়ে ফেরত পাঠানো হয়। এ কাজের জন্য প্রথমে ৭১ কোটি ৪১ লাখ টাকার প্রস্তাব করা হলেও পরে বধ্যভূমির সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় ব্যয় ধরা হয়েছে ২৪৯ কোটি ৮১ লাখ টাকার কিছু বেশি। ওই কর্মকর্তারা জানান, সংরক্ষণের জন্য গণপূর্ত অধিদফতর বধ্যভূমির স্থান ও জমি চিহ্নিত করে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর পর তার ভিত্তিতে ডিপিপি তৈরি করা হয়। প্রস্তাবিত প্রকল্পটির সময়কাল ধরা হয়েছে চলতি বছরের জুন থেকে ২০১৭ সালের জুন পর্যন্ত। মন্ত্রণালয় সূত্র আরও জানায়, পরবর্তীতে মুক্তিযুদ্ধের ঐতিহাসিক স্থান সংরক্ষণের জন্য আরও একটি প্রকল্পের প্রস্তাব করা হয়েছে। এ প্রকল্পের জন্য চলতি বছরের আগস্টে জেলা প্রশাসকদের মাধ্যমে সারা দেশে এক হাজার ৮০টি ঐতিহাসিক স্থান চিহ্নিত করা হয়। এর মধ্যে সর্বোচ্চ চট্টগ্রাম জেলায় ৮৮টি এবং সবচেয়ে কম জামালপুর, ঝিনাইদহ, খাগড়াছড়ি, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, বরগুনা, রাঙ্গামাটিতে একটি রয়েছে। এছাড়া টাঙ্গাইলে ৬২টি, ময়মনসিংহ ও কুমিল্লায় ৪৭টি, পাবনায় ৪৫টি, কুষ্টিয়ায় ৩৯টি, বরিশাল ও যশোরে ৩৭টি করে, সিলেট ও বাগেরহাটে ৩০টি করে, বান্দরবানে ১৭টি, সিরাজগঞ্জে ২১টি, শেরপুরে ৯টি, মেহেরপুরে ২টি, ফরিদপুরে ১৪টি, গোপালগঞ্জে ৮টি, ভোলায় ৭টি, পঞ্চগড়ে ১৯টি, মাদারীপুরে ১৬টি, ফেনীতে ৬টি, সাতক্ষীরায় ২০টি, মানিকগঞ্জে ১৭টি, নোয়াখালীতে ১৪টি, নওগাঁয় ১৫টি, মাগুরায় ৯টি, গাইবান্ধায় ২২টি, লালমনিরহাটে ৯টি, দিনাজপুরে ১২টি, রংপুরে ২২টি, নীলফামারীতে ১৬টি, ঠাকুরগাঁওয়ে ৪টি, নড়াইলে ৮টি, শরীয়তপুরে ৩টি, মুন্সীগঞ্জে ৮টি, গাজীপুরে ১৫টি, লক্ষ্মীপুরে ৪টি, নাটোরে ৭টি, চাঁদপুরে ১৮টি, পটুয়াখালীতে ৩টি, জয়পুরহাটে ১০টি, নেত্রকোনায় ১৫টি, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ২১টি, সুনামগঞ্জে ১১টি, ঝালকাঠিতে ২১টি, রাজবাড়ীতে ৩টি, পিরোজপুরে ৭টি, বগুড়ায় ১২টি, ঢাকায় ৭টি, হবিগঞ্জে ৪টি, কুড়িগ্রামে ১৬টি, কিশোরগঞ্জে ২৭টি, খুলনায় ২৭টি, রাজশাহীতে ১৪টি, নারায়ণগঞ্জে ২৪টি, মৌলভীবাজারে ১২টি, কক্সবাজারে ২০টি, চুয়াডাঙ্গায় ৮টি এবং নরসিংদীতে ৮টি ঐতিহাসিক স্থান চিহ্নিত করেছেন জেলা প্রশাসকরা। এ বিষয়ে রিটকারীদের আইনজীবী মনজিল মোরসেদ বলেন, বর্তমান সরকারকে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সরকার হিসেবে জাতি গণ্য করে। কিন্তু এ সরকারের আমলেও মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি রক্ষার রায় উপেক্ষিত। কেন সরকার এ রায় বাস্তবায়ন নিয়ে কালক্ষেপণ করছে তা বোধগম্য নয়। তিনি আরও বলেন, এরই মধ্যে বধ্যভূমিগুলো চিহ্নিত করা হয়েছে। তবে সংরক্ষণ করা হয়নি। এছাড়া সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ঐতিহাসিক স্থানগুলোও চিহ্নিত করা হয়নি। তিনি এ বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, হাইকোর্টের রায়ে এসব ঐতিহাসিক স্থানের সঙ্গে সরাসরি যারা যুক্ত ছিলেন, তাদের দিয়ে চিহ্নিত করার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু যারা সরাসরি জড়িত ছিল, তারা মারা গেলে তো আর এগুলো চিহ্নিত করা সম্ভব হবে না।
×