ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

নৌঘাঁটি মসজিদে ককটেল

বাড়ি ছেড়েছে আটককৃতদের পরিবার

প্রকাশিত: ০৫:২১, ২০ ডিসেম্বর ২০১৫

বাড়ি ছেড়েছে আটককৃতদের পরিবার

বিডিনিউজ ॥ চট্টগ্রামে নৌবাহিনীর ঘাঁটি ঈশা খাঁর মসজিদে ‘ককটেল’ বিস্ফোরণের ঘটনার পর বাড়ি ছেড়েছে আটককৃত একজনের পরিবারের সদস্যরা। আটক রমজান আলীর বাড়ি দিনাজপুরের কাহারোল উপজেলার মুকুন্দপুর ইউনিয়নের মুকুন্দপুর গ্রামে। তার বাবার নাম আহসান হাবিব। স্থানীয় কয়েকজন জানিয়েছেন, রমজানের বাবা আহসান হাবিব পাশের গ্রামের ছোট ভাদগা মসজিদের ইমাম। রমজানের বড় ভাই রাশেদ পরিবারের সঙ্গেই থাকতেন। শনিবার দুপুরে ওই বাড়িতে সরেজমিন দেখা যায়, বাড়ির সামনের দরজায় তালা লাগানো। তবে খোলা ছিল বাড়ির পেছনের ফটক। বাড়িতে ঢুকে পাওয়া গেল তরিকুল নামে এক ব্যক্তিকে, যিনি নিজেকে ওই বাড়ির ‘কাজের লোক’ বলে পরিচয় দেন। তার বাড়ি পাশের বাঘমারা গ্রামে। তরিকুল জানান, শুক্রবার বিকেলে রমজানের বাবা তার বড় ছেলে রাশেদকে নিয়ে শ্বশুরবাড়ি বীরগঞ্জ উপজেলার কল্যাণী গ্রামে গেছেন। হঠাৎ কেন ঘরবাড়ি ফেলে শ্বশুরবাড়ি গেলেন- জানতে চাওয়া হলে নিরুত্তর থাকেন তরিকুল। শুক্রবার জুমার নামাজের পর ঈশা খাঁর মসজিদে বোমা বিস্ফোরণে অন্তত ছয়জন আহত হয়েছেন বলে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে। এ ঘটনায় তাৎক্ষণিকভাবে অবিস্ফোরিত আরও কয়েকটি বিস্ফোরকসহ একজনকে আটক করা হয়েছে বলে আইএসপিআরের ভাষ্য। অবশ্য পুলিশকে উদ্ধৃত করে গণমাধ্যমে রমজানসহ দু’জনকে আটকের খবর এসেছে। অপরজন হলেন আব্দুল মান্নান। তার বাড়ি টাঙ্গাইলের বাসাইল উপজেলায়। শনিবার র‌্যাব-১২ এর কর্মকর্তা মহীউদ্দীন ফারুকী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানিয়েছেন, চট্টগ্রামে ককটেল হামলার ঘটনায় আব্দুল মান্নান নামে একজন গ্রেফতার হওয়ার খবর তিনি জেনেছেন। ‘উর্ধতন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে তার বাড়ি টাঙ্গাইলের বাসাইলে। আমাদের খোঁজ নিতে বলা হয়েছে। আমরা খোঁজ নিচ্ছি। তবে সন্ধ্যা পর্যন্ত কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।’ তরিকুল জানান, রমজানের বাবাসহ পরিবারের অন্য সদস্যরা চলে যাওয়ার পর তার বাড়িতে রাখা অন্যজনের চারটি গরু সকালের দিকে গরুর মালিকরা নিয়ে গেছেন। এর আগে শুক্রবার রাতে র‌্যাব সদস্যরা ওই বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছে বলেও জানান তিনি। রমজানের প্রতিবেশী পল্লী চিকিৎসক তারিকুল ইসলাম জানান, রাজু দিনাজপুর পলিটেকনিকে পড়ালেখা করত। তবে পড়া শেষ করেছে কি-না তিনি তা জানেন না। প্রায় পাঁচ বছর আগে রমজান এলাকা ছেড়েছে বলেও জানান তিনি। নৌবাহিনীতে ব্যাটম্যানের চাকরি নিলেও এতদিন গ্রামের সবাই জানতেন রমজান ঢাকায় গার্মেন্টসে চাকরি করে। প্রায় দেড় বছর পর গত কোরবানির ঈদে সে বাড়ি এসেছিল। ওই পল্লী চিকিৎসক জানান, রমজানদের পরিবারের সদস্যরা ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলতেন। তবে রমজান গ্রামে কারও সঙ্গে তেমন কথাবার্তা বলতেন না।
×