ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

তানোর ও আড়ানীতে বিএনপির দুই বিদ্রোহী প্রার্থীর অগ্নিপরীক্ষা

প্রকাশিত: ০৫:২৯, ২০ ডিসেম্বর ২০১৫

তানোর ও  আড়ানীতে বিএনপির দুই বিদ্রোহী প্রার্থীর অগ্নিপরীক্ষা

মামুন-অর-রশিদ, রাজশাহী ॥ রাজশাহীর দুটি পৌরসভায় এবারের নির্বাচনে অগ্নিপরীক্ষার মুখে পড়েছেন বিএনপির দুই বিদ্রোহী প্রার্থী। তারা দুজনেই বর্তমানে মেয়র থাকলেও দল থেকে মনোনয়ন বঞ্চিত হয়েছে। এরা হলেন জেলার বাঘা উপজেলার আড়ানী পৌরসভার মেয়র নজরুল ইসলাম ও তানোর পৌরসভার মেয়র ফিরোজ সরকার। এই দুই প্রার্থী বিএনপির দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে এসে স্বতন্ত্র (বিদ্রোহী) প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করছেন। দলীয় নির্দেশ উপেক্ষা করায় এখনও তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। তবে যে কোন সময় তাদের দল থেকে আনুষ্ঠানিক বহিষ্কার করা হতে পারে। তবে এখন দল নয় বরং চ্যালেঞ্জ হিসেবেই তারা ভোটযুদ্ধে নেমেছেন। দলীয় ও স্থানীয় সূত্র জানায়, জেলার তানোর উপজেলা বিএনপি নেতা ফিরোজ সরকার এবার দ্বিতীয়বারের মতো নির্বাচন করছেন। গত নির্বাচনে দলীয় সমর্থন পেয়ে নির্বাচিত হলেও এবার মনোনয়নবঞ্চিত হয়েছেন। তবে অস্তিত্ব রক্ষায় তিনি বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। বিগত নির্বাচনে ফিরোজ সরকার প্রথম জয়ের স্বাদ নেন। এবারও প্রার্থিতা ঘোষণার আগে বর্তমান মেয়র ফিরোজ সরকারের আশা ছিল প্রথমবারের মতো দলীয় প্রতীকে হতে যাওয়া নির্বাচনে তিনি বিএনপির মনোনয়ন পাবেন। কিন্তু কেন্দ্রীয় বিএনপি নেতারা বিএনপির প্রার্থী হিসেবে তানোর যুবদলের সভাপতি মিজানুর রহমান মিজানকে বেছে নেন। ফলে বর্তমান মেয়র ফিরোজ সরকারদলীয় মনোনয়ন বঞ্চিত হয়ে বিদ্রোহী হিসেবে নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নেন। এদিকে জেলার আড়ানী বিএনপির আহ্বায়ক ও বর্তমান মেয়র নজরুল ইসলাম এবার তৃতীয় বারের মতো প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ২০১১ সালের আওয়ামী লীগ প্রার্থী মিজানুর রহমান মিনুর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে পরাজিত হন। তবে ওই নির্বাচনের ৬ মাসের মাথায় নির্বাচিত মেয়র মিজানুর রহমান মিনুর মৃত্যুতে উপ-নির্বাচনে অংশ নিয়ে জয়লাভ করে নজরুল ইসলাম। তবে এবার তিনি দলীয় মনোনয়নবঞ্চিত হন। পরেও দলীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে স্বতন্ত্র প্রার্থী (বিদ্রোহী) হিসেবে নির্বাচন করছেন তিনি। এবার তার প্রতীক মোবাইল ফোন। সূত্র মতে, এই নির্বাচনে তাকে সহযোগিতা করছে রাজশাহী মহানগর ও জেলা বিএনপির কয়েক প্রভাবশালী নেতা। নেপথ্যে থেকে জেলা ও মহানগর বিএনপির ওই সব নেতা তাদের অনুগত কর্মী দিয়ে নজরুল ইসলামকে জয়ী করার জন্য কাজ করে যাচ্ছেন।
×