ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

বরিশালে প্রচণ্ড শীতেও ভোটের হাওয়া গরম

প্রকাশিত: ০৫:৩১, ২০ ডিসেম্বর ২০১৫

বরিশালে প্রচণ্ড শীতেও ভোটের হাওয়া গরম

স্টাফ রিপোর্টার, বরিশাল ॥ জেলার ছয়টি পৌরসভা নির্বাচনে দলীয় মেয়র প্রার্থীর পক্ষে প্রকাশ্যে বিরামহীন গণসংযোগ শুরু করেছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় টিমের নেতৃবৃন্দরা। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের নামে এ নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীর বিজয় নিশ্চিত করতে নেতাকর্মীদের সাথে মতবিনিময় ও সাধারণ ভোটারদের কাছে প্রচারপত্র বিলির মাধ্যমে গত তিনদিনের গণসংযোগে প্রচ- শীতের মাঝেও ভোটের হাওয়ায় সরগরম হয়ে উঠেছে ছয়টি পৌর এলাকা। ইতোমধ্যে গঠন করা হয়েছে নির্বাচনী বিভাগীয় মনিটরিং সেল। দলীয় সূত্রমতে, প্রচ- শীতের মাঝে গত তিনদিন থেকে জেলার প্রবেশদ্বার গৌরনদী পৌরসভার দলীয় মনোনীত মেয়র প্রার্থী সফিকুর রহমান শরীফ স্বপনের ধানের শীষের পক্ষে বিরামহীন গণসংযোগ অব্যাহত রেখেছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ইঞ্জিনিয়ার আব্দুস সোবহানসহ নেতৃবৃন্দরা। ইতোমধ্যে তিনি (আব্দুস সোবহান) নেতাকর্মীদের নিয়ে একাধিক বৈঠক করেছেন। সাধারণ ভোটারদের মাঝে দলীয় প্রার্থীর হ্যান্ডবিল বিতরণের মাধ্যমে ব্যাপক গণসংযোগ করেছেন। এদিকে পৌর নির্বাচন নিয়ে বিএনপি গঠিত বিভাগীয় মনিটরিং সেলের সভা শুক্রবার সন্ধ্যায় নগরীর দলীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়। প্রার্থীদের অতীত নিয়ে কাদা ছোড়াছুড়ি এদিকে জেলার ছয়টি পৌরসভা নির্বাচনে আ’লীগ, বিএনপি, ওয়াকার্স পার্টি, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ও এনপিপি মনোনীত ২২ মেয়র প্রার্থীর পাশাপাশি বিরামহীন প্রচারে মাঠ সরগরম করে রেখেছেন ছয়টি পৌরসভার ১৮১ সাধারণ এবং ৫৮ সংরক্ষিত কাউন্সিলর প্রার্থী। গত দু’দিনের প্রচ- শীত তাদের আটকাতে পারেনি। প্রতিদিন ভোর থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত পুরুষ প্রার্থীর পাশাপাশি নারী কাউন্সিলর প্রার্থীর পদচারণায় মুখরিত পাড়া-মহল্লার প্রতিটি ওয়ার্ড। তবে সেক্ষেত্রে বাদ সেধেছে একে অপরের বিরুদ্ধে কাদা ছোড়াছুড়ির খেলা। সাধারণ ভোটারের কাছে এক প্রার্থী তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর অতীতের বিতর্কিত কর্মকা- প্রচারের মাধ্যমে গণসংযোগ করে যাচ্ছেন। গৌরনদী পৌর এলাকার জনগুরুত্বপূর্ণ ১নং ওয়ার্ডের সাধারণ কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৫ প্রার্থী। দক্ষিণাঞ্চলের ঐতিহ্যবাহী ব্যবসায়ী বন্দর টরকী ১নং ওয়ার্ডের অন্তর্ভুক্ত হওয়ায় ওই ওয়ার্ডের গুরুত্ব বেশি। সেখানকার একাধিক কাউন্সিলর প্রার্থী অভিযোগ করেন, প্রতিপক্ষ প্রার্থী এক সময়ে কসাই ছলেমান হাওলাদার নির্বাচনী আইন অমান্য করে সাধারণ ভোটারদের মাঝে বিপুল অঙ্কের টাকা বিলিয়ে যাচ্ছেন। এছাড়াও তিনি (ছলেমান) নির্বাচনে ৩০ লাখ টাকা ব্যয় করার ঘোষণা দিয়ে মাঠে নেমেছেন। অভিযোগে আরও জানা গেছে, এলাকার চিহ্নিত ভূমিদস্যু ও চাঁদাবাজ ছলেমান কালো টাকা ছড়িয়ে নির্বাচনের পরিবেশ নষ্ট করছেন। এ ব্যাপারে অন্যান্য কাউন্সিলর প্রার্থী সংশ্লিষ্ট দফতরে লিখিত অভিযোগ দেয়ার প্রস্তুতি নিয়েছেন। এমনটাই প্রচার করে গণসংযোগ করে যাচ্ছেন ওই ওয়ার্ডের অন্যান্য চার কাউন্সিলর প্রার্থী। তবে কাউন্সিলর প্রার্থী ছলেমান হাওলাদার নিজেকে নির্দোষ দাবি করে বলেন, আমার গণজোয়ার দেখে প্রতিপক্ষের প্রার্থীরা অপপ্রচার করে যাচ্ছেন। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জেলার ছয়টি পৌরসভার ১৮১ সাধারণ ও ৫৮ সংরক্ষিত কাউন্সিলর প্রার্থী একে অপরের বিরুদ্ধে অতীতের বিতর্কিত কর্মকা- প্রচারের মাধ্যমে এখন নির্বাচনী মাঠ সরগরম করে রেখেছেন।
×