ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

নিহত ১০২ সদস্য

পিকেকে নির্মূলে বড় অভিযান তুর্কি বাহিনীর

প্রকাশিত: ০৭:২৯, ২১ ডিসেম্বর ২০১৫

পিকেকে নির্মূলে বড় অভিযান তুর্কি  বাহিনীর

তুরস্কের সেনাবাহিনীর বড় ধরনের অভিযানে কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টির (পিকেকে) সন্দেহভাজন অন্তত ৭০ সদস্য নিহত হয়েছে। দেশটির দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চালের কুর্দিপ্রধান এলাকায় পাঁচ দিন ধরে এই অভিযান চলে। দেশটির সেনাবাহিনী শনিবার এ খবর জানিয়েছে। খবর এএফপির। তুর্কি সেনাবাহিনী তাদের ওয়েবসাইটে বলেছে, শুক্রবার থেকে আট পিকেকে বিদ্রোহী নিহত হয়েছে। তিনটি শহর ও নগরীতে পিকেকে সমর্থকদের ঘাঁটিতে সেনাবাহিনী ও পুলিশের ব্যাপক অভিযানে ১০২ জন নিহত হয়। সেনাবাহিনী আরও জানিয়েছে, তারা ইরাকের উত্তরাঞ্চলের সীমান্তবর্তী এলাকায় শুক্রবার পিকেকের গোপন আস্তানা ও অস্ত্র ঘাঁটিতে বিমান হামলাও চালিয়েছে। সেখানে নিষিদ্ধ এই দলটির বড় ঘাঁটি রয়েছে। এই অভিযানে শনিবার এক তুর্কি সেনা নিহত হয়েছে। এ নিয়ে এই অভিযানে সেনাবাহিনীর দুই সদস্য নিহত হয়। স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম জানিয়েছে, শহরাঞ্চলগুলো থেকে তরুণ পিকেকে সমর্থকদের হটিয়ে দিতে ট্যাঙ্কের সহায়তায় প্রায় ১০ হাজার সৈন্য মোতায়েন করা হয়েছে। সিরনাক প্রদেশের সিজরা ও সিলোপি শহরের পাশাপাশি ওই অঞ্চলের সবচেয়ে বড় শহর দিয়ারবাকিরেও বুধবার থেকে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়। এই অভিযানে বৃহস্পতিবারই ৩৬ জঙ্গী নিহত হয়েছে। তুর্কি সেনাপ্রধান শনিবার সিরনাক প্রদেশ সফর করেছেন। এই অভিযান তুর্কি সেনাবাহিনী ও পিকেকের মধ্যে পাঁচ মাস ধরে চলা সংঘর্ষকে আরও তীব্র করবে। এই দুই পক্ষের মধ্যে গত আড়াই বছর ধরে চলা অস্ত্রবিরতি চুক্তি জুলাই মাসে ভেঙ্গে পড়ে। বিশ্লেষকরা শান্তি আলোচনায় বসতে আহ্বান জানালেও প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইপ এরদোগানের নেতৃত্বাধীন কর্তৃপক্ষ বলেছে, আঙ্কারা অবশ্যই পিকেকেকে নির্মূল করবে। দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এফকান আলা গত সপ্তাহে রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা আনাতোলিয়াকে বলেছেন, সন্ত্রাসীরা এই শহরগুলোর বাসিন্দাদের ভয় দেখিয়ে, হুমকি দিয়ে দৈনন্দিন জীবনকে অচল করে দিতে চেয়েছিল। কর্তৃপক্ষ জঙ্গীদের কাছ থেকে দুই হাজার ২৪০টি অস্ত্র, ১০ টন বিস্ফোরক ও ১০ হাজার মলটভ ককটেল উদ্ধার করেছে। আনাতোলিয়ার প্রকাশিত ছবিতে দেখা গেছে, শহরগুলোতে ট্যাঙ্কের সহায়তায় ভারি অস্ত্রসজ্জিত সৈন্যরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে খোঁজ চালাচ্ছে।
×