ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

অগ্রগতির দশ দিগন্ত

প্রকাশিত: ০৭:৪২, ২১ ডিসেম্বর ২০১৫

অগ্রগতির দশ দিগন্ত

গড় আয়ু ৭০ বছর ৭ মাস দেশে কোন মহামারী নেই বিদ্যুত ব্যবহার করছে ৬৭ দশমিক ৮ শতাংশ মানুষ জন্মহার কমলেও বেড়েছে গ্রামে হামিদ-উজ-জামান মামুন ॥ সামাজিক দশ খাতে এগিয়েছে বাংলাদেশ। ২০১৪ সাল পর্যন্ত যেসব খাতে অগ্রগতি হয়েছে সেগুলো হচ্ছে মানুষের গড় আয়ু, শিক্ষার হার, স্বাস্থ্যসম্মত পায়খানার ব্যবহার, আলোর উৎস, বিশুদ্ধ পানির ব্যবহার, বিবাহের গড় বয়স, মাতৃমৃত্যু, শিশুমৃত্যু, নির্ভরশীলতার অনুপাত এবং জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতির ব্যবহার। তবে জন্মহার বেড়েছে গ্রামাঞ্চলে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর মনিটরিং দ্য সিচুয়েশন অব ভাইটাল স্ট্যাটেস্টিকস অব বাংলাদেশ প্রকল্পের প্রতিবেদনে এ চিত্র উঠে এসেছে। গড় আয়ু বৃদ্ধির ক্ষেত্রে স্বাস্থ্য খাতের উন্নতি এবং মাতৃমৃত্যু ও শিশুমৃত্যু কমানোর ক্ষেত্রে কমিউিনিটি ক্লিনিক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে বলে মনে করছেন বিশ্বব্যাংকের প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন। তাছাড়া সামাজিক খাতে অগ্রগতি অর্জনের ক্ষেত্রে সরকারী, বেসরকারী, এনজিও এবং উন্নয়ন সহযোগীদের যৌথ ভূমিকা রয়েছে বলেও মনে করেন এই অর্থনীতিবিদ। এ বিষয়ে পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের সদস্য (সিনিয়র সচিব) ড. শামসুল আলম জনকণ্ঠকে বলেন, কমিউনিটি ক্লিনিকসহ সরকারের নানা উদ্যোগের কারণে দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নতি হয়েছে। শিক্ষার হার বৃদ্ধি পাওয়ায় মানুষের মধ্যে সচেতনতা বেড়েছে। তাছাড়া এখন সুপেয় বিশুদ্ধ পানি প্রাপ্তির হার বেড়েছে। এসব কারণে আগে যেসব প্রাণঘাতী রোগ-বালাই দেখা দিত, বিভিন্ন রোগে মহামারী হয়ে মানুষ মারা যেত এখন সে সব আর নেই বললেই চলে। ফলে মানুষের গড় আয়ু বেড়ে এখন ৭০ বছর সাত মাসে দাঁড়িয়েছে এবং ক্রমান্বয়ে বাড়ছে। এটি সম্ভব হচ্ছে সরকারের নানামুখী কার্যক্রম গ্রহণের ফলে। এর মাধ্যমেই অনুমেয় যে, সরকারীভাবে যেসব কর্মসূচী পরিচালিত হচ্ছে সেগুলো সঠিক পথেই রয়েছে। রবিবার প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশের মানুষের গড় আয়ু বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭০ বছর ৭ মাসে, যা ২০১৩ সালের প্রতিবেদনে ছিল ৭০ বছর ৪ মাস এবং পাঁচ বছর আগে ২০১০ সালে ছিল ৬৭ বছর ৭ মাস। প্রতিবেদন অনুযায়ী, পুরুষের চেয়ে নারীরা বেশি দিন বেঁচে থাকছে। অর্থাৎ নারীদের গড় আয়ু বেশি। পুরুষের গড় আয়ু ২০১৪ সাল পর্যন্ত দাঁড়িয়েছে ৬৯ বছর এক মাস, যা ২০১৩ সাল পর্যন্ত ছিল ৬৮ বছর আট মাস। মহিলার গড় আয়ু একই সাল পর্যন্ত ছিল ৭১ বছর ৬ মাস, যা ২০১৩ সাল পর্যন্ত ছিল ৭১ বছর দুই মাস। পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব কানিজ ফাতেমা জনকণ্ঠকে বলেন, গড় আয়ু ছাড়াও বিভিন্ন ক্ষেত্রে অগ্রগতির চিত্র উঠে এসেছে এমএসভিএসবি প্রতিবেদনে। এগুলো হচ্ছে বিদ্যুতের ব্যবহার, টয়লেট সুবিধা, নির্ভরশীলতার অনুপাত, শিক্ষার হার, শিশুমৃত্যুর হার, মাতৃমৃত্যুর হার, জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ব্যবহার এবং স্থূল প্রতিবন্ধিতা ইত্যাদি ক্ষেত্রে। তিনি বলেন, দারিদ্র্য বিমোচনসহ গুরুত্বপূর্ণ আর্থ-সামাজিক অর্জনের ক্ষেত্রে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায় প্রতিনিয়ত পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। আমরা নিম্ন আয়ের থেকে এখন নিম্ন-মধ্য আয়ে উন্নীত হয়েছি। এরপর মধ্য আয় এবং উন্নত দেশে যাব। এ জন্য বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। সে সব কার্যক্রমের অর্জিত ফলাফল বিবিএসের এই প্রকল্পের মাধ্যমে উঠে আসে। এক কথায় একটি পরিবারের সামগ্রিক চিত্র তুলে আনা হয়েছে। এভাবে সঠিক চিত্র পেলে সরকারের পক্ষে সমন্বিত পরিকল্পনা করা সহজ হবে। এ প্রকল্পটি আগামীতে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) মূল্যায়নসহ গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশক মূল্যায়নে ভূমিকা রাখছে। প্রতিবেদনে আলোর উৎসের ক্ষেত্রে দেখা যায়, দেশে ২০১৪ সাল পর্যন্ত বিদ্যুত ব্যবহারকারী সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৭ দশমিক আট শতাংশে, যা ২০১৩ সালে ছিল ৬৬ দশমিক নয় শতাংশ এবং পাঁচ বছর আগে ২০১০ সালে ছিল ৫৪ দশমিক ছয় শতাংশ। এ ছাড়া কেরোসিন ব্যবহারকারী কমে দাঁড়িয়েছে ৩১ দশমিক চার শতাংশে, যা ২০১৩ সালে ছিল ৩২ দশমিক তিন শতাংশ এবং পাঁচ বছর আগে ছিল ৪৩ দশমিক এক শতাংশ। অন্যান্য আলোর উৎস ব্যবহার করে শূন্য দশমিক আট শতাংশ মানুষ, যা ২০১৩ সালে ছিল একই। তবে পাঁচ বছর আগে ২০১০ সালে এ হার ছিল দুই দশমিক তিন শতাংশ। বিশুদ্ধ পানি (ট্যাপ এবং নলকূপ) ব্যবহারের হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯৭ দশমিক আট শতাংশ, যা ২০১৩ সালে ছিল ৯৭ দশমিক পাঁচ শতাংশ। স্যানিটারি পায়খানা ব্যবহারের হার ২০১৪ সালে বেড়েছে। এ সময় ব্যবহারকারী বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৩ দশমিক পাঁচ শতাংশে, যা ২০১৩ সালে ছিল ছিল ৬৩ দশমিক তিন শতাংশ। খোলা স্থানে পায়খানা করে দুই দশমিক এক শতাংশ মানুষ, যা ২০১৩ সালে ছিল দুই দশমিক দুই শতাংশ। অন্যান্য স্থান ব্যবহার করে ৩৪ দশমিক চার শতাংশ মানুষ, যা ২০১৩ সালে ছিল ৩৪ দশমিক পাঁচ শতাংশ। জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ব্যবহারের ক্ষেত্রে দেখা গেছে গত পাঁচ বছরে এ হার বেড়েছে। জাতীয়ভাবে ২০১৪ সালে এ হার দাঁড়িয়েছে ৬২ দশমিক দুই শতাংশ, যা ২০১৩ সালে ছিল ৬২ দশমিক চার শতাংশ। কিন্তু গত পাঁচ বছরের তুলনা করলে দেখা যায় ২০১০ সালে জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতির ব্যবহারের হার ছিল মাত্র ৫৬ দশমিক সাত শতাংশ। পল্লী অঞ্চলে ২০১৪ সালে এ হার দাঁড়িয়েছে ৬১ দশমিক ছয় শতাংশে, যা ২০১৩ সালে ছিল ৬১ দশমিক আট শতাংশ। পাঁচ বছর আগে এ হার ছিল ৫৫ দশমিক তিন শতাংশ। শহর অঞ্চলে ২০১৪ সালে এ হার দাঁড়িয়েছে ৬৪ দশমিক পাঁচ শতাংশে, যা ২০১৩ সাল পর্যন্ত ছিল ৬৪ দশমিক এক শতাংশ। পাঁচ বছর আগে অর্থাৎ ২০১০ সালে ছিল ৬০ দশমিক নয় শতাংশ। মনিটরিং দ্য সিচুয়েশন অব ভাইটাল স্ট্যাটিস্টিকস অব বাংলাদেশ প্রকল্পের পরিচালক এ কে এম আশরাফুল হক জানান, এ প্রকল্পটির কার্যক্রম বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর একটি নিয়মিত ও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কার্যক্রম। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো ১৯৮০ সাল হতে আন্তঃশুমারি সময়ের জনতাত্ত্বিক তথ্য সংগ্রহের জন্য এ কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। এ কার্যক্রমের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে শুমারি মধ্যবর্তী বছরগুলোতে জনসংখ্যা বৃদ্ধির উপাদানসমূহ যথা- জন্ম, মৃত্যু, বিবাহ, আগমন, বহির্গমন এবং আর্থ-সামাজিক তথ্য সংগ্রহ, প্রক্রিয়াকরণ এবং নিয়মিতভাবে প্রকাশের মাধ্যমে পরিকল্পনাবিদ ও নীতিনির্ধারকগণকে সুষ্ঠু ও তথ্যভিত্তিক জনসংখ্যা পরিকল্পনায় সহায়তা করা। প্রতিবেদনে স্বাক্ষরতার ক্ষেত্রে দেখা গেছে সাত বছরের ওপরে জনসংখ্যার শিক্ষার হার জাতীয়ভাবে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৮ দশমিক ছয় শতাংশে, যা ২০১৩ সালে ছিল ৫৭ দশমিক দুই শতাংশ। পাঁচ বছর আগে ২০১০ সালে এ হার ছিল ৫৬ দশমিক আট শতাংশ। এক্ষেত্রে দেখা যায়, তুলনামূলকভাবে পুরুষের ক্ষেত্রে শিক্ষার হার বেড়েছে বেশি। পুরুষের শিক্ষার হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬০ দশমিক সাত শতাংশে, যা ২০১৩ সালে ছিল ৫৯ দশমিক তিন শতাংশ। মহিলার ক্ষেত্রে শিক্ষার হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৬ দশমিক ছয় শতাংশে, যা ২০১৩ সালে ছিল ৫৫ দশমিক এক শতাংশ। এক বছরের নিচে শিশুমৃত্যু হারের ক্ষেত্রে প্রতিবেদনে দেখা যায়, জাতীয়ভাবে এটি কমে ২০১৪ সালে দাঁড়িয়েছে ৩০ এ, যা ২০১৩ সালে ছিল ৩১। গত পাঁচ বছর আগে এই মৃত্যুর হার ছিল ৩৬। এক্ষেত্রে পুরুষ শিশুমৃত্যুর হার কমে ২০১৪ সালে হয়েছে ৩১, যা তার আগের বছর ছিল ৩২ এবং মহিলা শিশুমৃত্যুর হার কমে দাঁড়িয়েছে ২৮ এ, যা তার আগের বছর ছিল ৩১। মাতৃমৃত্যুর হার কমেছে। প্রতিবেদনে দেখা যায়, মাতৃমৃত্যুর হার কমে হয়েছে জাতীয়ভাবে এক দশমিক ৯৩ শতাংশ, যা ২০১৩ সালের প্রতিবেদনে ছিল এক দশমিক ৯৭ শতাংশ। পাঁচ বছর আগে এই হার ছিল দুই দশমিক ১৬ শতাংশ। অন্যদিকে পল্লী অঞ্চলে মাতৃমৃত্যুর হার কমে হয়েছে এক দশমিক ৯৬ শতাংশ, যা তার আগে বছর ছিল দুই দশমিক ১১ শতাংশ এবং শহরাঞ্চলে মাতৃমৃত্যুর এ হার সামান্য বেড়ে হয়েছে এক দশমিক ৭৭ শতাংশ, যা তার আগের বছর ছিল এক দশমিক ৪৬ শতাংশ। প্রজনন হারের ক্ষেত্রে দেখা গেছে এটি অপরিবর্তিত রয়েছে। তবে পল্লী অঞ্চলে এই হার বেড়েছে কিন্তু শহর অঞ্চলে কমেছে। জাতীয়ভাবে প্রজনন হার ২০১৪ সালে দাঁড়িয়েছে দুই দশমিক ১১, যা ২০১৩ সালে ছিল দুই দশমিক ১১। পল্লী অঞ্চলে ২০১৪ সালে দাঁড়িয়েছে দুই দশমিক ২২, যা ২০১৩ সালে ছিল দুই দশমিক ১৯। শহর অঞ্চলে ২০১৪ সালে দাঁড়িয়েছে এক দশমিক ৭৭, যা ২০১৩ সালে ছিল এক দশমিক ৮৪। ঢাকায় নিযুক্ত বিশ্বব্যাংকের প্রধান অথনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন জনকণ্ঠকে বলেন, গড় আয়ু বাড়ার একটি অন্যতম কারণ হচ্ছে ডেমোগ্রাফিক ফাক্টর। তাছাড়া স্বাস্থ্য খাতে উন্নতি হয়েছেই। আমরা যে যাই বলি সরকারী হাসপাতালগুলোতে কিন্তু ভাল সেবা দেয়া হচ্ছে। উদাহরণ হিসেবে তিনি বলেন, আমরা ড্রাইভারে মেয়ের হার্টের জটিল সমস্যা হয়েছিল, আমরা তার বেঁচে থাকার আশা ছেড়ে দিয়েছিলাম। কিন্তু শিশু হাসপাতালে স্বল্প ব্যয়ে তার অপারেশন করিয়ে এখন বাচ্চাটি সুস্থ রয়েছে। সরকারী হাসপাতালে অনেক দক্ষ চিকিৎসক রয়েছে। তা ছাড়া আগের দিনে মতো এখন আর কলেরা, আমাশয় বা টাইফয়েডে মানুষ মারা যায় না। এসব রোগ নেই বললেই চলে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কমিউনিটি ক্লিনিক মানুষের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্য সেবা নিয়ে গেছে। ফলে মাতৃমৃত্যু ও শিশুমৃত্যু কমছে। তিনি বলেন, সামাজিক অগ্রগতির ক্ষেত্রে বড় বিষয় হচ্ছে সচেতনতা। এখন তথ্যপ্রযুক্তির ব্যাপক ব্যবহার হচ্ছে। মানুষ অনেক বিষয় সম্পর্কে জানতে পারছে। আশরাফুল হক জানান, বর্তমান প্রতিবেদনটি ২০১৪ সালে মোট দেড় হাজার নমুনা এলাকা থেকে সংগৃহীত তথ্যের ভিত্তি করে প্রস্তুত করা হয়েছে। দেড় হাজারটি নমুনা এলাকায় মোট এক লাখ ৬০ হাজার ৮২৯টি পরিবার ছিল। নারী-পুরুষের লিঙ্গানুপাত ছিল ১০০ দশমিক পাঁচ। গত তিন বছরে লিঙ্গানুপাত কমেছে। ২০১২ সালে লিঙ্গানুপাত ছিল ১০৪ দশমিক নয়, যা ২০১৪ সালে হয়েছে ১০০ দশমিক পাঁচ। জনসংখ্যার মধ্যে ৩১ দশমিক সাত শতাংশ এর বয়স ১৫ বছরের নিচে। উচ্চ জন্মশীলতার এটা একটা কারণ। নির্ভরশীলতার অনুপাত উল্লেখযোগ্য পরিমাণে কমেছে যা ২০০২ সালে ৮০ এবং ২০১৪ সালে হয়েছে ৫৭। ২০০২-২০১৪ এ সময়ে ডিপেনডেন্সি রেশিও প্রায় ২৯ শতাংশ কমেছে। বাংলাদেশের মহিলারা এখনও উচ্চমাত্রায় পুরুষ দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। প্রতিবেদন অনুযায়ী বাংলাদেশে শতকরা ৮৭ দশমিক আট ভাগ পরিবারের খানা প্রধান হচ্ছে পুরুষ। বয়স্ক শিক্ষার হার বেড়েছে। ২০১০ সালে যা ছিল ৫৮ দশমিক ৬ শতাংশ এবং এ হার ২০১৪ সালে বেড়ে দাঁড়িয়েছে শতকরা ৬১ দশমিক ৪ ভাগে। জরিপের ফলাফল থেকে দেখা যায় গ্রামীণ জনসংখ্যার চেয়ে শহরের জনসংখ্যা প্রায় ৩০ শতাংশ বেশি শিক্ষিত। রবিবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর মহাপরিচালক আব্দুল মজিদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পরিকল্পনা সচিব মোহাম্মদ সফিকুল আযম। বিশেষ অতিথি ছিলেন সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের সদস্য ড. শামসুল আলম, পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব কানিজ ফাতেমা এবং ইউনিসেফের অফিসার অব ইনচার্য অনুরাধা নারায়ণ। প্রধান অতিথির বক্তবে মোহাম্মদ সফিকুল আযম বলেন, এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প। কেননা এ থেকে প্রাপ্ত তথ্যগুলো সরকারী নীতিনির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। প্রতিবেদন থেকে দেখা যাচ্ছে স্বাস্থ্য খাতের উন্নতিসহ সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করায় মানুষের গড় আয়ু বাড়ছে। যা উন্নতির একটি অন্যতম লক্ষ্য।
×