ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

মিসরে ফটো সাংবাদিকের মুক্তি, জনতার চাপে পদক্ষেপ

প্রকাশিত: ০৪:০১, ২২ ডিসেম্বর ২০১৫

মিসরে ফটো সাংবাদিকের মুক্তি, জনতার চাপে পদক্ষেপ

মিসরে নিষিদ্ধ ঘোষিত রাজনৈতিক দল মুসলিম ব্রাদারহুডের আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশের অভিযোগে আটক এক ছাত্রীকে মুক্তি দিয়েছে দেশটির সরকার। ওই ছাত্রীর ক্র্যাচে ভর দেয়া বিধ্বস্ত অবস্থার ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে ছড়িয়ে পড়ার পর জনগণের চাপের মুখে মিসরীয় সরকার এই নজিরবিহীন পদক্ষেপ নিল। খবর নিউইয়র্ক টাইমস। এসরা আল-তাওয়িল নামে ২৩ বছর বয়সী ওই ছাত্রী একজন ফটো সাংবাদিকও। তাকে জুন মাসে তার আরও দুই বন্ধুর সঙ্গে আটক করা হয়। মুসলিম ব্রাদারহুডের আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ এবং মিথ্যা সংবাদ প্রচারের অভিযোগ আনা হয় তার বিরুদ্ধে। গত দুই বছরে মিসরের কয়েক হাজার রাজনৈতিক বন্দীর বিরুদ্ধেও একই অভিযোগ আরোপ করা হয়েছে। তাওয়িল মানবিক কারণে মুক্তি পেলেও তার বিরুদ্ধে মামলা অব্যাহত থাকবে। কায়রোর এক আদালত শনিবার তাওয়িলের স্বাস্থ্যেও অবনতি ঘটায় তাকে আগাম সতর্কতামূলক মুক্তির নির্দেশ দেন। আদালত বলেছে, পুলিশের অনুমোদন ছাড়া তাওয়িলকে বাড়ির বাইরে যাওয়ার অনুমতি দেয়া হবে না এবং আগামী ৪৫ দিনের মধ্যে তাকে আদালতে হাজিরা দিতে হবে। মিসরের স্থানীয় সময় শনিবার রাত দেড়টার দিকে কায়রোর এক থানা থেকে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়। ২০১৪ সালের জানুয়ারিতে আরব বসন্তের তৃতীয় বর্ষপূর্তির বিক্ষোভের ছবি তোলার সময় পায়ে গুলি লাগে তাওয়িলের। তার পরিবার জানায়, জুন মাসের প্রথম দিকে কায়রো এক পিকনিক থেকে নিখোঁজ হয়ে যায় তাওয়িল। এর দুই সপ্তাহ পর তাকে কায়রো কাছে এক কারাগারে দেখা যায়। নবেম্বরে আদালতে হাজিরা দেয়ার সময় অশ্রুসিক্ত বিধ্বস্ত অবস্থার ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও অনলাইন সংবাদ পোর্টালগুলোতে ছড়িয়ে পড়ে। এরপরই তার মুক্তির আহ্বান জানিয়ে অনলাইনে প্রচার শুরু হয়। তার আইনজীবীরা ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলো সতর্ক করে বলে যে, তাওয়িল কারাগারে সঠিক চিকিৎসা পাচ্ছে না। একই সময় যুক্তরাজ্যভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা এ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল তাওয়িলের মুক্তির আহ্বান জানায় এবং হুশিয়ার করে বলে যে, তিনি স্থায়ীভাবে পঙ্গু হয়ে যেতে পারেন। গত সপ্তাহে মিসরের প্রেস সিন্ডিকেট বলেছে, দেশটিতে ৩২ সাংবাদিক জেলে রয়েছে। তবে দেশটির সরকার বার বারই বলে আসছে যে, আটক সাংবাদিকরা ফৌজদারি অপরাধের অভিযোগে জেলে রয়েছে।
×