সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের মতো একনায়কদের ক্ষমতা থেকে সরানো যুক্তরাষ্ট্রের উচিত হবে না বলে মন্তব্য করেছেন দুই মার্কিন প্রেসিডেন্ট মনোনয়ন প্রত্যাশী বার্নি স্যান্ডার্স ও ডোনাল্ড ট্রাম্প। রবিবার ‘মিট দ্য প্রেস’ অনুষ্ঠানের আলাদা দুটি পর্বে প্রায় একই মন্তব্য করেন পরস্পরবিরোধী দুই দলের দুই প্রেসিডেন্ট মনোনয়ন প্রত্যাশী। খবর এনবিসি টেলিভিশনের।
উভয় প্রার্থীই বলেছেন, লিবিয়ার মুয়াম্মাম গাদ্দাফি ও ইরাকের সাদ্দাম হোসেন ক্ষমতায় থাকলে মধ্যপ্রাচ্য আরও কম বিশৃঙ্খল থাকত। এ দুজন ক্ষমতা হারানোর পর ওই অঞ্চলে বিভিন্ন চরমপন্থী গোষ্ঠীর আবির্ভাব ঘটেছে এবং ইসলামিক স্টেট (আইএস) যুক্তরাষ্ট্রের জন্য বড় ধরনের হুমকি হয়ে উঠেছে।
ডেমোক্র্যাট দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী স্যান্ডার্স বলেন, গাদ্দাফি, সাদ্দাম হোসেন এবং আসাদ ঠিক জায়গায় থাকলে ওই অঞ্চলটি অনেক স্থিতিশীল থাকত। এ বিষয়ে পুরোপুরি সহমত প্রকাশ করে রিপাবলিকান দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মধ্যে সবচেয়ে এগিয়ে থাকা ট্রাম্প বলেন, হান্ড্রেড পার্সেন্ট এ বিষয়ে আপনাদের মনে কোন সন্দেহ আছে? অন্য বিষয়গুলোতে এ দুজনের মতের তেমন কোন মিল না থাকলেও উভয়েই ২০০৩ সালে ইরাকে যুক্তরাষ্ট্রের চালানো দখল অভিযানকে ভুল মনে করেন।
নিজ দলীয় প্রতিদ্বন্দ্বী হিলারি ক্লিনটনের সমালোচনা করে স্যান্ডার্স ২০০৩ সালের ইরাক দখলে হিলারির সমর্থনের কথা ভোটারদের স্মরণ করিয়ে দেন। ইরাক দখলের পর সেটিকে ভুল বলে অভিহিত করা হিলারি আসাদকে দ্রুততার সঙ্গে সরানোর বিষয়টি সমর্থন করেছেন উল্লেখ করে তার সমালোচনা করেন স্যান্ডার্স। তিনি বলেন, ২০১১ সালে হিলারি যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী থাকার সময় লিবিয়ায় বোমাবর্ষণ করে গাদ্দাফির পতন ত্বরান্বিত করেন। কিন্তু এতে যে শূন্যতা তৈরি হয় চরমপন্থী গোষ্ঠীগুলো তা পূরণ করে। এখন ওই অঞ্চলে সৃষ্টি করা অস্থিশীলতা ও গোলযোগের সুযোগে আইএস লিবিয়ায় অবস্থান তৈরি করে নিচ্ছে।