ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

‘এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আয়-ব্যয়ে নজরদারিতে আইন’

প্রকাশিত: ০০:২০, ২২ ডিসেম্বর ২০১৫

‘এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আয়-ব্যয়ে নজরদারিতে আইন’

স্টাফ রিপোর্টার ॥ এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আয়-ব্যয় নজরদারির আওতায় আনতে সরকারি উদ্যোগের কথা জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। এ বিষয়ে একটি আইন করার কাজ চলছে বলেও বলেও জানিয়েছেন তিনি। মঙ্গলবার এক আলোচনায় অংশ নিয়ে এ বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, এটা আমরা অনেক আগে থেকে উপলব্ধি করছি। কারণ এখন সরকার থেকে বেতন যায়। কোনো স্কুলের আয় বেশি, কোনো স্কুলের আয় কম। …সেই আয় যথাযথভাবে কাজে লাগে কি লাগে না, তা বের করা বেশ কঠিন কাজ। নাহিদ জানান, এ বিষয়টি দেখতে ৩৪ জন জনবলের একটি দপ্তর কাজ করলেও দেশে এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যাই ৩৭ হাজার। ফলে একবার ‘মনিটরিং’ শেষ করতেই ১০-২০ বছর লেগে যাওয়ার কথা। এজন্য আমরা একটি বিশেষ উদ্যোগ নিয়ে ওই তথ্যগুলো আনার চেষ্টা করছি। সেই সঙ্গে আমাদের আইনেরও একটা সমর্থন দরকার। এজন্য আমরা আইনও তৈরি করছি। তিনি বলেন, এ বিষয়গুলোর হিসাবে নিয়ে আমরা দেখব, ওই অর্থের যেন অপচয় না হয়, বেআইনি পথে কেউ যেন তা ব্যয় করতে না পারে। আমরা আশা করি, এক মাসের মধ্যেই আইন সংসদে নিয়ে আসব। বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরামের উদ্যোগে আয়োজিত এ আলোচনায় আরেক প্রশ্নের জবাবে নাহিদ বলেন, এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর ব্যয়ের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা আনতে একটি নীতিমালাও ঠিক করে দেওয়া হবে। যে অর্থ, সেটা জমা হবে। খরচ করার ক্ষমতাও দিয়ে দেওয়া হবে। অথবা সরকার এই টাকাটা নিয়ে এসে পরে দেবে। কোনটা হবে, না হবে, সংসদ চূড়ান্তভাবে আইন করবে। আমরা প্রাথমিক প্রস্তুতি নিয়ে আইন করছি। এ উদ্যোগের বাস্তবায়ন হলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর আয়-ব্যয়ে কোনো বিশৃঙ্খলার সুযোগ থাকবে না বলেও মন্তব্য করেন মন্ত্রী। আইনের ভিত্তিতেই স্বচ্ছতা হবে, এটা টাকাটা কোথায় জমা দেবে, নিজেদের অ্যাকাউন্টে রাখবে, না স্কুলের অ্যাকাউন্টে রাখবে, সরকারকে দিয়ে দিবে? প্রয়োজনীয় টাকা সেখান থেকে পাবে, নাকি আমরা দিয়ে দেব শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এইটা আইনের বিধিবিধানে হবে। আইনেতো এতো কথা বলা হবে না। বলা হবে, ওই অর্থটা স্কুলের বা সরকারি কাজের মধ্যে চলে আসবে। নয়তো আইন বিশাল হয়ে যাবে। টাইম স্কেলের মাধ্যমে পরবর্তী ধাপে যাওয়ার যে সুবিধা বিশ্ববিদ্যালয় ও বিসিএস শিক্ষকরা পেতেন- নতুন বেতন কাঠামো হওয়ার পর তা কীভাবে দেওয়া যায়, সে বিষয়েও সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানান নাহিদ।
×