ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

ঢাকার ফুটবলে একসময় মাঠ কাঁপিয়েছেন রথী-মহারথীরা। রঙিন সময়ের সেই সব স্বপ্নের তারকারা যেন এখন অনেকটাই অগোচরে! মাঠ কাঁপানো সেই সব সাবেক কিংবদন্তিকে নিয়ে ধারাবাহিকভাবে প্রতিবেদন রচনা করছে দৈনিক জনকণ্ঠ। এবার পাঠকদের সামনে উপস্থাপন করা হলো সাবেক তারকা ফুটবলার খন

সুদর্শন ফুটবলার ওয়াসিম

প্রকাশিত: ০৬:১২, ২৩ ডিসেম্বর ২০১৫

সুদর্শন ফুটবলার ওয়াসিম

বাংলাদেশের ফুটবলের ইতিহাসে ঠিক হ্যারিকেন বা টর্নেডোর মতো একজন খেলোয়াড় মাঠে আবির্ভাব হতেন, উপকূলে যেন সেই ১৯৭০-এর বয়ে যাওয়া গোরকিকেও হার মানাতেন, খেলায় হারজিত যাই হতো খেলার পর তিনি নীরব নিশ্চুপ। যিনি ঢাকা প্রথম বিভাগ ফুটবলে নাম লেখানোর পর থেকে অবসরে যাওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশের সেরা রাইট উইংগার এবং জাতীয় দলের অপরিহার্য খেলোয়াড় হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন। তিনি খন্দকার ওয়াসিম ইকবাল। লক্ষ ফুটবল সমর্থকরা যাকে চিনতেন ড্রিবরিং মাস্টার ওয়াসিম হিসেবে। দেখতে ছিলেন সুদর্শন তবে দর্শকদের মন জয় করেছিলেন তার খেলা দিয়েই। সাইড লাইন দিয়ে বল নিয়ে দ্রুত গতিতে ছুটে যেতেন বিপক্ষ সীমানায়। দিতেন চমৎকার ক্রস যা থেকে গোল করতে সতীর্থদের মোটেও বেগ পেতে হােত না। বল নিয়ন্ত্রণ, রানিং উইথ দ্য বল, নিখুঁত সেন্টার ও চোখ জুড়ানো শট দিয়ে বুঝিয়ে দিতেন তিনি একজন শৈল্পিক ও স্টাইলিশ ফুটবলার। স্পিড, ট্যাকলিং, বল ডিস্ট্রিবিউশন ও ম্যাচ টেম্পারামেন্টের কারণে তিনি দেশের সেরা রাইট উইঙ্গারে পরিণত হন। তাঁর খেলায় ছিল বৈচিত্র্য, গতি, শক্তি, অনমনীয় দৃঢ়তা ও স্টাইল। তৎকালীন সময়ে বাংলাদেশের ফুটবল সমর্থকরা দুটি ভাগেই বিভক্ত ছিলÑ মোহামেডান এবং আবাহনী। সমর্থকরা ভাবতেন এই দুই দলের খেলোয়াড়দের নিয়েই। এরপরও সমর্থকরা ওয়াসিম যিনি ব্রাদার্স ইউনিয়নের খেলোয়াড় হওয়া সত্ত্বেও তাকে নিয়ে হিসাব-নিকাশ এবং চুলচেরা বিশ্লেষণ করতে ভুল করতেন না। ব্রাদার্সের সঙ্গে বড় দু’দলের খেলা হলে সবার নজর থাকত ওয়াসিমের দিকেই। ওয়াসিম ইকবালের জন্ম ঢাকার আজিমপুরে ১৯৬২ সালে। স্কুল রামকৃষ্ণ মিশন, কলেজ জগন্নাথ। স্কুল জীবন থেকেই ফুটবলের সঙ্গে সখ্য। ছোট বেলায় মেজর হাফিজ উদ্দিন, মনোয়ার হোসেন নান্নু, শামশুল আলম মঞ্জু, এনায়েত, গোলাম সারওার টিপু, সালাহউদ্দিন আর শান্টুদের খেলা আর খেলার ধরন দেখেই বড় ফুটবলার হওয়ার বীজ মনের মধ্যে গেঁথে ফেলেন। তবে গ্যালারিতে বসে সব স্টারদের খেলা দেখতে দেখতে বেড়ে উঠা ওয়াসিম যে একদিন এই মাঠ কাঁপাবেন সেটা তিনি বুঝে উঠতে পারেননি। অবশেষে তিনিই একদিন ফুটবল মাঠ কাঁপিয়েছেন। মাঠ থেকে শ্রবণ করেছেন সমর্থকদের চিৎকার। কখনো আনন্দ কখনো বেদনায় বিভোর হতেন। বাবা-মায়ের অনুপ্রেরণা আর কোচ গফুর বেলুচ এর নিবিড় প্রশিক্ষণ ওয়াসিমকে একজন দক্ষ ফুটবলার হতে সাহায্য করেছে। স্কুলে না গেলে কোন কৈফত দিতে হতো না। কিন্তু একদিন ফুটবল অনুশীলনে না গেলে অনেক কথা শুনতে হতো বাবার কাছ থেকে। আর মা সর্বদাই থাকতেন ছেলের জন্য ব্যস্ত। ছেলের জার্সি ধুয়ে দেয়া বুট পরিষ্কার করা থেকে যাবতীয় কাজ। কখনোই বিরক্ত হতেন না। শুরুতেই জুনিয়র ব্রাদার্স দলের হয়ে খেলেন ওয়াসিম। পরে কোচ সেলিমের বদৌলতে সিনিয়র দলে অনুশীলনের সুযোগ হয়। পরবর্তীতে ম্যাট্রিক পরীক্ষার পর পুরোপুরি সিনিয়র দলেই খেলার জায়গা হয়ে যায়। প্রথম দিকে স্ট্রাইকিং পজিশনে খেললেও পরে রাইট উইং পজিশনে খেলেন। এ প্রসঙ্গে জানা যায়, সে সময় রাইট উইং এ খেলতেন সবুর, তার পা ভেঙ্গে গেলে সে পজিশনে ওয়াসিমকে খেলতে হয়। তারপর মূল একাদশে। এরপর শুধুই পথচলা। তিনি শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন গফুর বালুচকে যিনি তাকে শিখিয়েছিলেন একজন আদর্শ খেলোয়াড় হিসেবে কিভাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করা যায়। বাংলাদেশে সেরা ড্রিবলারের নাম বলতে গেলে অনায়াসেই ওয়াসিমের নাম চলে আসে। ড্রিবলিং করে দু’চারটা খেলোয়াড়কে কাটাতে তিনি খুব স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করতেন। এই ড্রিবলিংটা রপ্ত করেছিলেন ছোটবেলা থেকেই। তবে কিছু সময়ের জন্য কেবল একটি কাজ করেছিলেন। তখন বিটিভিতে মাঝেমধ্যে বিদেশের ফুটবল খেলা দেখাত। আর ব্রাদার্স ক্লাবে প্রজেক্টর এনেও বিখ্যাত সব ম্যাচের ভিডিও দেখানো হতো। তাতে হল্যান্ডের কিংবদন্তি ফুটবলার ইয়োহান ক্রুইফ ও ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের জর্জ বেস্টের খেলা তার মনে ধরে যায়। তিনি জানান তাঁরা ছিলেন সত্যিকারের মাস্টার ড্রিবলার। তাঁদের বডি মুভমেন্ট দেখে, কিভাবে অন্যদের ডজ দেন তা দেখে দেখে অনুশীলনের চেষ্টা করতেন। তবে তিনি জানান ড্রিবলিং করে যদি নিজে অথবা অপরকে দিয়ে গোল না করানো যায় তবে তা সবই বৃথা। বাংলাদেশের সেরা ড্রিবলার কে? এমন প্রশ্ন করলে ওয়াসিম দুজনের নাম উল্লেখ করেন। চুন্নু এবং সাব্বির। তাদের ড্রিবলিং ছিল চোখে ধরার মতো। শুধু দেখতেই মন চাইতো। সে সময় চুন্নুর সঙ্গে বিরোধ প্রসঙ্গে ওয়াসিম বলেন, চুন্নু ভাই আমার আদর্শ খেলোয়াড় ছিলেন। আমাদের মাঝে সম্পর্ক ছিল অন্যরকম। এক কথাতেই পরিষ্কার হয়ে যাবেন ২০০৬ সালে যখন আমি জাতীয় পুরস্কার পাই সেখানে আমার নাম প্রস্তাব করেছিলেন চুন্নু ভাই। তখনও চুন্নু ভাই জাতীয় পুরস্কার পাননি। ব্রাদার্সের পরিবর্তে মোহামেডান কিংবা আবাহনীতে যদি খেলতেন তবে খ্যাতি আরও বাড়তো কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে হাসি দিয়ে ওয়াসিম বলেন, ‘সমর্থকরা যদি সেটাই মনে করেন তবে আমার খ্যাতিতো সেখানেই হয়ে গেছে। আসলে সেরা খেলোয়াড়, খ্যাতি এসব আমার খেলোয়াড়ি জীবনে কখনোই চিন্তা করিনি। ভাল খেলতে হবে শুধু এটুকুই বুঝতাম। খেলাকে উপভোগ করতাম। ওই সময় আবাহনী-মোহামেডান থেকে যে অফার পেতাম না তা নয়। সে ক্ষেত্রে ব্রাদার্স ছেড়ে কখনো অন্য দলে খেলব ভাবিনি। তারপরও মঞ্জুর কাদের ভাইয়ের কথা রক্ষার জন্য আবাহনীতে দুই মৌসুম খেলেছিলাম। পরে আবার ব্রাদার্সে ফিরে আসি। মজার বিষয় কি জানেন? আমার সেরা গোলের একটি ছিল ১৯৮৯-৯০ মৌসুমে লিগে আবাহনীর হয়ে ব্রাদার্সের বিরুদ্ধে। মাঝ মাঠ থেকে বল নিয়ে গোলটি করেছিলাম। আনন্দ করতে করতে মাঠের বাইরে চলে আসায় আমাকে হলুদ কার্ড দেখতে হয়। ক্যারিয়ারের দুটি হলুদ কার্ডের সেটি ছিল একটি।’ ফুটবলের অনেক আনন্দ-বেদনার আলোচনায় তিনি একটি বেদনার কথা জানান। সেটা ১৯৮৫ সালে ব্রাদার্সের হয়ে আবাহনীর বিরুদ্ধে একটা চরম মিস, যা আজও তাকে পীড়া দেয়। তিনি এ প্রসঙ্গে জানান, ‘সেন্টার লাইনের একটু পর আমি বল পাই। প্রতিপক্ষের চার ডিফেন্ডার ছিল এক লাইনে। বুটের ডান পাশ দিয়ে বল বের করে পাকির আলীকে এক ডজে কাটিয়ে নিই, সঙ্গে আবাহনীর পুরো ডিফেন্সই আমার পেছনে পড়ে গেল। সামনে শুধু গোলরক্ষক চন্দ্রসিঁড়ি। এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছিল যে কোনভাবেই আমি গোল করতে পারতাম। গোলরক্ষক এগিয়ে আসায় চাইলাম ওপর দিয়ে মেরে লব করে বল জালে জড়াতে। কিন্তু আমাকে অবাক করে দিয়ে বলটি উঠলই না! আস্তে গড়িয়ে গড়িয়ে সেটি বেরিয়ে গেল পোস্ট ঘেঁষে, আমি হতবাক হয়ে গিয়েছিলাম। পরে আমরা ম্যাচটি ২-০ গোলে এগিয়ে থাকার পরও ৩-২ গোলে হেরে যাই, লিগও আর জিততে পারিনি। আমারও মাঝেমধ্যে মনে হয়, ইস্ গোলটি দিলেই তো খেলা সেখানেই শেষ হয়ে যেত। ব্রাদার্স পেত সেই কাক্সিক্ষত শিরোপা। এই বিষয়টা মনে হলেই খুব কষ্ট পাই।’ ফুটবলার ওয়াসিম ছাড়াও একটা পরিচয় আপনার আছে? হেসে বলেন নায়ক ওয়াসিম। সে এক মজার অভিজ্ঞতা। ওই সময়ে দেখতে বেশ সুন্দর ছিলাম তো, সিনেমায় অভিনয়ের প্রস্তাব প্রায়ই আসত। কখনো হ্যাঁ বলিনি। মাঠে যুদ্ধ করেছি ফুটবল নিয়ে কিভাবে আমি একজন নায়িকার সঙ্গে নাচানাচি করব, ভিলেনের সঙ্গে মারামারি করব? শেষ পর্যন্ত তা করতে হলো আজহার ভাইয়ের জন্য। তিনি ছিলেন আমাদের ক্লাবের ফুটবল সেক্রেটারি, সঙ্গে আবার সিনেমার প্রযোজকও। একদিন এই ক্লাবে বসে আড্ডা দিতে দিতে একটা সিনেমা করে দেয়ার কথা বলেন। কথার কথা হিসেবে বলেছিলাম করে দেব। দু’দিন পর এসে তিনি বলেন, ‘আজ থেকে শূটিং শুরু ’ যেন আমার মাথায় বজ্রপাত এসে পড়ল। অবশেষে তা শুরু করে শেষ করতে পাঁচ বছর সময় লেগেছিল। ছবির নাম ছিল ‘জনি ওস্তাদ’। আমার নায়িকা ছিল নুসরাত জাহান হাসি নামের একটি মেয়ে। এ ছাড়াও ছবিটিতে অভিনয় করেছিলেন রাজ্জাক, অঞ্জু ঘোষ, এটিএম শামসুজ্জামানরা। নিজেদের সময়ে কোন ডিফেন্ডারকে সমীহ করতেন? প্রশ্ন শেষ না হতেই সরাসরি জানান আবাহনীর পাকির আলীকে। এ বিষয়ে তিনি একটি ঘটনার কথা উল্লেখ করেন ব্রাদার্স-আবাহনী ম্যাচ। শেষ ডিফেন্ডার পাকির আলী। পাকির আলী সে সময় ঢাকা মাঠের শ্রেষ্ঠ স্টপার। ওর প্লেয়ার রিড করার ক্ষমতা ছিল অসাধারণ। ঢাকার মাঠে কে কোন ধরনের খেলোয়াড় এবং কাকে কিভাবে সামাল দিতে হবে সে খুব ভাল বুঝতো। আবাহনী ব্রাদার্সের খেলায় ডি বক্সের বাইরে সোজা আমার পায়ের ওপর মারল। এর আঘাতে প্রায় তিন সপ্তাহ বাধ্য হলাম মাঠের বাইরে থাকতে। এর কিছুদিন পর ঘটল এক অদ্ভুত ঘটনা। আমার গোপীবাগের বাড়িতে সস্ত্রীক দাওয়াত খেতে এলো পাকির আলী। আমার মা তো তাকে বলেই বসলেন যে, তুমি আমার ছেলেকে ইচ্ছা করে মেরেছ? উত্তরে হাতজোড় করে পাকির বলল, মা মাফ করে দাও। পাকিরের স্ত্রী ঘটনাটি জানার পর তার স্ত্রী পাকিরকে বলেছিল, যে খেলায় বন্ধুকে মারতে হয় সে খেলা ছেড়ে দেয়াই উচিত। বেশিরভাগ সময় ব্রাদার্সের খেলার কারণে বেশি মার খেতে হয়েছে, এমন কথাও জানান ওয়াসিম। তার ভাষ্যে, পাকির আলী তাকে যে ফাউলটা করেছিল এর শাস্তি লাল কার্ড। কিন্তু পাকির হলুদ কার্ডও পায়নি। আবাহনী-মোহামেডানে খেললে এমনি এ্যাডভ্যান্টেজ পাওয়া যেত। আর যেহেতু ব্রাদার্স দুই বড় দলের প্রধান হুমকি। তাই ব্রাদার্সের ওপর অবিচারটাও হতো বেশি। ব্রাদার্সের বিপক্ষে ম্যাচে পিছিয়ে আছে মোহামেডান কিংবা আবাহনী এমন অবস্থায় কত কা-ই না দেখেছে সমর্থকরা ঢাকার মাঠে। অতিরিক্ত পাঁচ/ছয় মিনিট বেশি খেলানোর মতো ঘটনাটাও ঘটেছে ব্রাদার্সের বিপক্ষে। খেলার মাঠে বেশি মারপিট করে ব্রাদার্স সমর্থকদের এমন একটা দুর্নাম কিন্তু আছে। অকারণে ব্রাদার্স সমর্থকরা মারামারি করেছে এমন একটা উদাহরণও কেউ দেখাতে পারবে না। ফর্ম থাকার পরও ১৯৯২ সালে খেলা ছেড়ে দিলেন কেন? উত্তরে ওয়াসিম নান্নুর একটা কথা টেনে আনেন। নান্নু এক আলোচনায় বলেছিলেন, ‘যখন দেখি ছোট ভাইয়ের বয়সী কোন খেলোয়াড় আমাকে ফাঁকি দিয়ে চোখের সামনে দিয়ে বল নিয়ে যাচ্ছে আমি কিছুই করতে পারছি না তখন খেলা ছেড়ে দেয়াই উচিত।’ নান্নু ভাইয়ের এই কথাটি আমি অক্ষরে অক্ষরে পালন করেছি। আনুষ্ঠানিক বিদায়ের ধার না ধরে সময়মতো খেলা ছেড়ে দেয়াটাই আমি প্রাধান্ন দিয়েছি। সময়মতো খেলা ছেড়ে দেয়াটা একটা পরীক্ষা, আমি সেই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছি বলে মনে করি। আমি মাঠ থেকে মাথা উঁচু করেই বেরিয়েছি। নিজে গোল করা কিংবা গোল করানো দুটোতেই দক্ষ ছিলেন ওয়াসিম। কখনো নিশ্চিত না হয়ে গোলে বল মারতেন না। ফুটবল খেলে কি তৃপ্ত কিনা এই প্রশ্ন করলে ওয়াসিম একটি ঘটনার কথা বলেন, এক রিক্সাওয়ালা তাকে বলেছিলেন ভাই ১৯৮৫ সালে আবাহনীর বিরুদ্ধে যদি ওই মিসটা না করতেন তাহলে ব্রাদার্স চ্যাম্পিয়ন হতো আর আপনি এত তাড়াতাড়ি খেলা ছেড়ে দিলেন কেন? এই প্রশ্নটা তাকে অবাক করেছিল বটে তবে তিনি সম্মানিত বোধ করেছিলেন। একজন খেটে খাওয়া মানুষ তাকে ফুটবলার হিসেবে মনে রেখেছে এই পৃথিবীতে আর কি চাওয়ার আছে। বাবা মৃত খন্দকার রকিবুল হোসেন, মা এইচএম সুলতানা কানাডা প্রবাসী। ঢাকার গোপীবাগে স্ত্রী ইসরাত আর এক ছেলে এক মেয়ে নিয়ে সংসার। পুরো জীবন নিয়ে তৃপ্ত ওয়াসিম। ফুটবল খেলা ছেড়ে দিলেও ফুটবলের সঙ্গেই নিজেকে জড়িয়ে রেখেছেন। দেশে ফুটবলের স্বর্ণযুগ আবারও ফিরে আসবে এটা তার বিশ্বাস।
×