ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

দুই মহিলাসহ চারজন গ্রেফতার

সোনা চোরাচালান ফের শুরু ॥ শাহজালালে ১৪ কেজির চালান আটক

প্রকাশিত: ০৬:০০, ২৪ ডিসেম্বর ২০১৫

সোনা চোরাচালান ফের শুরু ॥ শাহজালালে ১৪ কেজির চালান আটক

স্টাফ রিপোর্টার ॥ দীর্ঘ বিরতির পর আবারও শুরু হয়েছে সোনা চোরাচালান। গত মাসে এক মণ ধরার পর বুধবার আটক করা হয় ১৪ কেজির একটা চালান। শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এ স্বর্ণসহ চারজনকে আটক করেছে শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগ। আটকদের মধ্যে দু’জন নারী। দুপুরে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট থেকে নামার পর বিমানবন্দরে ওই চারজনকে আটক করা হয়। আটক চারজন হলেন আনোয়ারা বেগম (৩০), নাহিদা ফারজানা মনি (২৫), আনোয়ার পারভেজ (২৫) এবং ওসমান সোহেল (২৯)। আনোয়ারা ও নাহিদা চট্টগ্রামের পার্লারকর্মী। তাদের কাছে সাড়ে ১৪ কেজি ওজনের ১২৫ পিস স্বর্ণের বার পাওয়া যায়। এ স্বর্ণের আনুমানিক মূল্য সাত কোটি টাকা। শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের মহাপরিচালক ড. মইনুল খান জানান, কুয়েত-চট্টগ্রাম-ঢাকা রুটে চলাচলকারী বাংলাদেশ বিমানের বিজি ০৪৬ ফ্লাইট শাহজালালে নামার পর ওই চারজনকে আটক করা হয়। স্বর্ণ চোরাচালানকারী দুই পুরুষ সদস্য কুয়েত থেকে স্বর্ণের বারগুলো নিয়ে চট্টগ্রামে আসেন। পরে তারা কৌশলে ওই দুই নারীর কাছে স্বর্ণের বারগুলো হস্তান্তর করেন। সূত্র জানায়, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে তাদের আটক করে তল্লাশি চালিয়ে এ স্বর্ণের বারগুলো পাওয়া যায়। স্বর্ণের বারগুলো দুই নারী সদস্যের কোমরে লুকানো ছিলে। আটক চারজনের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনী ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। এদের মধ্যে আনোয়ারা ও ফারজানার কাছে মোট সাড়ে ১৪ কেজি ওজনের ১২৫টি সোনার বার পাওয়া যায়। বাকি দুই যুবক কুয়েত থেকে দেশে ফিরেছেন। গোয়েন্দাদের ধারণা আটক চারজনই ‘সোনা চোরাচালান চক্রের’ সদস্য। ওই দুই নারী চট্টগ্রামে একটি ‘পার্লারে’ কাজ করেন বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। ডক্টর মইনুল বলেন, বাংলাদেশ বিমানের উড়োজাহাজটি কুয়েত থেকে চট্টগ্রাম হয়ে ঢাকায় আসে। দুই নারী চট্টগ্রাম থেকে বিমানে উঠেন আর আনোয়ার ও ওসমান কুয়েত থেকে এসেছিলেন। কুয়েত ফেরত দুই যুবকই সম্ভবত সোনারবার নিয়ে এসেছিল। পরে পরিকল্পনা অনুযায়ী আটক এড়াতে ওই দুই নারীকে ব্যবহার করেন। বারগুলো নারীরা তাদের কোমরে বিশেষ কৌশলে লুকিয়ে রেখেছিলেন। রাতেই তাদের বিমানবন্দর থানায় হস্তান্তর করা হয়। এ বিষয়ে নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার তাদের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হবে। পুলিশ জানায়, সম্ভবত দুই মহিলা ক্যারিয়ার হিসেবে কাজ করতে গিয়ে ধরা পড়েন। চোরাচালানের মূল হোতা কুয়েত থেকে আসা দুই যাত্রী আনোয়ার পাশা ও ওসমান পারভেজ। তাদের পাসপোর্টে দেখা যায় তারা ঘন ঘন কুয়েত যাতায়াতকারী। মহিলাদের লোভনীয় প্রস্তাবে চোরাচালানে জড়িত করা হয়েছে বলে পুলিশের ধারণা। এ সোনা কোথায় হাতবদল হয়েছে প্রশ্ন করা হলে ডক্টর মইনুল খান জনকণ্ঠকে বলেন, আনোয়ার পারভেজ ও ওসমান সোহেল অত্যন্ত ধূর্ত প্রকৃতির। তারা পেশাদার চোরাচালানি। দুবাই থেকে তারা সোনা কিনে কুয়েত যান। সেখান থেকে বিমানের ওই ফ্লাইট চট্টগ্রামে অবতরণ করে। তখন চট্টগ্রাম থেকে ঢাকার যাত্রী হিসেবে দুই নারী নাহিদা ফারজানা মনি ও আনোয়ারা ওই ফ্লাইটে উঠেন। সেখান থেকে ঢাকায় আসার সময় ফ্লাইটের ভেতরেই তাদের কাছে সোনা হস্তান্তর করা হয়।
×