ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

নির্বাচন স্থগিতে গফরগাঁওয়ে ক্ষোভের ঝড় ॥ কাঁদলেন অনেক প্রার্থী

প্রকাশিত: ০৭:০৪, ২৪ ডিসেম্বর ২০১৫

নির্বাচন স্থগিতে গফরগাঁওয়ে ক্ষোভের ঝড় ॥ কাঁদলেন অনেক প্রার্থী

শেখ আব্দুল আওয়াল, গফরগাঁও ॥ চলছিল গলদঘর্ম প্রচার। পাড়া-মহল্লা সরগরম রেখেছিল সমর্থকরা। ছিল উৎসব-আনন্দ। আচমকা খবর পৌঁছে নির্বাচন স্থগিতাদেশের। মেয়র, সংরক্ষিত কাউন্সিলর ও সাধারণ কাউন্সিলর পদপ্রার্থীদের মাথায় যেন আকাশ ভেঙ্গে পড়ে। নির্বাচন স্থগিত হওয়ার খবর শুনে অনেকেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন। সীমানা সঠিকভাবে নির্ধারণ করার নির্দেশ দিয়ে উচ্চ আদালত ময়মনসিংহের গফরগাঁও পৌরসভা নির্বাচনের ওপর তিন মাসের স্থগিতাদেশ দিলে অনেক প্রার্থী কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। প্রার্থীরা জানিয়েছেন, রিটার্নিং অফিসার আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের কিছুই জানাননি। তারা শুধু সংবাদ মাধ্যমে নির্বাচন স্থগিতাদেশের খবর জেনেছেন। পৌরসভার রিটার্নিং অফিসার সিদ্ধার্থ শংকর কু-ু বলেন, বুধবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে ‘উচ্চ আদালতের স্থগিতাদেশের চিঠি পেয়েছি। চিঠিতে উল্লেখিত মোহাম্মদ আলী ও হেলাল উদ্দিন নামে ২ ব্যক্তি নির্বাচন স্থগিত আদেশ চেয়ে রিট করা উচ্চ আদালত নির্বাচন ৩ মাসের জন্য স্থগিত করে। জানা গেছে, ভোটগ্রহণের মাত্র আট দিন আগে গত মঙ্গলবার গফরগাঁও পৌরসভার নির্বাচনের ওপর তিন মাসের স্থগিতাদেশ দেয় উচ্চ আদালত। গফরগাঁও পৌরসভার মাজার রোড এলাকার মোহাম্মদ আলী ও গফরগাঁও ইউনিয়নের হেলাল উদ্দিনের করা পৃথক রিট আবেদনের ওপর শুনানি শেষে উচ্চ আদালত ওই আদেশ দেয়। একই সঙ্গে পৌরসভার সীমানা সঠিকভাবে নির্ধারণ করার নির্দেশও দেয়া হয়। সমর্থকরা জানান, প্রচারকালে তারা গত মঙ্গলবার বিকেলে সংবাদ মাধ্যমে নির্বাচন স্থগিতাদেশের খবর পান। এতে প্রার্থীরা বিপর্যস্ত হয়ে পড়েন। অনেক প্রার্থী কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। থেমে যায় সব প্রচার। ভোটাররা জানান, প্রার্থীদের গণসংযোগ ও প্রচারে জমজমাট ছিল পাড়া-মহল্লা। পৌর এলাকাজুড়ে উৎসবের আবহ বিরাজ করছিল। হঠাৎ থেমে গেছে সবকিছু। ষোলহাসিয়া এলাকার কৃষক আবদুল রহিম জানান, নির্বাচন শুরু অওনের লগে লগে হগল হানো (সবখানে) ঈদের লাহান (মতো) মজা অইছে। আজকা দেহি (দেখি) হগলের (সবার) মন খারাপ। আমারও ভাললাগতাছে না।’ আওয়ামী লীগের মেয়রপ্রার্থী এসএম ইকবাল হোসেন সুমন বলেন, ‘ভোটগ্রহণের মাত্র আট দিন আগে নির্বাচন স্থগিত হয়ে যাওয়া প্রার্থীদের জন্যই নয়, সাধারণ ভোটারদেরও বিব্রত করেছে। আমি অনেক ভোটারকে কাঁদতে দেখেছি। তিনি আরও বলেন, ‘রিটার্নিং অফিসার এখনও আমাদের কিছুই জানাননি। রিটার্নিং অফিসার আমাদের জানানোর পর দলের নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করে পরবর্তী উদ্যোগ নেব।’ বিএনপির মেয়র প্রার্থী শাহ্ আবদুল্লাহ্ আল মামুন বলেন, ‘সাধারণ মানুষ তাদের পছন্দের মেয়র নির্বাচিত করার জন্য প্রস্তুত ছিল। কিন্তু শেষ মুহূর্তে সবাই আশাহত হয়েছেন। আমি খুব কষ্ট পেয়েছি। কর্মী-সমর্থকরা কেঁদেছেন।
×