অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ ২০১৫ সালে গরুর মাংস রফতানিতে প্রায় ৭ কোটি ২ লাখ ৮৫ হাজার ৯২৪ দশমিক ৮০ টাকা আয় করেছে বাংলাদেশ। সম্প্রতি জাতীয় সংসদের প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে উপস্থাপিত এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে জানানো হয়েছে, গত এক বছরে ২ লাখ ২২৪ দশমিক ৮০ কেজি বা ২০০ টনের বেশি গরুর মাংস রফতানি করেছে বাংলাদেশ। যা থেকে আয় হয়েছে প্রায় ৭ কোটি ২ লাখ ৮৫ হাজার ৯২৪ দশমিক ৮০ টাকা। প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, গরুর মাংস ছাড়াও বাংলাদেশ থেকে নিয়মিত দই, বিফ বোন চিপস ও গরুর লোম রফতানি করা হয়। পণ্যগুলো রফতানির ক্ষেত্রে মান নিয়ন্ত্রণ সার্টিফিকেট প্রাপ্তি সাপেক্ষে প্রাণিসম্পদ অধিদফতর থেকে ভেটেরিনারি হেলথ সার্টিফিকেট দেয়া হয়। জানা গেছে, মান নিয়ন্ত্রণ ল্যাবরেটরি থেকে মাংস রফতানির জন্য এ্যানথ্রাক্স ও সালমোনেলা রোগমুক্ত, দই রফতানির জন্য সালমোনেলা রোগমুক্ত, বিফ বোন চিপস রফতানির জন্য এ্যানথ্রাক্স ও সালমোনেলা রোগমুক্ত, বুলস্টিক রফতানির জন্য সালমোনেলা রোগমুক্ত এবং গরুর লেজের লোম রফতানির জন্য এ্যানথ্রাক্স রোগমুক্ত সনদ দেয়া হয়। বাংলাদেশ থেকে রফতানির ক্ষেত্রে প্রতিকেজি গরুর মাংস ৪-৫ মার্কিন ডলার, দই প্রতিকেজি আড়াই ডলার, বিফ বোন চিপস প্রতি টন ৪৮০ মার্কিন ডলার, বুলস্টিক প্রতিকেজি ১ দশমিক ৬ মার্কিন ডলার এবং গরুর লেজের লোম প্রতিকেজি ২ দশমিক ৮ মার্কিন ডলারে রফতানি করা হয়। প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে হেলথ সার্টিফিকেট নিয়ে বেঙ্গল মিট প্রসেসিং লিমিটেড ২০১৪-১৫ অর্থবছরে কুয়েত ও দুবাইতে এক লাখ ৩২ হাজার ৫৩২ দশমিক ৮০ কেজি মাংস রফতানি করে। এর মধ্যে ১ লাখ ২৪ হাজার ৯৮৫ দশমিক ৮০ কেজি ছিল গরুর মাংস এবং ৭ হাজার ৫৪৭ কেজি ছাগলের মাংস।
একই সময়ে জনতা ফুডস কোরিয়ায় ৫ হাজার ৭১২ কেজি ও মেজিস্টিক এন্টারপ্রাইজ মালদ্বীপে ৫৪ হাজার কেজি গরুর মাংস রফতানি করেছে। এছাড়া মেজিস্টিক এন্টারপ্রাইজ মালদ্বীপে ৮০০০ কেজি ছাগল, হাঁস ও মুরগির মাংস রফতানি করেছে।
এসেনসিয়াল ড্রাগস কোম্পানি লিমিটেডের বার্ষিক সাধারণ সভা
বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের নিয়ন্ত্রণাধীন সরকারী জরুরী ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান এসেনসিয়াল ড্রাগস কোম্পানি লিমিটেডের (ইডিসিএল) ২০১৪-২০১৫ অর্থবছরের বার্ষিক সাধারণ সভা স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমের সভাপতিত্বে বুধবার প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে ঢাকায় অনুষ্ঠিত হয়। সভায় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী, সচিব, পর্ষদ সদস্য, ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও ইডিসিএলের উর্ধতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন। উক্ত বছরে কোম্পানি ৪০৯.০০ কোটি টাকা বিক্রয় এবং ৪৮.০০ কোটি টাকা করপূর্ব মুনাফা অর্জন করেছে। সভায় শেয়ারহোল্ডারদের জন্য পরিশোধিত মূলধনের ওপর ৫ শতাংশ লভ্যাংশ প্রদানের প্রস্তাব প্রদানের প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়। -বিজ্ঞপ্তি।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: