ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

উপকূলে পরিযায়ী পাখি বেড়েছে ॥ তৎপর শিকারিরা

প্রকাশিত: ০৪:৫৭, ২৫ ডিসেম্বর ২০১৫

উপকূলে পরিযায়ী পাখি বেড়েছে  ॥ তৎপর শিকারিরা

স্টাফ রিপোর্টার, গলাচিপা ॥ পটুয়াখালীর উপকূলে এবার পরিযায়ী পাখির সংখ্যা বেড়েছে। বিশেষ করে রাঙ্গাবালী উপজেলার সোনারচরে চোখে পড়ার মতো বিপুলসংখ্যক পাখি এসেছে। শিপেরচর, চরহেয়ার, চরবাংলা, চরতুফানিয়া, চরআগস্তি, চরলতা, চরনজির, চরফাতরা, চরগঙ্গা, চরহালিম, চরআন্ডাসহ আশপাশের দ্বীপগুলোতেও প্রচুর পাখির দেখা মিলছে। শীত কমে যাওয়ায় এবার পরিযায়ী পাখির আগমন বেড়েছে বলে বনকর্মীরা ধারণা করছেন। স্থানীয়রা জানিয়েছে, প্রতিবছরই শীত মৌসুমে পটুয়াখালীর বিচ্ছিন্ন চর-দ্বীপগুলোতে অসংখ্য পরিযায়ী পাখির আগমন ঘটে। দলবেঁধে ঘুরে বেড়ানো পাখির কলরবে মুখর হয়ে ওঠে দ্বীপগুলো। কিন্তু এ বছর মৌসুমের শুরু থেকে আশ্চর্যজনকভাবে বেড়ে গেছে পাখি আগমন। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি বেড়েছে হাঁসের। বিশেষ করে বালিহাঁস, ধলাবালি ও বুনোহাঁস। সোনারচরের মতো যে সব দ্বীপে ঘন অরণ্য এবং বেলাভূমি রয়েছে, সেগুলোতে এসব প্রজাতির হাঁস ব্যাপকভাবে চোখে পড়ছে। এ হাঁস ধরা, সংরক্ষণ, শিকার সবই শাস্তিযোগ্য অপরাধ। ধলাহাঁস এবং বুনোহাঁসও একই প্রজাতির পাখি। দীর্ঘদিন ধরে সোনারচরে যাতায়াত করেন এমন কয়েক জেলে জানিয়েছেন, এবার তাদের চোখে সবচেয়ে বেশি বালিহাঁস ধরা পড়ছে। রাতদিন এদের চিৎকার শোনা যাচ্ছে। দৌলতপুরে এ্যানথ্রাক্স ছড়িয়ে পড়ছে নিজস্ব সংবাদদাতা, দৌলতপুর, কুষ্টিয়া, ২৪ ডিসেম্বর ॥ অসুস্থ গরুর মাংস খেয়ে কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে এ্যানথ্রাক্স রোগ ছড়িয়ে পড়েছে। ফলে আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েছে গ্রামবাসী। গত কয়েক দিনে অন্তত ১৯ রোগী এ্যানথ্রাক্স রোগে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিলেও প্রতিদিনই এ রোগে আক্রান্ত হচ্ছে গ্রামের লোকজন। এ্যানথ্রাক্স রোগে আক্রান্তরা জানিয়েছে, কয়েক দিন আগে উপজেলার আদাবাড়িয়া ইউনিয়নের গরুড়া দাইড়পাড়া গ্রামে জেকের আলী নামে কসাই অসুস্থ গরু জবাই করে মাংস বিক্রয় করে। আর এ মাংস খেয়ে ওই গ্রামের শিশু নারী পুরুষের হাত-পাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে ক্ষত বা ঘা দেখা দেয়। যারা মাংস কেটেছে এবং মাংস নাড়াচাড়া করেছে তাদের শরীরের ক্ষত বা ঘা দেখা দেয়। ফলে গ্রামের সাধারণ মানুষের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এ রোগে আক্রান্ত হয়ে ওই গ্রামের খবিরুল, নুরজাহান, আনিরা, লেকসার আলী, কোমর আলী, ডলিয়ারা, ফাইমা ও আরোজসহ অন্তত ১৫ জন চিকিৎসা নিয়েছে। আক্রান্ত ডলিয়ারা খাতুন জানান, জেকের কসাইয়ের কাছ থেকে তিন কেজি গরুর মাংস কিনে খাওয়ার পর তার নিজের ও ছেলের হাত ও শরীরে ঘা ছড়িয়ে পড়ে। আরোজ আলী জানান, অনেকে নিষেধ করা সত্ত্বেও জেকের কসাই তার অসুস্থ গরু জবাই করে মাংস বিক্রি করেছে।
×