ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

৫ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের প্রথমটি ক্রাইস্টচার্চে

উজ্জীবিত কিউইদের বিপক্ষে লঙ্কানদের অগ্নিপরীক্ষা

প্রকাশিত: ০৬:২২, ২৫ ডিসেম্বর ২০১৫

উজ্জীবিত কিউইদের বিপক্ষে লঙ্কানদের অগ্নিপরীক্ষা

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ ক্রাইস্টচার্চ এখন ম্যাককুলামের জন্মভূমির মতোই হয়ে গেছে। ডুনিডিনে জন্ম নিলেও পুরো পরিবার নিয়ে এ শহরেই থাকেন তিনি। আর এখান থেকেই শুরু হচ্ছে নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক ব্রেন্ডন ম্যাককুলামের বিদায়ী অভিযান। ইতোমধ্যেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। সে কারণে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৫ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজই হবে ম্যাককুলামের জন্য সেই বিদায়ের আগে পুরো দেশ ঘুরে খেলার। অবশ্য ফেব্রুয়ারিতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজও আছে। তখন আর ক্রাইস্টচার্চে খেলা নেই। শুক্রবার রাত চারটায় (শনিবার ভোর) ক্রাইস্টচার্চে প্রথম ওয়ানডেতে নিউজিল্যান্ডের মুখোমুখি হবে সফরকারী শ্রীলঙ্কা। এবার নিউজিল্যান্ড সফরে দুই টেস্টের সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হলেও ওয়ানডেতে ঘুরে দাঁড়ানোর প্রত্যয় লঙ্কানদের। চলতি বছর লঙ্কানরা মাত্র তিন ওয়ানডে সিরিজ খেলেছে। এর মধ্যে দুটিতেই হেরে গেছে। বিশ্বকাপের আগে ৭ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে নিউজিল্যান্ড সফরে ৪-২ এবং ঘরের মাঠে পাকিস্তানের কাছে ৩-২ ব্যবধানে পরাজিত হয়। তবে সর্বশেষ সিরিজে সফরকারী ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৩-০ ব্যবধানে হোয়াইটওয়াশ করে নিউজিল্যান্ড সফরে এসেছে শ্রীলঙ্কা। আর সেটাই এবার অনুপ্রেরণা হতে পারে এ্যাঞ্জেলো ম্যাথুসের দলের জন্য। কিন্তু টেস্ট সিরিজে তেমন কোন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে না পারা দলটির আত্মবিশ্বাসী হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ে তোলাটা বেশ কঠিন। এর সঙ্গে আবার সিরিজ শুরুর আগেই অন্যতম নির্ভরযোগ্য পেসার লাসিথ মালিঙ্গা ইনজুরির কারণে ছিটকে গেছেন। তবে শুধু প্রথম দুই ওয়ানডে খেলতে পারবেন না তিনি। গত নবেম্বরে ঘরের মাঠে ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে সর্বশেষ খেলেছিলেন এ পেসার। ওই সময়ই হাঁটুর ইনজুরিতে পড়েন তিনি। সেই ইনজুরি এখন পর্যন্ত পুরোপুরি কাটিয়ে উঠতে পারেননি। তাই প্রথম দুই ম্যাচে বসে থাকতে হবে তাকে। আর তাকে ছাড়াই লড়াইয়ে নামতে হবে লঙ্কানদের। তার পরিবর্তে প্রথম দুই ওয়ানডের জন্য লঙ্কান দলে যোগ দিয়েছেন স্ট্যান্ড বাই হিসেবে থাকা পেস অলরাউন্ডার থিসারা পেরেরা। তবে মালিঙ্গার অভাবটা ঠিকই অনুভূত হবে। শ্রীলঙ্কা আরেকবার হাড়ে হাড়ে টের পাবে দুই কিংবদন্তি কুমার সাঙ্গাকারা ও মাহেলা জয়াবর্ধনের অভাবটা। এ দুই ক্রিকেটারকে ছাড়া এই প্রথম দেশের বাইরে ওয়ানডে সিরিজে নামবে লঙ্কানরা। গত জানুয়ারিতে সর্বশেষ দ্বিপক্ষীয় ওয়ানডে সিরিজ দেশের বাইরে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষেই খেলেছিল তারা। ওই সিরিজ সাঙ্গাকারা-জয়াবর্ধনে থাকলেও অগ্নিপরীক্ষার মুখে ছিল শ্রীলঙ্কা। শেষ পর্যন্ত ৪-২ ব্যবধানে সিরিজ হারে। আর সাঙ্গাকারা-জয়াবর্ধনেকে ছাড়া ঘরের মাটিতে পাকিদের কাছেই সিরিজ হারিয়েছে লঙ্কানরা। এবার দেশের বাইরে পরীক্ষা তাদের জন্য। নিউজিল্যান্ডের জন্য দারুণ সময় কাটছে সাম্প্রতিক সময়ে। বিশ্বকাপ রানার্সআপরা ঘরের মাটিতে এমনিতেই দুর্দান্ত। অবশ্য বিশ্বকাপের পর আর কোন ওয়ানডে সিরিজই ঘরের মাটিতে খেলার সুযোগ হয়নি কিউইদের। টানা তিন সিরিজ খেলেছে ইংল্যান্ড, জিম্বাবুইয়ে ও দক্ষিণ আফ্রিকায়। এর মধ্যে জিম্বাবুইয়ের বিপক্ষে একটি দ্বিতীয় সারির দল নিয়েও ২-১ ব্যবধানে সিরিজ জিতেছিল। কিন্তু ইংল্যান্ডের কাছে ৩-২ ও দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ হারাতে হয়েছে। এবার ঘরের মাটিতে প্রতিপক্ষের বিপক্ষে সিরিজ বিজয়ের ধারায় ফেরার সুযোগ। আর অধিনায়ক ম্যাককুলামও চাইবেন দলকে বিজয়ের ধারায় ফেরাতে। ম্যাককুলামের অধীনে দারুণ উজ্জীবিত ও অনুপ্রাণিত অবস্থায় আছে কিউই শিবির।
×