ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

রামাদিতে অবস্থান সুসংহত করছে ইরাকী বাহিনী

প্রকাশিত: ০৪:০০, ২৭ ডিসেম্বর ২০১৫

রামাদিতে অবস্থান সুসংহত করছে ইরাকী বাহিনী

ইরাকী বাহিনী ইসলামিক (আইএস) স্টেটের কাছ থেকে রামাদি শহর পুনর্দখল করার লক্ষ্যে চূড়ান্ত আক্রমণ চালানোর আগে শুক্রবার তাদের অবস্থানগুলো সুসংহত করে। এর আগে তারা তীব্র লড়াই চালিয়ে শহরটির ভিতরে প্রবেশ করে। সৈন্যরা মঙ্গলবার শহরটির ওপর তাদের হামলা শুরু করার পর এরই মধ্যে দখল করা এলাকার রাস্তাঘাট ও বাড়িঘর থেকে বোমা অপসারণ করতে থাকে। রাষ্ট্রীয় টিভিতে একথা বলা হয়। খবর ইয়াহু নিউজের। রামাদি পুনর্দখলে সাফল্য অর্জন আইএসে জঙ্গীদের ২০১৪ সালে দেশের এক-তৃতীয়াংশ দখল করার পর ইরাকী সশস্ত্র বাহিনীর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিজয়ই হবে। শহরটি ফোরাত নদের উর্বর উপত্যকায় অবস্থিত। মার্কিন নেতৃত্বাধীন এক আন্তর্জাতিক কোয়ালিশন ইরাকী সরকারী বাহিনীকে বিমান সমর্থন যোগাচ্ছে। সুন্নি মুসলিম বাসিন্দারা যাতে ক্ষুব্ধ না হয়, সেজন্য ইরান-সমর্থিত শিয়া মিলিশিয়া ইউনিটগুলোকে রামাদির রণক্ষেত্র থেকে দূরে রাখা হয়েছে। রামাদি দখল ২০১৫ সালে আইএসের অর্জিত সবচেয়ে বড় সাফল্য। মে মাসে সরকারী বাহিনী সুন্নি মুসলিম প্রধান আনবার প্রদেশের এ রাজধানী শহর পরিত্যাগ করে। এটি ছিল ইরাক সরকারের জন্য এক বড় রকমের বিপর্যয়। রামাদি কেন্দ্রীয় রাজধানী বাগদাদ থেকে সড়কপথে দু’ঘণ্টার পথ। সরকারী বাহিনীর অভিযানের তিনদিন পরও জঙ্গীরা রামাদির কেন্দ্রস্থলে প্রাদেশিক সরকারের ভবনের চারদিকে দৃঢ় অবস্থান নিয়ে রয়েছে। রামাদির লড়াই শেষ হতে আরও কয়েক দিন লাগবে বলে বুধবার সেনা কমান্ডাররা জানান। জঙ্গীদের অধিকৃত এলাকাগুলোতে এখনও বেসামরিক লোকজন রয়ে গেছেÑ এমন উদ্বেগের কারণে সৈন্যদের অগ্রগতি মন্থর হচ্ছে। কর্তৃপক্ষ একথা জানায়। মিয়ানমারে রতœ খনিতে ফের ভূমিধস, চাপা পড়েছে ৫০ শ্রমিক মিয়ানমারের উত্তরাঞ্চলে একটি প্রত্যন্ত রতœ খনি এলাকায় নতুন করে ভূমিধসে শ্রমিকরা মাটির নিচে চাপা পড়েছে। এরপর শনিবার উদ্ধারকর্মীরা মাটি কেটে ও পাথর সরিয়ে তাদের উদ্ধারে অনুসন্ধান চালাচ্ছে। গত এক মাসের একটু বেশি সময়ের মধ্যে এ ধরনের দ্বিতীয় ঘটনা এটি। কাচিন রাজ্যের হাকান্ত এলাকায় শুক্রবার এ ভূমিধস হয়। মিয়ানমারের বিলিয়ন ডলারের রতœ শিল্প রয়েছে এ এলাকায়। হাকান্ত প্রশাসনিক কার্যালয়ের কর্মকর্তা নিলার মাইন্ত বলেন, উদ্ধার অভিযান এখন শুরু হয়েছে। আমরা লাশ উদ্ধারের জন্য তল্লাশি চালাচ্ছি। তবে এখনই আমরা লাশের সংখ্যা বলতে পারছি না। স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, কমপক্ষে ৫০ জন ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়তে পারে। তবে উদ্ধার অভিযানে জড়িত অপর কর্মকর্তা মাইও এইচটেট অং এ সংখ্যা অনেক কম বলে উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন, পার্শ্ববর্তী গ্রামবাসীদের কাছ থেকে তথ্য পেয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা আমাদের জানিয়েছেন, এই মুহূর্তে কেবল তিন থেকে চারজন নিখোঁজ রয়েছেন।’ ‘এখনও আমরা কোন লাশ পাইনি।’ গত মাসে এ এলাকায় একই ধরনের ভয়াবহ ভূমিধস হয়। -এএফপি
×