ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

প্রথম ওয়ানডেতে ৭ উইকেটে হারল শ্রীলঙ্কা

দারুণ জয়ে শুরু নিউজিল্যান্ডের

প্রকাশিত: ০৪:৩৮, ২৭ ডিসেম্বর ২০১৫

দারুণ জয়ে শুরু নিউজিল্যান্ডের

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ টেস্ট সাফল্যের পর দুরন্ত জয়ে ওয়ানডে সিরিজ শরু করল কিউইরা। ৭ উইকেটের বিশাল এক জয়ের পথে শ্রীলঙ্কাকে কার্যত উড়িয়ে দিল ব্রেন্ডন ম্যাককুলামের দল। ক্রাইস্টচার্চের একতরফা ম্যাচে ৪৭ ওভারে ১৮৮ রানে অলআউট হয় সাবেক বিশ্বচ্যাম্পিয়ন লঙ্কানরা। জবাবে ২১ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় নিউজিল্যান্ড। বল হাতে অতিথি লাইনআপের কোমর ভেঙ্গে দেয়া ৪ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা স্বাগতিক পেসার ম্যাট হেনরি। এ জয়ে পাঁচ ওয়ানডের সিরিজে ১-০তে এগিয়ে গেল কিউইরা। একই ভেন্যুতে দ্বিতীয় ম্যাচ সোমবার। খেলার মোট মেয়াদ ছিল ৬৮ ওভার- শ্রীলঙ্কার ৪৭ আর নিউজিল্যান্ডের ২১ ওভার। কিন্তু কিউইরা ম্যাচটা জিতেছে মূলত ‘দুটি প্রথম ১০ ওভার’র ঝড়ে। প্রথমে বোলিংয়ের ১০ ওভার, এরপর ব্যাটিংয়ে। প্রথমে ব্যাট করে লঙ্কানরা কষ্টে-সৃষ্টে দুই শ’র কাছেও যেতে পারল না, সেটি আবার কিউইরা তাড়া করে ফেলল ২৯ ওভার অর্থাৎ ১৭৪ বল হাতে রেখে! বোলিংয়ে ম্যাট হেনরি, ব্যাটিংয়ে ম্যাককুলাম-মার্টিন গাপটিলের ওপেনিং জুটি- এই দুই ঝড়েই শেষ শ্রীলঙ্কা। টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই হেনরির তোপের মুখে পড়ে সফরকারীরা। তৃতীয় ওভারেই ওপেনার ধানুকা গুনাথিলাকাকে ফিরিয়ে দিয়ে শুরুটা করেছিলেন অবশ্য এ্যাডাম মিল্নে। এরপরই শুরু হেনরি-ঝড়। একাই চার উইকেট নিয়েছেন এই কিউই পেসার, যার চারটিই প্রথম দশ ওভারের মধ্যে। ফল ॥ ১০ ওভারের মধ্যে শ্রীলঙ্কার অর্ধেক ব্যাটসম্যান যখন সাজঘরে, রান তখন মোটে ২৭। গুনাথিলাকা (৮), তিলকারতেœ দিলশান (৯), লহিরু থিরিমান্নে (১), দিনেশ চান্দিমাল (৫), এ্যাঞ্জেলো ম্যাথুস (০) কেউই দুই অঙ্ক ছুঁতে পারেননি। এর মধ্যে ‘গেলান্ডেন ডাক’ মারা অধিনায়ক ম্যাথুসকে লাথামের হাতে ক্যাচ বানিয়ে হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা জাগিয়েছিলেন হেনরি। এ নিয়ে অধিনায়কের দায়িত্ব পাওয়ার পর ওয়ানডেতে তিনবার শূন্য (০) রানে আউট হলেন ম্যাথুস, তিনবারই এই নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে! এরপরও স্কোরটা ১৮৮তে গেছে মূলত মিলিন্দা শ্রীবর্ধনে ও নুয়ান কুলাসেকারার কল্যাণে। ধ্বংসস্তূপের মধ্যে দাঁড়িয়েও দুজনেই হাফ সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন। টপ-অর্ডারের প্রতিষ্ঠিত সব ব্যাটসম্যানকে লজ্জা দিয়েছেন তারা। শ্রীবর্ধনে ৮২ বলে ৬৬ ও কুলাসেকারা ৭২ বলে করেছেন ৫৮ রান। তারচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দুজনে মিলে সপ্তম উইকেট জুটিতে ২১ ওভারে যোগ করেন ৯৮ রান। শেষ চার উইকেট থেকে আসে ১২৩! ৬৫ রানে প্রথম ছয় উইকেট পড়ে যাওয়ার পর দলীয় সংগ্রহটা তাই মন্দ নয়! ম্যাথুসরা যেটা পারেননি, জবাব দিতে নেমে সেটাই যেন চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন ম্যাককুলাম আর গাপটিল। দুজন মিলে প্রথম ১০ ওভারে তুলে নেন ১০৮ রান। শেষ দশ বছরে ওয়ানডেতে প্রথম ১০ ওভারে এর চেয়ে বেশি রান এসেছে মাত্র ৩ বার। খেলা কার্যত সেখানেই শেষ। মাত্র ২৫ বলে ৫৫ রান করেন ম্যাককুলাম, ১১ চার ও ১ ছক্কায়, স্ট্রাইক রেট ২২০! অধিনায়ককে যোগ্য সঙ্গ দিয়েছেন গাপটিল। ৯ চার ও ৪ ছক্কায় এই ওপেনার ৭৯ রান করেন ৫৬ বলে। দুজনের ম্যারাথন ব্যাটিংয়ের পর বাকি কাজটা সারতে মোটেই কষ্ট হয়নি টম লাথাম (১৫ বলে ১৮) ও হেনরি নিকোলসের (২১ বলে ২৩*)। লঙ্কার হয়ে শ্রীবর্ধনে নেন ২ উইকেট। হারের পর হেডিংলি ওভালের বাউন্সি উইকেটে টস হারকে গুরুত্বপূর্ণ বলে উল্লেখ করেন সফরকারী অধিনায়ক ম্যাথুস। প্রথম দশ ওভারের মধ্যে তারা ম্যাচ থেকে ছিটকে যান বলেও স্বীকার করেন তিনি।
×