ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

সংস্কৃতি সংবাদ

জন্মদিনে ভালবাসায় সিক্ত সৈয়দ শামসুল হক

প্রকাশিত: ০৫:২২, ২৮ ডিসেম্বর ২০১৫

জন্মদিনে ভালবাসায় সিক্ত সৈয়দ শামসুল হক

মনোয়ার হোসেন ॥ সাহিত্যের জমিনে এক অনন্য চাষী সৈয়দ শামসুল হক। লাঙলের বদলে কলমের সৃজনে রাঙিয়েছেন বাংলা সাহিত্য ভুবন। কবিতার চরণে চরণে বলেছেন মা, মাটি, মানুষ আর প্রেম ও প্রকৃতির কথা। বর্ণনাবিস্তারী গল্প কিংবা উপন্যাসেও মেলে ধরেছেন যাপিত জীবনের বহুমাত্রিক বিষয়। সমান সাফল্যে রচনা করেছেন দর্শকনন্দিত অসংখ্য মঞ্চ আর কাব্যনাটক। এমনকি সৃষ্টির বৈভবে বাদ যায়নি গীতিকবিতাও। লিখেছেন শ্রোতা আলোড়িত করা কিছু গান। পরিণত হয়েছেন সব্যসাচী লেখকে। রবিবার ছিল বহু পরিচয়ে সমৃদ্ধ বরেণ্য এই লেখকের আশিতম জন্মবার্ষিকী। জন্মদিনে কবি-সব্যসাচীকে জানানো হলো একইসঙ্গে শ্রদ্ধা ও ভালবাসা। তার পরিচয়টি যেমন বহুমাত্রিক তেমনি আয়োজনেও ছিল বহুমাত্রিকতা। জন্মদিন উদ্্যাপনে কবির জীবন ও কর্ম নিয়ে কথা বলেছেন বিশিষ্টজনরা। তাকে নিবেদন করে গাওয়া হয়েছে গান, পঠিত হয়েছে কবিতা, পরিবেশিত হয়েছে নৃত্য। ফুলের পাপড়ি ছিটিয়ে জানানো হয় শুভেচ্ছা। প্রজ্বালন করা হয় আশিটি মোমবাতি। মোমের আলোয় আলোকিত হয়ে ওঠে অনুষ্ঠান প্রাঙ্গণ। পৌষের সন্ধ্যায় এই বিশেষ অনুষ্ঠানটির আয়োজন করা হয় শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার মূল মিলনায়তনে। সৈয়দ শামসুল হকের জীবন ও কর্ম নিয়ে সজ্জিত অনুষ্ঠানটির আয়োজন করে সৈয়দ হক জয়ন্তী উদ্্যাপন পরিষদ। সৈয়দ হকের গুণমুগ্ধদের উপস্থিতিতে মিলনায়তন ছিল কানায় কানায় পূর্ণ। স্বদেশের কবির জন্মদিনের অনুভূতিতেও উঠে আসে দেশের কথা, ইতিহাসের কথা, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা ও আপন জীবনের বয়ান। সাদা পাঞ্জাবি, জিন্স প্যান্ট ও লাল চাদরে আবৃত সৈয়দ শামসুল হক বলেন, কতটুকু গেলে স্বর্গ মেলে, আর কতটুকু যেতে হবে? ইতিহাসের নাটকীয়তার মধ্য দিয়ে আমার জীবন গেছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ থেকে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কার্যকর হওয়া থেকে প্রতিটি ঘটনাবহুল অধ্যায়ের বর্ণনা করে বলেন, জীবন নিয়ে আমার উপলব্ধি হচ্ছে, জীবন সবার উপরে। জীবনের স্বাদ হচ্ছে বেঁচে থাকা। অর্থপূর্ণ বেঁচে থাকা। লড়াইয়ের ভেতর দিয়ে অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে ন্যায় প্রতিষ্ঠা করা। চলমান সময়ের কথা উল্লেখ করে বলেন, এখন এমন সময়ের মধ্যে আছি যে মূর্খতা হচ্ছে অহঙ্কার, বেয়াদবি হচ্ছে শক্তি। মুক্তিযোদ্ধাদের অপমান ও অবমূল্যায়ন করা হচ্ছে। শহীদ জননী জাহানারা ইমামের নেতৃত্বে গোলাম আযমের বিচারের জন্য খালেদা জিয়া আমাদের ২৪ জনকে রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলা দিয়েছিলেন। আমাদের ধরতে পারলে ফাঁসিও দিয়ে দিতে পারতেন। কিন্তু এই শহরেই আমরা আত্মগোপন করে থেকেছি। সেই পাকিস্তানীদের সঠিক জবাব দেয়ার সময় এসেছে। যুদ্ধাপরাধের দায়ে শনাক্ত সেই ১৯৫ জনকে অবিলম্বে বাংলার মাটিতে বিচার করতে হবে। এটা আমার জন্মদিনের আবেদন। আপন সাহিত্যকীর্তি সম্পর্কে বলেন, আমার সাহিত্যের সংসার, শিল্পের সংসার ৬৫ বছর হয়ে গেল। আমি যা কিছু করেছি, মানুষের কথা ভেবে করেছি, দেশের কথা ভেবে করেছি। আপনাদের জন্যই আমার যা কিছু কাজ। আমি সেই জীবনের অন্বেষণ করছি যেজন্য হাসতে হাসতে চলে যেতে পারব, যেদিন এদেশকে সুখ ও সমৃদ্ধির দেশ হিসেবে দেখে যেতে পারব। তরুণ লেখকদের উদ্দেশে বলেন, বেশি বেশি চর্চা করো। নিজস্বতা তৈরি করো। সত্য অন্বেষণ করো। কারণ, সত্য তোমাকে আলো দেবে। খাদ্য দেবে। বেঁচে থাকার প্রেরণা যোগাবে। কবির প্রতি সবার ভালবাসা নিবেদনে মুগ্ধ হয়ে সহধর্মিণী আনোয়ারা সৈয়দ হক বলেন, এত ফুল দিয়েছে মানুষ, এতে আমি আপ্লুত। জীবন বড় সঙ্কট, অনিশ্চয়তা, যুদ্ধের মধ্য দিয়ে কেটেছে। জেনারেলদের রক্তচক্ষুর মধ্য দিয়ে কেটেছে। সঙ্কট যখন ছিল, তখন মনে হয়েছে জীবন বড় বাস্তব। যখন সুখের সময় এসেছে, তখন মনে হয়েছে এ যেন স্বপ্ন। তবে সৈয়দ হক যা কিছু লিখেছেন নিজের ধৈর্য, স্থৈর্য, নিজের মেধা ও পরিশ্রম দিয়ে লিখেছেন। তিনি কথা ও শব্দের জাদুকর। সেখানে আমার সামান্যতম অবদান নেই।’ সৈয়দ হককে নিবেদিত আলোচনায় অংশ নেন নাট্যজন রামেন্দু মজুমদার, নাট্য নির্দেশক ও চলচ্চিত্র নির্মাতা নাসির উদ্দীন ইউসুফ, বরেণ্য অভিনয়শিল্পী আলী যাকের, ফেরদৌসী মজুমদার, কেরামত মওলা, কবি মুহাম্মদ সামাদ, সাংস্কৃতিক সংগঠক গোলাম কুদ্দুছসহ শিল্প-সংস্কৃতি ভুবনের বিশিষ্টজনরা। স্বাগত বক্তব্য রাখেন পরিষদের সদস্য সচিব আকতারুজ্জামান। একইসঙ্গে সভাপতিত্ব ও সঞ্চালনা করেন পরিষদের আহ্বায়ক নাট্যজন আতাউর রহমান। সুরের আশ্রয়ে সৈয়দ হককে শ্রদ্ধাঞ্জলি জানিয়ে সঙ্গীত পরিবেশন শিমুল ইউসুফ ও অদিতি মহসিন। মুদ্রার সঙ্গে অভিব্যক্তির অনবদ্য সম্মিলনে নৃত্য পরিবেশন করেন ওয়ার্দা রিহাব। কবিতার দোলায়িত ছন্দে শিল্পিত উচ্চারণে আবৃত্তি করেন বাকশিল্পী হাসান আরিফ ও মোহাম্মদ আহ্কামউল্লাহ। জন্মদিনে কবির হাতে কিরীটি রঞ্জন বিশ্বাসের চিত্রিত প্রতিকৃতি তুলে দেন সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ। নাসিরউদ্দীন ইউসুফ রচিত শংসাবচন পাঠ করেন রামেন্দু মজমুদার। চমৎকার বর্ণনায় কবিকে উদ্ধৃত করে বলা হয়, সে এক কবি জন্মেছিল এই বাংলায়/হেমন্তের সোনালী রোদ গায়ে মেখে/তারপর কত গ্রীষ্ম বর্ষা শরত হেমন্ত/শীত বসন্ত পার হয়ে সেই কবি/দু’হাতে সৃষ্টি করেছে অবিরল/ অমর সব কাব্য/ সেই কবি আর কেউ নন, আমাদেরই সৈয়দ শামসুল হক।’ বরেণ্য এ লেখকের দীর্ঘায়ু কামনা করে আতাউর রহমান বলেন, শেক্সপিয়রের সবচেয়ে সন্দর অনুবাদটি করেছেন সৈয়দ শামসুল হক। তার অনূদিত ম্যাকবে নাটকটি এ দেশের মঞ্চনাটকের একটি মাইলফলক। অনুবাদ ছাড়াও মৌলিক নাটকের মধ্য দিয়ে তিনি এ দেশের নাট্যসাহিত্যকে করেছেন উজ্জ্বল। আমার সৌভাগ্য হয়েছে তাঁর নাটক নিদের্শনা দেয়ার। তিনি বহন করে চলেছেন আমাদের মুক্তিযুদ্ধের মূল্যবোধ ও চেতনা। আশা করি, আমৃত্যু বহমান থাকবে তার সোনালী কলম। রামেন্দু মজুমদার বলেন, তার পায়ের আওয়াজ পাওয়া যায় কাব্যনাট্যটি মুক্তিযুদ্ধের নাটকের মধ্যে সর্বোত্তম। কথা সামান্যই বইটি পড়লে বোঝা যায়, কতটা শব্দের গভীরে যেতে পারেন তিনি। মার্জিনে মন্তব্য গ্রন্থটিও একইভাবে পাঠককে টেনে নিয়ে যায় নদীর স্রোতের মতো। তার সঙ্গ আমার কাছে খুব উপভোগ্য ও শিক্ষণীয়। যতবারই তার কাছে গিয়েছি, নতুন কিছু শিখেছি। রসবোধেও তিনি তীক্ষè। সৈয়দ হকের নুরলদীনের সারাজীবন কাব্যনাট্যের নির্দেশক আলী যাকের বলেন, তিনি যেন শত বছর আয়ু পান এবং তার সঙ্গে থাকতে চাই। এই মঞ্চে পাঠ করতে পারি তার নাটক। তার তিনটি মঞ্চনাটকে অভিনয়ের সুযোগ হয়েছে আমার। তার চরিত্রগুলো এতটাই শক্তিশালী যে, সহজাতভাবেই তা করোটির ভেতর ঢুকে যায়। আচ্ছন্ন করে শরীর ও মন। তখন আর অভিনেতা থাকি না, ঢুকে যাই চরিত্রের গহীনে। বরেণ্য অভিনয়শিল্পী ফেরদৌসী মজুমদার বলেন, আমি আজ যে অবস্থানে আছি সেখানে পায়ের আওয়াজ পাওয়া যায় নাটকটির কথা আসবেই। এখানে আমি মাতব্বরের মেয়ের ভূমিকা অভিনয় করেছি। এটাই আমার প্রথম কাব্যনাটকে অভিনয়। আপনি আরও দীর্ঘজীবী হোন এবং আমাকেও বাঁচিয়ে রাখুন নাটকের মাঝে। অনুষ্ঠানে সূচনাসঙ্গীত পরিবেশন করেন শিমুল ইউসুফ। সঙ্গীত পরিবেশনের আগে এই শিল্পী কবিকে শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, আজ এক বিশাল বটবৃক্ষের জন্মদিন। আমরা অনুজরা বেঁচে থাকতে চাই তার ছায়াতলে। এরপর দরদমাখা কণ্ঠে গেয়ে শোনান ‘নির্মল করো, মঙ্গল করে, মলিন মর্ম মুছায়ে...’। হাসান আরিফের কণ্ঠে উচ্চারিত হয় সৈয়দ হকে কবিতা ‘আমার পরিচয়’। আহ্কামউল্লাহ্ পাঠ করেন নুরলদীনের সারা জীবন কাব্যনাট্যের অংশবিশেষ। অদিতি মহসিন গেয়ে শোনান ‘জগতে আনন্দযজ্ঞে আমার নিমন্ত্রণ’ ও ‘সার্থক জনম আমার জন্মেছি এই দেশে’। নাটকের অংশবিশেষ থেকে পাঠ করেন অভিনেত্রী ত্রপা মজুমদার। জন্মদিনে কবিকে ফুলে ফুলে শুভেচ্ছা জানায় সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট, গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশান, পথনাটক পরিষদ, গণসঙ্গীত সমন্বয় পরিষদ, কণ্ঠশীলন, আরণ্যক নাট্যদল, প্রাচ্যনাট, শিল্পকলা একাডেমিসহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠন। এক পর্যায়ে সংগঠনের পক্ষ থেকে সারিবেধে শ্রদ্ধা জানান কবিকে। ওয়ার্ল্ড প্রেস ফটো এক্সিবিশন ॥ ধানম-ির দৃক গ্যালারিতে শুরু হলো ওয়ার্ল্ড প্রেস ফটো এক্সিবিশন। ২০১৫ সালে বিশ্বব্যাপী সংবাদমাধ্যমে আলোচিত আলোকচিত্র নিয়ে সাজানো হয়েছে এই প্রদর্শনী। রবিবার সন্ধ্যায় এ প্রদর্শনীর সূচনা হয়। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন দৃক গ্যালারির ব্যবস্থাপনা পরিচালক শহীদুল আলম। স্বাগত বক্তব্য রাখেন ওয়ার্ল্ড প্রেস ফটো এক্সিবিশনের প্রকল্প ব্যবস্থাপক এ্যানাইস কোনজিন। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট আলোকচিত্রী নাসির আলী মামুন। সম্মানিত অতিথি হিসেবে উদ্বোধনী বক্তব্য দেন ঢাকায় নেদারল্যান্ডস দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত লিওনি মারগারেথা কিউলেনারে। ১৩ দিনব্যাপী এ প্রদর্শনী চলবে ৮ জানুয়ারি পর্যন্ত। প্রতিদিন বেলা তিনটা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত দর্শনার্থীদের জন্য প্রদর্শনী উন্মুক্ত। ‘আমেরিকায় জাহানারা ইমামের শেষ দিনগুলি’ ॥ প্রকাশিত হলো শহীদ জননী জাহানারা ইমামকে নিয়ে রচিত গ্রন্থ। আমেরিকায় জাহানারা ইমামের শেষ দিনগুলি শিরোনামের গ্রন্থটি রচনা করেছেন প্রবাসী লেখক বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. নূরুন নবী। রবিবার সকালে বাংলা একাডেমির কবি শামসুর রাহমান মিলনায়তনে বইটির প্রকাশনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। বিজয়ের মাসে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ জননীর প্রতি সম্মান জানিয়ে বইটি প্রকাশ করেছে সময় প্রকাশন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু। সম্মানিত অতিথি হিসেবে আলোচনায় অংশ নেন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব কামাল লোহানী, লেখক ও গবেষক শামসুজ্জামান খান, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ ও সাবেক রাষ্ট্রদূত মহিউদ্দিন আহমেদ। গ্রন্থটির রচনা প্রসঙ্গে বক্তব্য রাখেন বইয়ের লেখক ড. নুরুন নবী। শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন সময় প্রকাশনের প্রকাশক ফরিদ আহমেদ। সভাপতিত্ব করেন এমেরিটাস অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন মানজার চৌধুরী সুইট। মুন্সীগঞ্জে লালন উৎসব শুরু ॥ স্টাফ রিপোর্টার, মুন্সীগঞ্জ থেকে জানান, সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর এমপি বলেছেন, ধর্মের নাম করে অন্য ধর্ম ও বর্ণের ওপর হামলাকারী সাম্প্রদায়িক শক্তিকে বরদাস্ত করা হবে না। তাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। বাংলাদেশে সম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। এখানে মৌলবাদীদের স্থান হবে না। তিনি রবিবার বিকেলে মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার দোসরপাড়ায় লালন শাহ বটতলায় পদ্মহেমধাম আশ্রমে দুই দিনব্যাপী সাধু সঙ্গের উদ্বোধনকালে এ কথা বলেন। দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তর এই লালন উৎসবে ভারপ্রাপ্ত ইউএনও শাহিনা পারভীনের সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতিমন্ত্রীর একান্ত সচিব (উপসচিব) শহিদুল ইসলাম, উপজেলা চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন আহমেদ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল হালিম, মুন্সীগঞ্জ প্রেসক্লাব সভাপতি মীর নাসিরউদ্দিন উজ্জ্বল, সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান, পারসোনার পরিচালক কার্নিজ আলমাজ, সুইস লিমিটেডের পরিচালক উলফাত কাদের, পদ্মহেমধাম লালন শাহ বটতলার সভাপতি কবির হোসেন, সাধারণ সম্পাদক রাসেল মাহমুদ ও ইউপি চেয়ারম্যান হাফেজ ফজলুর রহমান প্রমুখ। পরে মন্ত্রী আশ্রমটির মূল ফটকে একতারা সংবলিত ফটকের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন এবং ইছামতি তীরের আশ্রমটির বিভিন্ন কর্মকা- ঘুরে দেখেন। এই লালন উৎসবে মুক্তিযোদ্ধা দরবেশ নহি শাহ, দরবেশ মহরম শাহ, দরবেশ শামসুল শাহ, বুড়ি ফকিরানী, রাজ্জাক বাউল ছমির বাউল ও আরিফ বাউল এবং কুষ্টিয়াসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের অর্ধশত সাধুগুরু ও বাউল শিল্পীরা এ উৎসবে লালনগীতি পরিবেশন করছে। রাতভর এই আসরে লালনের সঙ্গীত পরিবেশন হবে। তাই দূরদূরান্ত থেকে সঙ্গীতপ্রেমী মানুষের ভিড় বাড়ছে।
×