ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

উইঘুর নীতির সমালোচনা করায় চীনে ফরাসী সাংবাদিক বহিষ্কৃত

প্রকাশিত: ০৫:৫৩, ২৮ ডিসেম্বর ২০১৫

উইঘুর নীতির সমালোচনা  করায় চীনে ফরাসী  সাংবাদিক বহিষ্কৃত

জিনজিয়াংয়ের সংখ্যালঘু মুসলিম উইঘুরদের প্রতি বেজিংয়ের নীতির সমালোচনা করে নিবন্ধ লেখায় এক ফরাসী সাংবাদিককে বহিষ্কার করেছে চীন। ফরাসী সংবাদ ম্যাগাজিন ল’অবসের চীনা প্রতিনিধি আর্সালা গোতিয়াইয়ের পরিচয়পত্র নবায়ন করা হবে না বলে শনিবার নিশ্চিত করেছে বেজিং। খবর বিবিসি ও ইয়াহু নিউজের। চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র লু কাং বলেছেন, আর্সালা গোতিয়াই চীনে আর কাজ করতে পারবে না। কারণ তিনি সন্ত্রাস ও নিষ্ঠুর কর্মকা-কে সমর্থন করেন এবং তিনি তার লেখার জন্য ক্ষমা চাইতেও অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। আর্সালা চীনের এ দাবিকে সম্পূর্ণ মিথ্যা বলে অভিহিত করে বলেছেন, বেজিং বিদেশী সাংবাদিকদের বাধা দেয়ার চেষ্টা করছে। যদি তার প্রেসকার্ড নবায়ন না করা হয় তাহলে তিনি নতুন ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন না এবং তাকে ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে চীন ত্যাগ করতে হবে। ২০১২ সালের পর তিনিই হতে যাচ্ছেন চীন থেকে বহিষ্কৃৃত প্রথম সাংবাদিক। এর আগে আল জাজিরার চীনা প্রতিনিধি মার্কিন নাগরিক মেলিসা চানকে বহিষ্কার করা হয়। পশ্চিমাঞ্চলীয় স্বায়ত্তশাসিত জিনজিয়াং অঞ্চলে দীর্ঘদিনের চলমান অরাজকতার জন্য চীন ইসলামী বিচ্ছিন্নতাবাদীদের দায়ী করে। তবে জিনজিয়াংয়ের জাতিগত মুসলিম উইঘুররা বলেছে, তাদের ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক রীতিনীতির ওপর বেজিংয়ের দমনপীড়নই সহিংসতা উস্কে দিয়েছে। প্যারিসে নবেম্বরের সন্ত্রাসী হামলার পর পরই আর্সালার নিবন্ধটি প্রকাশিত হয়। এতে তিনি লিখেছেন, ফ্রান্সের প্রতি সংহতি প্রকাশে চীনের দুরভিসন্ধি থাকতে পারে। আর এটি হলো, জিনজিয়াংয়ে বেজিংয়ের অভিযানে ন্যায্যতা প্রতিপাদন করা। এই নিবন্ধের তীব্র সমালোচনা করে চীনা সরকার ও রাষ্ট্রীয় সংবাদ মাধ্যম আর্সালার কাছে ক্ষমা ও নিবন্ধ প্রত্যাহারের দাবি করে। আর্সালা বিবিসিকে বলেন, সন্ত্রাসবাদে সমর্থনের জন্য চীনা কর্তৃপক্ষ তাকে বার বার ক্ষমা চাইতে বলেছে। তবে আমি বলেছি, আমি কখনও সন্ত্রাসবাদকে সমর্থন করি না। আমি যা লিখিনি, তার জন্য আমাকে কেন ক্ষমা চাইতে বলছেন। আমি এখন বুঝতে পারছি যে, চীন পরিষ্কারভাবে বিদেশী সাংবাদিকদের ভয় দেখাতে চাইছে।
×