ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

চার দেশের কানেক্টিভিটি চুক্তি বাণিজ্য প্রসারের এক চমৎকার উদ্যোগ ॥ ভুটানের স্পীকার ড. সোনাম

প্রকাশিত: ০৭:৩২, ২৮ ডিসেম্বর ২০১৫

চার দেশের কানেক্টিভিটি চুক্তি বাণিজ্য প্রসারের এক চমৎকার উদ্যোগ ॥ ভুটানের স্পীকার ড. সোনাম

সংসদ রিপোর্টার ॥ একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর বলিষ্ঠ নেতৃত্বের প্রশংসা করে সফররত ভুটানের ন্যাশনাল কাউন্সিলের চেয়ারপার্সন (স্পীকার) ড. সোনাম কিনগা বলেন, পৃথিবীতে এমন দৃঢ়চেতা নেতা খুব কমই আছেন। একমাত্র বঙ্গবন্ধুই সেই নেতা যিনি সমগ্র জাতিকে একত্রিত করে এত অল্প সময়ে একটি দেশকে স্বাধীন করতে পেরেছেন। রবিবার ড. সোনাম কিনগার নেতৃত্বে ১২ সদস্যের একটি পার্লামেন্টারি প্রতিনিধিদল সংসদের ডেপুটি স্পীকার ফজলে রাব্বী মিয়ার সঙ্গে তার কার্যালয়ে সাক্ষাত করেন। ডেপুটি স্পীকার মুক্তিযোদ্ধা হওয়ায় তাকে ধন্যবাদ জানান ড. সোনাম। সাক্ষাতকালে তিনি ডেপুটি স্পীকারের সঙ্গে দুই দেশের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। ডেপুটি স্পীকার ভুটানের প্রতিনিধিদলকে স্বাগত জানিয়ে সংসদের কার্যাবলী এবং সংসদীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় জাতীয় সংসদের ভূমিকা সম্পর্কে তাদের অবহিত করেন। এ সময় ভুটানের স্পীকার অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সরকারের উৎপাদনমুখী কর্মকা- ও কূটনৈতিক দূরদর্শিতার প্রশংসা করেন। ভুটান-বাংলাদেশ-ভারত-নেপাল কানেক্টিভিটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়াকে দেশগুলোর মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণের ক্ষেত্রে এক চমৎকার উদ্যোগ বলে মন্তব্য করেন প্রতিনিধি দলনেতা ড. সোনাম। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে যুগোপযোগী এ উদ্যোগ গ্রহণের জন্য ধন্যবাদ জানান। বাংলাদেশে বিদ্যুতশক্তি রফতানি করতে ভুটান আগ্রহী বলে জানান ড. সোনাম। মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশকে স্বাধীন দেশ হিসেবে প্রথম স্বীকৃতি দেয়ায় ভুটানকে ধন্যবাদ জানান ডেপুটি স্পীকার। তিনি বলেন, সার্ক দেশগুলোর মধ্যে যোগাযোগ সহজ হলে এটি একটি বিশাল অর্থনৈতিক জোন হিসেবে গড়ে উঠবে। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও টেকসই উন্নয়ন ত্বরান্বিত করতে দক্ষিণ এশিয়াতে একটি অর্থনৈতিক জোন গড়ে তোলা অতি জরুরী। কানেক্টিভিটি চুক্তি স্বাক্ষরের মধ্য দিয়ে মুক্ত বাণিজ্য অর্থনৈতিক জোনের সূচনা হলো। এতে স্বাক্ষরকারী সব দেশই লাভবান হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি। তিনি বলেন, বাংলাদেশ এখন শুধু পোশাক নয়, খাদ্য ও অর্থকারী শস্যসহ আরও নানা ধরনের পণ্য রফতানি করতে প্রস্তুত। বেশি করে বাংলাদেশী পণ্য আমদানি করার জন্য ভুটানকে আহ্বান জানান ডেপুটি স্পীকার। সাক্ষাতকালে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভুটানের রাষ্ট্রদূত পেমা চওডেন, সংসদ সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব আশরাফুল মকবুল, অতিরিক্ত সচিব প্রণব চক্রবর্তীসহ সংসদ সচিবালয় এবং ভুটান দূতাবাসের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
×