ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

জ্বালানির মূল্য হ্রাস বাংলাদেশ ও ভারতের অর্থনীতির জন্য ইতিবাচক ॥ কৌশিক

প্রকাশিত: ০৭:৫৪, ২৮ ডিসেম্বর ২০১৫

জ্বালানির মূল্য হ্রাস বাংলাদেশ ও ভারতের অর্থনীতির জন্য ইতিবাচক ॥ কৌশিক

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম কমে যাওয়া বাংলাদেশ ও ভারতের অর্থনীতির জন্য ইতিবাচক বলে জানিয়েছেন বিশ্বব্যাংকের প্রধান অর্থনীতিবিদ কৌশিক বসু। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিবিষয়ক বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদন প্রকাশের পর সম্প্রতি এই তথ্য জানান তিনি। কৌশিক বসু বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে গত ১১ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন দামে বিক্রি হচ্ছে জ্বালানি তেল। দামের এই রেকর্ড পতনে অর্থনৈতিকভাবে চাপের মুখে পড়েছে ওপেকভুক্ত দেশগুলো। বাংলাদেশের চলমান অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার অব্যাহত থাকলে ২০২০ সালের মধ্যে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৮ শতাংশ অর্জন করা সম্ভব। তবে জ্বালানি তেলের দাম কমে যাওয়া বাংলাদেশ ও ভারতের জিডিপি প্রবৃদ্ধিতে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে বলে মনে করেন তিনি। তার মতে, আগামী কয়েক মাসের মধ্যে জিডিপি প্রবৃদ্ধির ইতিবাচক পরিবর্তন আসতে পারে। এ সময় ভারতের অর্থনীতির বিভিন্ন বিষয়ে আলোকপাত করে কৌশিক বসু বলেন, আসছে জানুয়ারিতেই ভারতের জিডিপিতে ইতিবাচক পরিবর্তন দেখা যেতে পারে। বিশ্বব্যাংকের প্রধান অর্থনীতিবিদ বলেন, বর্তমানে চীনের প্রবৃদ্ধি অনেক ধীরগতিতে আগাচ্ছে। তাদের জিডিপি ৭ শতাংশের নিচে নেমে যেতে পারে। অন্যদিকে রাশিয়া এবং ব্রাজিলে মন্দা দেখা দিয়েছে। কিন্তু ইতিবাচক ধারায় রয়েছে ভারত-বাংলাদেশের অর্থনীতি; যা বিশ্বের অর্থনৈতিক পরিবেশ বজায় রাখতে সাহায্য করছে। ব্রাজিল এবং রাশিয়ায় মন্দা এবং চীনের অর্থনীতিতে নিম্নমুখী প্রবণতার ফলে প্রথমবারের মতো অর্থনীতিতে ভারতের নেতৃত্ব দেয়ার সম্ভাবনা বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে জানান তিনি। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে কৌশিক বসু বলেন, সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং সংস্কার বৃদ্ধির পরিপ্রেক্ষিতে দেশের জিডিপিতে প্রভাব পড়তে পারে। কিছু পরিবর্তনের ক্ষেত্রে শুধু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তই প্রভাব ফেলেÑ তা কিন্তু নয়। অর্থনীতিতে ভারত শীর্ষস্থানের দিকে যাওয়ার পেছনে ব্রাজিল ও রাশিয়ার মন্দা অর্থনীতি এবং চীনের জিডিপি প্রবৃদ্ধির ধীরগতি ব্যাপক ভূমিকা রাখছে। এই অর্থনীতিবিদ জানান, ২০১৫-১৬ অর্থবছরে ভারত ৭ দশমিক ৫ শতাংশ পর্যন্ত জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে পারবে বলে মনে করছে বিশ্বব্যাংক। এছাড়া ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ৭ দশমিক ৮ শতাংশ এবং ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ৭ দশমিক ৯ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে পারবে ভারত। চলতি মাসের মাঝামাঝিতে বাংলাদেশ সফরে কৌশিক বসু জানান, বাংলাদেশের চলমান অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার অব্যাহত থাকলে ২০২০ সালের মধ্যে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৮ শতাংশ অর্জন করা সম্ভব।
×