ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

সঙ্কটেও আশা জাগানিয়া ধারাবাহিক নাটক

প্রকাশিত: ০৪:১৫, ২৯ ডিসেম্বর ২০১৫

সঙ্কটেও আশা জাগানিয়া ধারাবাহিক নাটক

সাজু আহমেদ ॥ বিগত সময়ের মত বিদায়ী বছরেও কাহিনী সঙ্কট, বিষয় বস্তুর নতুনত্ব না থাকা, নিমার্তাদের অদক্ষতার অভাবে বাংলাদেশের বেশিরভাগ টিভি চ্যানেলের ধারাবাহিক নাটকগুলো বিদেশী চ্যানেলের কাছে মার খেয়েছে। বছরজুড়েই নাটকগুলো দর্শক সঙ্কটে ভুগেছে। বিদায়ী বছরজুড়ে এ নিয়ে ছিল নানা সমালোচনা। তবে কঠিন সময়েও দু-একটি চ্যানেল বছরধরে অনেকটা চ্যালেঞ্জ নিয়েই দর্শককে টানার জন্য নতুন ও ব্যতক্রমী কাহিনী নির্ভর নাটক দর্শকদের উপহার দিতে আপ্রাণ চেষ্টা করছে। তেমনি এক সৃজনশীল চ্যানেল মাছরাঙা। বিভিন্ন অনুষ্ঠান নির্মাণে সৃজনশীলতার পাশাপাশি অনুষ্ঠান উপস্থাপনার ক্ষেত্রে বরাবরাই ভিন্নতা পরিচয় দেয়ার চেষ্টা করে আশা জাগানিয়ার এই চ্যানেলটি। চ্যানেল কর্তৃপক্ষের এই প্রচেষ্টার ধারাবাহিকতায় আজ মঙ্গলবার থেকে এই চ্যানেল প্রচার শুরু হচ্ছে শত পর্বের নতুন ধারাবাহিক নাটক ‘নগর আলো’। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে ‘নগর আলো’ নাটকের প্রেক্ষাপট মহানগরি ঢাকার বাসিন্দাদের জীবনযাপন। স্বপ্নের ক্যারিয়ার গড়তে প্রতি বছর সারাদেশ থেকে হাজার হাজার মানুষ মহানগরি ঢাকায় আসে। ভাল চাকরির পাশাপাশি কেউ বা আসে পড়াশোনা করতে। ঢাকায় বসবাসকালে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে নতুন নতুন সব মানুষের সঙ্গে পরিচয় হয় তাদের। হয়ে ওঠে বন্ধুত্ব। নানা প্রতিবন্ধকতা সত্ত্বেও এই ইট পাথরের শহরকে তারা ধীরে ধীরে আপন করে নেয়। নাগরিক সুবিধার লাল-নীল আর নিয়ন আলোয় প্রলুব্ধ হয়ে বাকি জীবনটা পাড় করতে চায় এই শহরেই। কিন্ত এই শহরে টিকে থাকাও এক সময় দুর্বোধ্য হয়ে ওঠে! অনেকের আবার পড়াশোনা শেষে চাকরির জন্য নামতে হয় নতুন যুদ্ধে। আবার চাকরি পেলেও তা ধরে রাখার সংগ্রাম করে যেতে হয় প্রতি নিয়ত। এই শহরে টিকে থাকার জন্য অনেকেই আশ্রয় নেয় নানা ছলছাতুরির। শহরকে ভালবেসে, শহরের আলো গায়ে মাখতে চলতে থাকে বিরামহীন জীবনযুদ্ধ। তবে সবাই কি পারে নগরের নাগরিক সুবিধার সব আলো ছুঁতে? এমনই এক গল্প নিয়ে সম্প্রতি নির্মিত হয়েছে শত পর্বের ধারাবাহিক নাটক ‘নগর আলো’। নাটকটি রচনা করেছেন তরুণ নাট্যকার সাজিন আহমেদ বাবু। চিত্রগ্রহণ ও পরিচালনা করেছেন এম আর মিজান। অনুপ্রাশের ব্যানারে নির্মিত নাটকটির নির্বাহী প্রযোজক হিসেবে আছেন লিটন শিকদার। বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন দেশের জনপ্রিয় অভিনয় শিল্পী। আছেন প্রবীণ অভিনেতা ড. ইনামুল হক, হালের জনপ্রিয় মুখ মোশাররফ করিম, আলোচিত মডেল ও অভিনেত্রী জেনি, শক্তিমান অভিনেতা ফারুক আহমেদ। আরও আছেন শামীমা নাজনীন, মিলন ভট্টাচার্য, তারিখ স্বপন, জুঁই করিম, কাজি রফিকুল ইসলাম, পুতুল, টুনুটুনি, তন্দ্রা, মুকুলের সম্ভাবনাময় অভিনয় শিল্পীরা। নাটকের গল্প প্রসঙ্গে নাট্যকার সাজিন আহমেদ বাবু জনকণ্ঠকে জানান, গল্পে দেখা যাবে তিন ব্যাচেলর যুবক অনেক কষ্টে একটা ব্যাচেলর বাসা খুঁজে পায়। চারতলা বাড়িটির তিনটি ফ্লোরেই থাকে ফ্যামিলি আর একটা মাত্র ফ্লোরে ব্যাচেলর। এই ফ্যামিলি বাসায় ব্যাচেলর ভাড়া দেয়ায় অন্য সব ফ্যামিলিই অসন্তুষ্ট হয়। বাড়িওয়ালার কাছে সবাই নালিশ করে কিন্তু বাড়িওয়ালা বেশি ভাড়ার জন্য ব্যাচেলর ভাড়া দেবেই। তবে ব্যাচেলর থাকায় ভেতরে ভেতরে দেখা যায় বাড়িওয়ালার মেয়ে ও এক ভাড়াটিয়া কর্তা ছাড়া বাড়ির সবাই খুশি। এক্ষেত্রে বাড়িওয়ালা ব্যাচেলরদের অনেক শর্ত দিয়ে দিয়েছে। এই তিনজনের বেশি কেউ থাকতে পারবে না। তাদের এই তিনজনের পক্ষে এত টাকা ভাড়া দেয়া কষ্টকর তাই তারা তাদের আত্মীয় বানিয়ে ভাড়া দেয় আরও একজনকে। কয়েকদিন থাকার কথা বলে তাকে রাখে দুই-তিন মাস। তারপর তাকে বিদায় করে আবার নতুন ভাড়াটিয়া নেয়। এদের মধ্যে কেউ থাকে চোর, ডাকাত, খুনী, প্রেমিক, ফেরারি আসামি। তাদের নিয়ে ঘটতে মজার সব ঘটনা। নাট্যকার সাজিন আহমেদ বাবু আরও জানান ধারাবাহিক নাটকটি আজ থেকে সপ্তাহে প্রতি মঙ্গল ও বুধবার রাত ৮টায় মাছরাঙা টেলিভিশনে প্রচার হবে।
×