ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

উভয়পক্ষই বিজয়ের ব্যাপারে আশাবাদী;###;৯০ ভাগ পৌরসভায় ভোটযুদ্ধ সরাসরি

আওয়ামী লীগ-বিএনপি আজ মুখোমুখি লড়াইয়ের ময়দানে

প্রকাশিত: ০৫:৩০, ৩০ ডিসেম্বর ২০১৫

আওয়ামী লীগ-বিএনপি আজ মুখোমুখি লড়াইয়ের ময়দানে

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ মর্যাদার লড়াইয়ে আজ মুখোমুখি দুই প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপি ও আওয়ামী লীগ। পৌর নির্বাচনে বিজয়ের ব্যাপারে আশাবাদী দু’পক্ষই। দীর্ঘ সাত বছর পর দলীয় প্রতীকের এ মর্যাদার লড়াইয়ে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি উভয়েরই দাবি, পৌর নির্বাচনে জয়ের মালা তাদের ঘরেই আসবে। উভয় পক্ষই নিজস্ব জরিপ তুলে ধরে দাবি করছে, মেয়র পদে নিরঙ্কুশ জয় তাদেরই হবে। আওয়ামী লীগের দাবি, দুই শতাধিক পৌরসভাতেই তাদের মেয়র প্রার্থীরা এগিয়ে। অন্যদিকে বিএনপি বলছে, নির্বাচন নিরপেক্ষ হলে ৮০ ভাগ পৌরসভাতেই তাদের সমর্থিত মেয়র প্রার্থীরা বিজয়ী হবে। তবে মর্যাদার এই রাজনৈতিক লড়াইয়ে শেষ পর্যন্ত কোন্ দল বিজয়ী, আর কোন্ দলের পরাজয় ঘটবে- দেশের জনগণ আজ মঙ্গলবার ভোটের ব্যালটের মাধ্যমে তা নিশ্চিত করবে। পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে নৌকা মার্কায় আওয়ামী লীগ প্রার্থীদের নিরঙ্কুশ জয়ের আশা করছে ক্ষমতাসীন দলটি। দীর্ঘ সাত বছর পর প্রথম দলীয় প্রতীক নিয়ে মর্যাদার আজকের নির্বাচনী এ লড়াইয়ে নিরঙ্কুশ বিজয় অর্জনের মাধ্যমে জনগণের সমর্থনের প্রমাণ দেয়ার পাশাপাশি তৃণমূলে সাংগঠনিকভাবে আওয়ামী লীগ যে অতীতের চেয়ে এখন আরও বেশি শক্তিশালী, তারও জানান দিতে চায় দলটি। কেন্দ্র থেকে পরিচালিত সর্বশেষ জরিপেও সংখ্যাগরিষ্ঠ পৌরসভাতেই আওয়ামী লীগ প্রার্থীর বিজয় হবে, এমনটাই জানিয়েছেন দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা। অন্যদিকে, বিএনপি নেতারাও মনে করছেন, ধানের শীষে পক্ষে আজকের নির্বাচনে নীরব ব্যালট বিপ্লব ঘটবে। বিগত সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের মতোই এবারের অধিকাংশ পৌরসভাতেই তাদের মেয়র প্রার্থীরা বিজয়ী হবে। তবে পৌর নির্বাচনে জয়-পরাজয় যাই-ই হোক না কেন, এ নির্বাচনকে ঘিরে রাজনৈতিক ইস্যু আদায় করতে মরিয়া বিএনপি। তাদের রাজনৈতিক কৌশল হচ্ছে- নির্বাচনে হারলে কারচুপির অভিযোগ করে প্রত্যাখ্যান, আর বিজয়ী হলে সরকারের জনসমর্থন হ্রাসের বিষয়টি ইস্যু করে নতুন জাতীয় নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলন গড়ে তোলা। এ লক্ষ্যে নিয়েই আজকের পৌরসভা নির্বাচনকে ঘিরে ‘এক ঢিলে দুই পাখি’ মারতে চায় বিএনপি। বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া দলে দলে ভোটকেন্দ্রে এসে ধানের শীষে ভোট দেয়ার জন্য দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, ভোট দিন এবং নিজেদের ভোটের মর্যাদা রক্ষা করুন। আমরা শেষ পর্যন্ত নির্বাচনী যুদ্ধে অবিচল থাকব। শাসক দল নির্বাচনের ওপর যে অশুভ প্রভাব সৃষ্টির পরিকল্পনা করেছে, জনগণ তা রুখে দিয়ে বিএনপির প্রার্থীদের বিজয়ী করবে। বিএনপি প্রধানের এ অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম নৌকা মার্কায় ভোট দেয়ার জন্য দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, নির্বাচনের ফলাফল কী হবে তা বুঝতে পেরেই বিএনপি প্রথম থেকেই নির্বাচনকে বিতর্কিত করার চেষ্টা করছে। স্বাধীনতার প্রতীক নৌকা, বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনা। মুক্তিযুদ্ধের মার্কাও হলো নৌকা। তাই নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের প্রার্থীকে জয়লাভ করবেন সেটাই আমরা সবার কাছে কামনা করি। আওয়ামী লীগের নিজস্ব জরিপেও দেখা গেছে, বেশিরভাগ পৌরসভায় আওয়ামী লীগের মেয়র-কাউন্সিলর প্রার্থীরা জয়ী হবেন। এখন নির্বাচনের পরই বোঝা যাবে, কোন্ জরিপ সঠিক। আজ বুধবার ২৩৪টি পৌরসভায় মেয়র পদে প্রথম দলীয় প্রতীকে নির্বাচন হতে যাচ্ছে। ৭০ কোটি ৯৯ লাখ ভোটার আজ নিজেদের ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে রাজনৈতিক দলের প্রকৃত জনপ্রিয়তার ব্যারোমিটার কেমন, তা নির্ধারণ করবেন। ২৩৪টি পৌরসভার মধ্যে ২৩৩টি পৌরসভায় মেয়র পদে আওয়ামী লীগ, ২২২টিতে বিএনপি, জাতীয় পার্টি ৭৪টি, অন্যান্য দল ১০৮টি এবং স্বতন্ত্র হিসেবে ২৮৫ জন মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ৭টি পৌরসভায় ইতোমধ্যে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। সারাদেশে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এ নির্বাচনে ২০টি রাজনৈতিক দল মেয়র পদে প্রার্থিতা দিলেও প্রায় ৯০ ভাগ পৌরসভাতেই লড়াই হবে নৌকা বনাম ধানের শীষ প্রতীকের মধ্যে। কিছু কিছু জায়গায় দল দুটি বিদ্রোহী প্রার্থীরা মূল প্রার্থীদের পরাজয়ের ক্ষেত্রে নিয়ামকের ভূমিকা পালন করলেও শেষ পর্যন্ত প্রধান এ দুই দলের প্রার্থীদের মধ্যেই মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা। দু’দলই জাতীয় নির্বাচনের মতোই বিভিন্ন ইস্যু ভোটারদের মাঝে তুলে ধরে নির্বাচনী বৈতরণী পার হওয়ার চেষ্টা করেছে। সারাদেশ থেকে আমাদের স্টাফ রিপোর্টার ও নিজস্ব সংবাদদাতাদের পাঠানো রিপোর্ট বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, অধিকাংশ পৌরসভাতেই জনপ্রিয়তার ব্যারোমিটারে এগিয়ে রয়েছে শাসক দল আওয়ামী লীগ। বিএনপি-জামায়াত জোটের ৯৩ দিনব্যাপী ভয়াল-বীভৎস্য অগ্নিসন্ত্রাস, নাশকতা, ধ্বংসযজ্ঞ আর মানুষকে পৈশাচিক কায়দায় পুড়িয়ে হত্যা ঘটনাটি তৃণমূলের সাধারণ ভোটারদের প্রভাবিত করেছে। বিএনপি জিতলে আবারও দেশে ধ্বংসযজ্ঞ চালাবে, উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত হবে- এমন আশঙ্কা থেকেই নৌকা মার্কার প্রার্থীদের পক্ষেই অবস্থান নিয়েছে জনগণ। আর জনবিচ্ছিন্ন ও অসংঘটিত বিএনপির সাংগঠনিক শক্তির কারণেই দলটির সমর্থিত প্রার্থীরা নির্বাচনের মাঠে খুব একটা সুবিধা করতে পারছেন না। এমনকি বিএনপি অধ্যুষিত এলাকাতেও ধানের শীষ প্রতীকের চেয়ে নৌকা প্রতীক বড় ধরনের প্রভাব ফেলেছে বলেও প্রতিবেদনে উঠে এসেছে। এ প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম তার প্রতিক্রিয়ায় বলেন, জনগণ স্বাধীনতা ও উন্নয়নের প্রতীক নৌকা মার্কায় ভোট দেবে। মানুষের এমন মনোভাব বুঝতে পেরেই খালেদা জিয়া এখন নানা ছুতো ধরছেন। তবে মানুষ আর কখনই খালেদা জিয়ার ডাকে সাড়া দেবে না। মানুষ কথিত আন্দোলনে খালেদা জিয়াকে প্রত্যাখ্যান করেছে। আজকের পৌরসভা নির্বাচনেও প্রত্যাখ্যান করবে। দলে দলে ভোটকেন্দ্রে গিয়ে নৌকা মার্কায় ভোট দেবে। ইনশাআল্লাহ সংখ্যাগরিষ্ঠ পৌরসভায় আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থীরা নির্বাচিত হবেন। পাল্টা যুক্তি দেখিয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দাবি করেছেন, নির্বাচনী মাঠে বিএনপির পক্ষে যে জোয়ার দেখছি, তাতে ৮০ ভাগ পৌরসভায় জয়লাভ করা উচিত। সুযোগ পেলে দেশের জনগণ ধানের শীষে ভোট দেয়ার জন্য উন্মুখ হয়ে রয়েছেন। তবে ভোটের মাঠে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি হয়নি। সরকার জোর করে বিএনপির বিজয় কেড়ে নিতে নানা নীলনকশা করছে। অনেক এলাকায় আমাদের প্রার্থীরা নিজের জীবন রক্ষায় নির্বাচন থেকে সরে গেছেন। নির্বাচনে কারচুপি হলে পরবর্তীতে ২০ দলীয় জোট বৈঠকে বসে পরবর্তী দলীয় কর্মসূচী ঘোষণা করবে। জানা গেছে, আজ সকাল থেকে ধানম-ির আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে সভাপতিম-লীর সদস্য ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে সাত বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদকসহ অন্য কেন্দ্রীয় নেতারা অবস্থান নিয়ে সারাদেশের নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করবেন। সকাল রাত অবধি সারাদেশের পৌর নির্বাচনের ফলাফলও সংগ্রহ করবেন তারা। অন্যদিকে বিএনপিও নির্বাচন মনিটরিং করতে ৪টি কমিটি গঠন করেছে। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে গঠিত কমিটি গুলশান বিএনপির চেয়ারপার্সনের কার্যালয়ে অবস্থান করে নির্বাচন মনিটরিং করবে। এ ছাড়া নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অবস্থান করে যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর নেতৃত্বাধীন কমিটি নির্বাচন মনিটরিং করবেন। আর নির্বাচন কমিশনসংক্রান্ত বিষয়ে মনিটরিং করবেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান। গণমাধ্যম সংক্রান্ত একটি কমিটিও গঠন করেছে বিএনপি বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা শামসুজ্জামান দুদুর নেতৃত্বে এ কমিটিতে রয়েছেন দলের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ড. আসাদুজ্জামান রিপনসহ আরও ক’জন। ব্যালেটের মাধ্যমে বিএনপিকে প্রত্যাখ্যান করুনÑ দেশবাসীকে আওয়ামী লীগ ॥ দেশের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে দেশবাসীকে নৌকা মার্কায় ভোট দেয়ার আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগ বলেছে, ভোটারদের আজ সিদ্ধান্ত নিতে হবে। নৌকায় ভোট দিয়ে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এ দেশের উন্নয়ন-অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখুন, আর খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে রাষ্ট্র ক্ষমতায় এবং বাইরে থেকে সন্ত্রাস, দুর্নীতি, মানুষ পুড়িয়ে হত্যা, সন্ত্রাস আর নাশকতাকে প্রত্যাখ্যান করুন। মঙ্গলবার ধানম-ির আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের পক্ষ থেকে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে এ আহ্বান জানান দলটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ। তিনি অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে মানুষের ভোট প্রদান নিশ্চিত করতে নির্বাচন কমিশনকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করার জন্য দলীয় নেতাকর্মীদের নির্দেশ দেন। হানিফ বলেন, আমরা চাই না এ নির্বাচনে কোন অনিয়ম কিংবা ত্রুটি করে নির্বাচনকে বিতর্কিত করা হোক। তবে বিএনপি প্রথম থেকেই নির্বাচনকে বিতর্কিত করতে গোয়েবলসীয় কায়দায় মিথ্যাচার করে যাচ্ছে। আজ খালেদা জিয়া বাকসন্ত্রাসীতে পরিণত হয়েছেন। মিথ্যাচার করে প্রশাসনকে হুমকি-ধমকি দিয়ে নির্বাচনকে উনি নিজের অনুকূলে আনার চেষ্টা করছেন। তাই জনগণের প্রতি আমার আহ্বান, বাকসন্ত্রাসীর নেতৃত্বে বিএনপি যে নাশকতা করছে তার বিরুদ্ধে ভোট দিয়ে প্রমাণ করুন, বাংলাদেশের জনগণ এই সন্ত্রাসী কর্মকা-কে পছন্দ করে না। দেশের জনগণ অবাধ, সুষ্ঠু ও উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট দিয়ে নৌকা মার্কার প্রার্থীদের জয়যুক্ত করবেন এমন আশাবাদ ব্যক্ত করে আওয়ামী লীগের এ নেতা বলেন, এ নির্বাচনে সরকার পরিবর্তন হবে না। তবে নির্বাচনের মাধ্যমে দেশের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে জনগণ নৌকা মার্কায় ভোট দেবে। স্বাধীনতার প্রতীক নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে প্রমাণ করতে হবে জনগণ উন্নয়ন, অগ্রগতি চায়। জঙ্গীবাদ-নাশকতা-অগ্নিসন্ত্রাস আর দেখতে চায় না। সাংবাদিক সম্মেলনে কেন্দ্রীয় নেতা জাহাঙ্গীর কবির নানক, ড. আবদুর রাজ্জাক, আহমদ হোসেন, আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, ড. আবদুস সোবহান গোলাপ, এ্যাডভোকেট আবদুল মান্নান খান, ডাঃ বদিউজ্জামান ভুঁইয়া ডাবলু, অসীম কুমার উকিল, এনামুল হক শামীম, সুজিত রায় নন্দী, যুবলীগের হারুন অর রশিদ, যুব মহিলা লীগের নাজমা আখতার, অপু উকিল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। ফল ঘোষণা পর্যন্ত কেন্দ্রে অবস্থান করুনÑ বিএনপি ॥ পৌর নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা না হওয়া পর্যন্ত নেতাকর্মী-সমর্থকদের ভোট কেন্দ্রে অবস্থান নিতে নির্দেশ দিয়েছে বিএনপি। মঙ্গলবার সাংবাদিক সম্মেলনে এ নির্দেশ দিয়ে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, যে কোন চক্রান্ত নিশ্চিহ্ন করে দিয়ে ভোট দিতে হবে। ভোটের ফলাফল না পাওয়া পর্যন্ত কেন্দ্রে অবস্থান করতে হবে। তিনি অভিযোগ করে বলেন, ভোটের ফলাফল নিজেদের অনুকূলে নিতে সরকার এক হীন নীলনকশা নিয়েছে। বিরোধী দলের প্রার্থীদের পক্ষে নেতাকর্মীসহ ভোটারদের ভয় পাইয়ে দিতে উড়ো খবরের কথা বলে পুলিশ-র‌্যাব যৌথ অভিযান চালাচ্ছে। ভোটের দিনে যাতে জনগণ ভোট দিতে না যায় সেই কেরামতি দেখানোর জন্য এই অভিযান চালানো হচ্ছে। এই ঘৃণ্য পরিকল্পনা ব্যর্থ করে দিতে সবাইকে অবিচলভাবে ভোট দেয়ার আহ্বান জানান তিনি। দখলদারিত্ব প্রতিষ্ঠা করে ভোটে কারচুপির জন্য এসব করা হচ্ছে দাবি করে বিএনপির এ নেতা বলেন, আমরা স্পষ্ট ভাষায় বলে দিতে চাই- যে অন্যায়, সহিংসতা ও তা-ব চালিয়ে সরকার ভোটের ফলাফলকে নিজের অনুকূলে নেয়ার যে পরিকল্পনা করছে, তা বানচাল করে দৃঢ় মনোবল নিয়ে ফ্যাসিবাদের শৃঙ্খল ডিঙিয়ে সকলকে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে হবে, ভোটকেন্দ্র পাহারা দিতে হবে। রিজভী বলেন, নির্বাচন কমিশন আমাদের কোন অভিযোগের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া তো দূরে থাক, নরম ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণেও অপারগতা প্রকাশ করেছে। শাসক দলের প্রতি কমিশনের আত্ম বিক্রয়ের আনুগত্যের কারণেই এসব নির্বাচনে যে তামাশা, সহিংস ও রক্তপাত দেখছে, সেটি নির্বাচন কমিশনের গতানুগতিক আচরণ বলেই জনগণের সুস্পষ্ট ধারণা জন্মেছে।
×