ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

মাদকদ্রব্য অধিদফতরের অভিযান

প্রকাশিত: ০৫:৪৪, ৩০ ডিসেম্বর ২০১৫

মাদকদ্রব্য অধিদফতরের অভিযান

স্টাফ রিপোর্টার ॥ থার্টিফার্স্ট নাইটের উন্মত্ততা প্রতিরোধে আটঘাঁট বেঁধে মাঠে নেমেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর। বৃহস্পতিবার রাতের আগেই যাতে বাসা-বাড়িতেও কোন ধরনের মাদকদ্রব্যের মজুদ গড়তে না পারে সে জন্য রাজধানীর অভিজাত এলাকায় তন্ন তন্ন করে অভিযান চালানো হচ্ছে। সোমবার রাতে গুলশান, উত্তরা, বনানী ও বারিধারার কয়েটি বাড়িতে হানা দেয় মাদকের একাধিক টিম। এর মধ্যে উত্তরার দুটো বাড়িতে চেতনানাশক ইঞ্জেকশনসহ বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য পাওয়া যায়। এ সময় দুজনকে আটক করা হয়। মাদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম জনকণ্ঠকে জানান, অবিশ্বাস্য কায়দায় অভিযান চালানো হচ্ছে। গোপন সূত্রের খবর ছিল থার্টিফার্স্ট নাইট উপলক্ষে রাজধানীর উত্তরার ১৪ নং সেক্টরের ৫ নং রোডের ৩৮ নং বাড়ি এবং ১১ নং সেক্টরের ১৬ নং রোডের ৭ নম্বর বাড়িতে মাদকের বিশাল মজুদ গড়ে তোলা হয়েছে। আফসানা ও সীমা নামের দুই নারী গডফাদার থার্টিফার্স্ট নাইটের হট ইভেন্টস বসানোর ব্যাপক প্রস্তুতি নেয়। এটা নিশ্চিত হবার পর মাদকের পরিচালক ডিআইজি তওফিক উদ্দিন আহমেদ তাৎক্ষণিক সেখানে সাঁড়াশি অভিযানের নির্দেশ দেন। এর পরই রাতে চালানো হয় অভিযান। ওই দুটো বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয় নেশার ভয়ঙ্কর ইঞ্জেকশন লুপিজেসিক এক হাজার ভলিয়ুমসহ বিপুল পরিমাণ ইয়াবা, গাজা, ফেনসিডিল ও হেরোইনের মতো মাদকদ্রব্য। উদ্ধার করা হয় বিশ্বের অত্যাধুনিক কনডম। এ সময় আফসানা ও সীমা পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। তবে আটক করা হয় জুয়েল ও সুমন নামের দুজন। পরে তারা স্বীকার করে এ দুটো বাড়িতে থার্টি ফার্স্ট নাইটে মাদকের পাশাপাশি অসামাজিক কার্যকলাপেরও আয়োজন ছিল। সে জন্যই ক্লায়েন্টদের চাহিদা অনুযায়ী বিপুল পরিমাণ কনডমেরও মজুদ গড়া হয়। এ ঘটনায় পরিদর্শক কামরুল ইসলাম ও পরিদর্শক লায়েকুজ্জামান বাদী হয়ে উত্তরা পশ্চিম থানায় দুটো মামলা দায়ের করেন। পরিদর্শক কামরুল ইসলাম বলেন, থার্টিফার্স্ট নাইটের আগেই অভিজাত এলাকার প্রায় শতাধিক বাড়িতে হটইভেন্টস নামে এ ধরনের মাদকের মজুদ গড়ে তোলা হয়েছে। এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট তথ্য নিয়েই অভিযান চালানো হচ্ছে।
×