ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

নৌবাহিনী জাহাজ ‘ওমর ফারুক’ এর ডি-কমিশনিং

প্রকাশিত: ০১:২১, ৩০ ডিসেম্বর ২০১৫

নৌবাহিনী জাহাজ ‘ওমর ফারুক’ এর ডি-কমিশনিং

অনলাইন ডেস্ক ॥ দীর্ঘ ৩৯ বছর সফলতার সাথে প্রশিক্ষণ কার্যক্রম ও অপারেশনাল কর্মকান্ড পরিচালনার পর বাংলাদেশ নৌবাহিনীর একমাত্র ট্রেনিং ফ্রিগেট বানৌজা ‘ওমর ফারুক’কে আনুষ্ঠানিকভাবে ডি-কমিশনিং করে জাহাজটিকে মিউজিয়াম শীপ হিসেবে উদ্বোধন করা হয়েছে। আজ বুধবার নৌবাহিনী প্রধান ভাইস এডমিরাল এম ফরিদ হাবিব প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে জাহাজটিকে নৌ বহর হতে ডি-কমিশনিং এর আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করেন। পরে তিনি জাহাজটিকে মিউজিয়াম শীপ হিসেবে উদ্বোধন করেন। এ সময় কমান্ডার চট্টগ্রাম নৌ অঞ্চল রিয়ার এডমিরাল এম আখতার হাবীব সহ চট্টগ্রাম নৌ অঞ্চলের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ও বিপুল সংখ্যক নাবিক উপস্থিত ছিলেন। বাংলাদেশ নৌবাহিনীর প্রথম ফ্রিগেট হিসেবে বানৌজা ‘ওমর ফারুক’ গত ১০ ডিসেম্বর ১৯৭৬ সালে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর বহরে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করে। তৎকালীন নৌবাহিনী প্রধান রিয়ার এডমিরাল মুশাররফ হুসেইন খান জাহাজটিকে বাংলাদেশ নৌবাহিনীতে কমিশনিং করেন। এর আগে ১৯৫৮ সালে জাহাজটি যুক্তরাজ্যের নৌবাহিনীতে কমিশন লাভ করে। যাত্রা শুরুর পর থেকেই জাহাজটি বাংলাদেশ নৌবাহিনীর ট্রেনিং শীপ হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এছাড়া জাহাজটি সমুদ্র এলাকায় জলদস্যুতা ও চোরাচালান বিরোধী বিভিন্ন অভিযান, অপারেশন প্রতিরোধ, ট্রেজার শীল্ড ও বাৎসরিক সমুদ্র মহড়ায় সফলভাবে অংশগ্রহণ করে। মালয়েশিয়ান বিমান ফ্লাইট-৩৭০ নিখোঁজের প্রেক্ষিতে বঙ্গোপসাগরে অনুসন্ধান অভিযানে বানৌজা ‘ওমর ফারুক’ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। পাশাপাশি জাহাজটি একাধিক দেশে শুভেচ্ছা সফরেও অংশগ্রহণ করে। এযাবৎ ৫৯ জন অধিনায়কের নেতৃত্বে, জাহাজটি ৩ লাখ ৬২ হাজার ১২৭ নটিক্যাল মাইল সমুদ্রপথ অতিক্রম করেছে। উল্লেখ্য, সাম্প্রতিককালে অপারেশনাল সক্ষমতার সীমাবদ্ধতার প্রেক্ষিতে জাহাজটিকে নৌ বহর হতে ডি-কমিশনিং ও মিউজিয়াম শীপ হিসেবে রূপান্তরের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। বিজ্ঞপ্তি
×