ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

অন্তরে গরল

প্রকাশিত: ০৩:৪০, ৩১ ডিসেম্বর ২০১৫

অন্তরে গরল

ফিরোজ মৃধা ১৯৭১ সালে আমার প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশের জন্ম। এর জন্য ৩০ লাখ মানুষের প্রাণ ও ২ লাখ মাবোনকে তাদের সভ্রম দিতে হয়েছে। এই দেশটি অনেক মূল্য দিয়ে কেনা, এজন্য আমাদের কাছে এই দেশ এত প্রিয়। এটা শুধু আমার না আমার মতো তরুণদের জন্মের অনেক আগের ইতিহাস। যাঁর নেতৃত্বে এই দেশ স্বাধীন হয়েছে, যাঁর একটি অঙ্গুলী হেলনে সাড়ে সাত কোটি নিরীহ বাঙালী প্রাণের মায়া ত্যাগ করে বাংলাদেশকে স¦াধীন করেছে- তিনি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ইতিহাস পড়ে জানতে পেড়েছি, মুসলিম নামধারী বর্বর পাকিস্তানী বাহিনীর বর্বরতার সহায়তায় এদেশের অনেক কুলাঙ্গার জড়িত ছিল। কোন কোন ক্ষেত্রে নাকি পাকিস্তানী বাহিনীর চেয়েও বেশি বর্বরতা দেখিয়েছিল এদেশের কুলাঙ্গাররা। অনেক প্রতিকূলতা সত্ত্বে¡ও বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে ভারতের সহায়তায় বীর বাঙালী পাকিস্তানী বর্বর বাহিনীকে হটিয়ে এদেশকে স্বাধীন করেছে। পরাজয়ের জ্বালা পাকিস্তানীরা যেমন মন থেকে মেনে নিতে পারেনি, তেমনি পারেনি তাদের এ দেশের কুলাঙ্গার দোসররা। যে মাটিতে আমার মাবোনদের সভ্রমহানি হয়েছে, যে মাটি শহীদের রক্তে পবিত্র হয়েছে, সে মাটিতে কুলাঙ্গারদের বাস করার কোন অধিকার থাকার কথা নয়। কিন্তু মহান নেতার পিতৃসুলভ ক্ষমার জন্য এদেশে তাদের ঠাঁই হয়। মহান নেতা সপরিবারে নিহত হন। এরপর আমরা অনুধাবন করেছি, কুলাঙ্গার মীরজাফরদের ক্ষমা করতে নেই। ওদের বিষদাঁত কখনও বিষশূন্য হয় না। জিয়ার সহযোগিতায় কুলাঙ্গাররা এদেশে প্রকাশ্যে রাজনীতির সুযোগ পেয়ে শুধু এদেশকে কলঙ্কিত করেনি, অপমানিত করেছে। বঙ্গবন্ধুকে, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের আর বিতর্কিত করেছে লক্ষ্য প্রাণের বিনিময়ে কেনা এই দেশকে, দেশের স্বাধীনতাকে। পরবর্তীকালে জিয়ার গুণধর পতœী বেগম খালেদা জিয়া তার স্নেহের আঁচলে কুলাঙ্গারদের আশ্রয় দিয়ে মহান সংসদকেও কলঙ্কিত করেছে। খালেদা এ দেশের স্বাধীনতাকে মনে প্রাণে চাননি, চাইলে মুক্তিযুদ্ধের সময় জিয়া তাকে চিঠি দিয়ে নিতে চাইলেও উনি কেন যাননি পাকিস্তানীদের আশ্রয় ছেড়ে। হয়ত উনি চেয়েছিলেন জিয়া যুদ্ধে মারা গেলে পাকিস্তানীদের সাথে চলে যাবেন, কিন্তু তার সে আশা পূরণ হয়নি, কিন্তু নয় মাসের আরাম আয়েশ পাকিস্তানীদের নুন খাওয়ার কথা হয়ত তিনি কখনও ভুলতে পারবেন না। সে প্রমাণ তো কিছুদিন পরপর তার বক্তব্য বিবৃতিতেই প্রতিফলিত হচ্ছে। অন্তরে গরল থাকলে তা যেভাবেই হোক মুখ দিয়ে বেরিয়ে আসবেই। যারা স্বাধীন দেশকে স্বীকার করে না, দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে ওরা তো বেজন্মা। আর বেজন্মাদের এদেশে ঠাঁই হতে পারে না। ধোবাউড়া, ময়মনসিংহ থেকে
×