ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

২০১৫ ॥ সভ্যতার ওপর রক্তের আঁচড় -স্বদেশ রায়

প্রকাশিত: ০৩:৪৫, ৩১ ডিসেম্বর ২০১৫

২০১৫ ॥ সভ্যতার ওপর রক্তের আঁচড়  -স্বদেশ রায়

২০১৫ আইনস্টাইনের থিওরি অব রিলেটিভিটির শতবর্ষ পূরণের বছর। আইনস্টাইনের থিওরি অব রিলেটিভিটির আওতা অনেক বড়। টাইম এ্যান্ড স্পেস, স্পেস থেকে ব্লাক হোল অন্যদিকে এর ভেতরে আসে হিউম্যান বডি ও প্রকৃতি-বিজ্ঞান ও সাইকোলজি। আইনস্টাইনের থিওরি অব রিলেটিভিটি ধরে বলা যায়, ঘড়িরও শরীর মানুষেরও শরীর। তাই ২০১৫ যেমন ঘড়ি থেকে চলে গেছে, তেমনি মানুষের শরীর থেকেও চলে গেছে। ঘড়ি পর্যালোচনা করতে পারে না কোন্ সময়টা তার থেকে চলে গেল। মানুষের শরীরও খুব বেশি পারে না। কিন্তু তার মন পারে। তার বোধ পারে। ন্যাচারাল বিজ্ঞান এ পর্যালোচনা চায়, বস্তুর ভর, গতি, সময়, স্পেসসহ অনেক পর্যালোচনা করে প্রকৃতি বিজ্ঞান একটি সিদ্ধান্তে পৌঁছায়। মানুষের মনকে অর্থাৎ হিউমান সাইকোলজিকেও তার সময়, গতি তার সময় ও স্পেস অনেক কিছু পর্যালোচনা করে তাকে সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে হয়। ২০১৫তে মানুষকে, সমাজকে অনেক পর্যালোচনা করতে হয়েছে। এই বছরটি যখন পার হয়ে যাচ্ছে তখনও তাকে আরও বেশি করে পর্যালোচনা করতে হবে। কোথায় যাচ্ছে মানব সমাজ? কী ঘটতে যাচ্ছে মানব সভ্যতার ইতিহাসে? ২০১৫তে বাস্তবে কি পৃথিবী নামক এই গ্রহটি বিশেষ করে এ গ্রহের মানব সভ্যতা ও প্রাকৃতিক ভারসাম্য একটি ব্লাক হোলের মধ্য দিয়ে পার হলো না? বিশ্বজুড়ে যে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ ও সাইকোলজিক্যাল যুদ্ধের ভেতর দিয়ে পার হলো ২০১৫, সেখানে কি আসলে ব্লাক হোলের মতো একটি বিশাল শূন্যতা নয়! নানানভাবে এই শূন্যতাকে অস্বীকার করার চেষ্টা করা হচ্ছে। মধ্যপ্রাচ্যের যে রক্তক্ষরণ তার সঙ্গে ইউরোপ, আমেরিকা আগে থেকে জড়িত ছিল। এখন জড়িয়ে পড়েছে রাশিয়া। ২০১৫ একেবারে শেষ মুহূর্তে সৌদি আরবের নেতৃত্বে এশিয়া ও আফ্রিকার অনেক দেশ নিয়ে একটি জোট হয়েছে। তারাও এই রক্তক্ষরণের মধ্যে জড়িয়ে পড়বে কিনা তা এখনও নিশ্চিত নয়। হয়ত পড়বে। মধ্যপ্রাচ্যে যে রক্তক্ষরণ শুরু হয়েছিল তা ৯/১১ থেকে আমেরিকায়, পরে ইউরোপে ও অস্ট্রেলিয়ায় সর্বশেষ রাশিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। পাশাপাশি এশিয়া, আফ্রিকা ও সেন্ট্রাল এশিয়া বাদ যাচ্ছে না এর থেকে। ইউরোপ ও আমেরিকার কিছু কিছু চিন্তাবিদ বলছেন এটা ক্লাস অব সিভিলাইজেশান। সভ্যতার সংঘাত। হান্টিংটন এ কথা পশ্চিমা রাষ্ট্রনায়ক ও অনেক চিন্তানায়কের মুখে তুলে দেন- বুশ যখন ইরাক আক্রমণ করে ওই সময়ে। ইরাক আক্রমণের ভেতর এক ধরনের অর্থনৈতিক আগ্রাসন ছাড়া সভ্যতার কোন সংঘাত খুঁজে পাবার আসলে কি কোন পথ আছে? সে পথ নেই। কিন্তু ২০১৫ তে ইসলামিক স্টেট গড়ার এক সশস্ত্র যুদ্ধ- আধুনিক শিক্ষা, নারী শিক্ষাকে অস্ত্র ও ধর্ষণের মাধ্যমে বন্ধ করার বর্বরতা এবং নৃতাত্ত্বিক সংখ্যালঘু হত্যার ভেতর দিয়ে রক্তক্ষরণের মধ্য দিয়ে পার হলো। পাশাপাশি হাজার হাজার মানুষ দেশছাড়া হলো, শরণার্থী হলো। এর বিপরীতে গড়ে উঠেছে পশ্চিমা বিশ্ব ও রাশিয়ার প্রতিরোধ। একেও এখন আবার বলা হচ্ছে ক্লাস অব সিভিলাইজেশান। কিন্তু বাস্তবে কি এ ক্লাস অব সিভিলাইজেশান? সভ্যতার সংঘাত? এক সভ্যতার সঙ্গে অপর সভ্যতার আসলে কি কখনও কোন সংঘাত হয়? পৃথিবীর সভ্যতার ইতিহাসের দিকে চোখ রাখলে দেখা যায় কোন সভ্যতার সঙ্গে অন্য কোন সভ্যতার কোনদিন কোন সংঘাত হয়নি। সভ্যতার ভেতর একটি সহজাত দ্রবীভূত হওয়ার ক্ষমতা আছে। একটি সভ্যতার জন্য অপর সভ্যতা বা আগত সভ্যতার যতটুকু প্রয়োজন ততটুকু সে প্রাকৃতিক নিয়মের মতোই দ্রবীভূত করে নেয়। সেখানে অবশ্য থিওরি অব রিলেটিভিটির ওই টাইম এ্যান্ড স্পেস কাজ করে। আমাদের যে বাঙালী সভ্যতা এ কত বছরের সভ্যতা, কত সময়ের মিলন তা কি কেউ বলতে পারে? একটা টাইম-স্পেস হয়ত বের করা যায় কিন্তু তা হয়ত আরও দীর্ঘ হতে পারে। তবে হ্যাঁ, সভ্যতার সঙ্গে পৃথিবীতে বহুবার ধর্মের সংঘাত হয়েছে, বহু রক্তক্ষরণ হয়েছে বলে কখনও কখনও মনে হয়। কিন্তু ইতিহাসের ওই অধ্যায়গুলো খুব মনোযোগের সঙ্গে দেখলে বোঝা যাবে- এগুলো কখনই সভ্যতার সঙ্গে ধর্মের সংঘাত নয় বরং সভ্যতার একটি কম্পোনেন্ট এ ধর্মকে কাজে লাগিয়ে কোন গোষ্ঠী, কোন রাষ্ট্র ও কোন ব্যক্তি অন্য কোন স্বার্থ হাসিল করতে চেয়েছেন- আর তাই নিয়ে হয়েছে রক্তক্ষরণ। কী বিচিত্র সত্য, ওই রক্তক্ষরণকে সংস্কৃতি বা সভ্যতা ছাড়া অন্য কেউ প্রলেপ দিতে পারেনি। বন্ধ করতে পারেনি। তাই যে ২০১৫ পার হয়ে গেল এখানে অর্থনৈতিক স্বার্থ, রাষ্ট্রীয় স্বার্থ, গোষ্ঠী স্বার্থ এমনকি ব্যক্তি স্বার্থে হয়েছে রক্তক্ষরণ, নারী ধর্ষণ, দেশত্যাগ প্রভৃতি। এই সকল ঘটনায় মানুষের সাইকোলজির ওপর ধাক্কা পড়ছে। ফ্রান্সে সঙ্গীতানুষ্ঠানে মৃত্যুও রক্তক্ষরণ হচ্ছে হৃদয়েও। তা চিহ্নিত হচ্ছে দুইভাবে- এক. এটা আধুনিক সভ্যতার ওপর কট্টর মুসলিম মৌলবাদীর আঘাত; দুই. খ্রীস্টানের ওপর মুসলিমের আঘাত। কিন্তু মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গীতের বয়স ফ্রান্সের সঙ্গীতের বয়সের থেকে বেশি। আর বর্তমান সময়ে ফ্রান্সের বা ইউরোপের সঙ্গীতের সঙ্গে মিলে মিশে একাকার হয়ে আছে মধ্যপ্রাচ্যের শুধু নয়, পৃথিবীর নানান প্রান্তের সঙ্গীত। তাই কোন মতেই সভ্যতা বোমা নিয়ে গিয়ে আরেক সভ্যতার ওপর হামলা করবে না। অন্যদিকে ইরাক যুদ্ধ শুরুর দিন বুশ বলেছিলেন, এটা ক্রুসেড। যদি বুশের কথা এখনও সত্য হয়, আইএসের সঙ্গে পশ্চিমা বিশ্বের যে যুদ্ধ সে যুদ্ধ যদি মুসলিমের সঙ্গে খ্রীস্টানের হয়, যদি ক্রুসেড হয়- তাহলে আধুনিক সভ্য মানুষ কি সেটা করবে? করবে না। তাই ২০১৫ পার হয়ে যে ১৬কে আহ্বান করে সকলে প্রবেশ করতে যাচ্ছি, এই প্রবেশ মুহূর্তে বা ১৬’র শুরুতে কিছু জটিল বিষয় বিশ্লেষণ করা দরকার বর্তমান পৃথিবীর সমাজ ও রাজনীতি নিয়ে। সমাজ, সভ্যতা ও রাজনীতি নিয়ে যারা বিশ্লেষণের যোগ্য, তাদের এখন ভাবতে হবে অনেকটা আইনস্টাইনের থিওরি অব রিলেটিভিটিতে ফেলে। আইনস্টাইনের থিওরি অব রিলেটিভিটির বিষয়গুলো যেমন প্রকৃতি, প্রকৃতির আচরণ, সময় ইত্যাদি- এখানেও তেমন করে ভাবতে হবে। সভ্যতার ওপর ২০১৫তে যে রক্তক্ষরণ হলো এবং আগামীতে যে রক্তক্ষরণের ইঙ্গিত তাতে সমাজ, রাজনীতি ও সভ্যতা নিয়ে বিশ্লেষণ করে সিদ্ধান্ত না নিলে পৃথিবী আরও খারাপ দিকে যাবে। আরও রক্তক্ষরণ, আরও অসহিষ্ণুতা বাড়বে সমাজে। যা কোটি কোটি বছরের সভ্যতার ওপর গিয়ে আঘাত করবে। যে ক্ষতের প্রলেপ দিতে সভ্যতা ও সংস্কৃতির অনেক বেশি সময় লাগবে। ২০১৫তে দেখা গেল পৃথিবীজুড়ে যে রক্তপাত, যে অসহিষ্ণুতা এর পেছনে কিন্তু অর্থনৈতিক আগ্রাসন ও বাণিজ্য। যার মূলে আছে বড় দেশগুলোর অর্থনৈতিক সঙ্কট, বিশেষ করে পশ্চিমা বিশ্বের অর্থনৈতিক সঙ্কট, অন্যদিকে নতুন অর্থনৈতিক শক্তির উত্থান। নতুন অর্থনৈতিক শক্তির উত্থানের ভেতর বড় শক্তি হিসেবে দেখা দিয়েছিল চীন, রাশিয়া ও ভারত। ভারতের রাজনীতিকে যে অসহিষ্ণুতার মধ্যে ঠেলে দেয়া হয়েছে এখান থেকে যদি ১৬তে ভারত বেরিয়ে না আসতে পারে তাহলে পশ্চিমারা লাভবান হবে। ভারতের অর্থনীতির গতি ধাক্কা খাবে। রাশিয়াকে ইতোমধ্যে পশ্চিমারা মধ্যপ্রাচ্যের রক্তক্ষরণে টেনে আনতে সমর্থ হয়েছে। অন্যদিকে চীন তার প্রতিবেশীদের হোস্টাইল করে যেভাবে সাউথ চায়না সীতে একক দাবিসহ নানান প্রভাব বিস্তারের পথে যাচ্ছে, তাতে চীনের অর্থনীতিও বাধাগ্রস্ত হবে। প্রতিবেশীকে তবে ২০১৫ এর শেষার্ধে এসে কম্বোডিয়ার গ্রেট হ্যান্ড সেক অর্থাৎ চীনের প্রধানমন্ত্রী ও কম্বোডিয়ার সরকার প্রধানের ভেতর বৈঠক ইঙ্গিত দিয়েছে চীন নিজেকে সামলে নিচ্ছে। এখন সব থেকে বড় সমস্যা আফ্রিকার কিছু মুসলিম রাষ্ট্র, সেন্ট্রাল এশিয়ার কিছু দেশ ও মধ্যপ্রাচ্যের এই রক্তক্ষরণ। অন্যদিকে এর প্রতিফলনে পশ্চিমা বিশ্বে ঘটে গেছে মানুষের সাইকোলজিক্যাল আচরণের পরিবর্তন। তাদের দীর্ঘদিনের ট্রাডিশনকে ব্রেক করে সেখানে বেড়ে উঠছে অসহিষ্ণুতা ও ঘৃণা। একদিকে যেমন মধ্যপ্রাচ্যে ধর্মের নামে মানুষ হত্যা, অন্যদিকে পশ্চিমা বিশ্বে ধর্মের নামে অসহিষ্ণুতা ও মানুষের প্রতি ঘৃণা। মানুষের এই আচরণগত পরিবর্তনের পরিত্রাণ কোন্ পথে তা ২০১৬তে বিশ্বকে খুঁজতে হবে। যদি নাও খোঁজা হয় তাহলেও পরিবর্তন আসবে। কারণ, পৃথিবীর প্রকৃতিগত আচরণে যেমন মাধ্যাকর্ষণ, মহাকাশে যেমন মহাকর্ষণ তেমন সভ্যতার একটা মাধ্যাকর্ষণ ও মহাকর্ষণ আছে। এখানেও কোন কারণে কোন কিছু কক্ষচ্যুত হলে বা দূরে সরে গেলে আবার সভ্যতার নির্দিষ্ট চরিত্রের কারণে কাছে চলে আসবে। কিন্তু তাতে হয়ত সময় নেবে, রক্তক্ষরণ হবে। তাই সভ্যতার আবিষ্কৃত জ্ঞানকে কাজে লাগিয়ে এই রক্তক্ষরণ, এই অসহিষ্ণুতা ও ঘৃণাকে দূর করে দ্রুত কক্ষচ্যুত মানুষগুলোকে তার নিজ স্থানে আনতে হবে। আশাকরি, ২০১৬তে পৃথিবীর রাষ্ট্র ও সমাজ পরিচালকরা অতি অর্থনৈতিক লোভ ও নির্বুদ্ধিতা ত্যাগ করে সেটা করবে। ২০১৫তে পৃথিবী যে ব্লাকহোলে সময় পার করেছে বাংলাদেশও তার বাইরে ছিল না। তবে বাংলাদেশকে ব্লাকহোলে ঢোকাতে সব সময় চেষ্টা করছে দীর্ঘকাল ধরে ব্লাকহোলে পড়ে থাকা রাষ্ট্র পাকিস্তান। বাংলাদেশে যে রক্তক্ষরণ, বাংলাদেশে সংস্কৃতির ওপর ধর্মের নামে যে আঘাত এগুলো পাকিস্তানের সৃষ্ট, প্রতি মুহূর্তে পাকিস্তান এতে ইন্ধন দিচ্ছে। অন্যদিকে এখানে পুতুল শুধু পাকিস্তানী সুতার টানে নাচে। তবে এটাও সত্য ২০১৫তে যেমন পশ্চিমাদের মধ্যপ্রাচ্যের, সেন্ট্রাল এশিয়ার, এমনকি পৃথিবীর অন্যতম সোস্যাল ডাইভারসির দেশ ভারতের সোস্যাল ও মেন্টাল ডেমোগ্রাফি কিছুটা হলেও বদলে গেছে। একটা উন্মত্ত উন্মাদনা তাদেরকে গ্রাস করেছে। বাংলাদেশও এর বাইরে নয়। অন্যদিকে ২০১৫ জুড়ে পৃথিবীর অন্য অংশের রাষ্ট্রনায়ক ও সমাজনায়করা যেমন এ অবস্থা থেকে মুক্তি পাবার কোন পথ পায়নি- বাংলাদেশও তার বাইরে নয়। তাই ২০১৬ এর নতুন সূর্যের প্রতি চেয়ে একটিই আশা- সভ্যতার ওপর যে রক্তক্ষরণ হচ্ছে তা বন্ধের পথ হোক ২০১৬ তে। সর্বোপরি ২০১৫-এর শেষ এই লেখাটিতে এমন একটি বিষয় উল্লেখ করতে হচ্ছে যেখানে ব্যক্তি হিসেবে এই ক্ষুদ্র সাংবাদিক জড়িত। যদি শুধু এই ব্যক্তিটির বিষয় হতো লিখতাম না। এখানে রাষ্ট্রের কল্যাণ ও অকল্যাণ আছে বলেই উল্লেখ করছি। ২০১৫তে আমি প্রতিহিংসার শিকার হয়েছি। তাতে কোন দুঃখ নেই। কারণ, আমি একজন ব্যক্তিমাত্র। কিন্তু যে চেয়ার থেকে অবিচার পেয়েছি ওই চেয়ারের মানুষটির কাজে, আচরণে ও প্রজ্ঞাহীন কথাবার্তা সব মিলিয়ে চেয়ারের ভেতর তাকে খুব ছোট দেখা গেছে। ২০১৬-এর নতুন সূর্যের দিকে তাকিয়ে রাষ্ট্রের কল্যাণে আশা করি, দ্রুতই বিচারপতি হাবিবুর রহমান শেলী বা খায়রুল হকের মতো আলোকিত কেউ অলঙ্কৃত করবেন ওই চেয়ার। যাদের প্রজ্ঞা ও জ্ঞান দ্বারা পরিপূর্ণ ছিল রাষ্ট্রের বিশাল ওই চেয়ারটি। যাতে ভবিষ্যতে আর কেউ অমন শিকার হবেন না। রাষ্ট্র ও সভ্যতার জন্য ওই চেয়ারটিকে প্রজ্ঞা দিয়ে পরিপূর্ণ করা অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। আইনস্টাইনের থিওরি অব রিলেটিভিটির শতবর্ষ পূরণের বছরে তার থিওরির ব্যাখ্যা থেকে ধার নিয়ে বলা যায়, স্পেস যেমন এ্যাবস্ট্রাক্ট নয় তেমনি কোন কিছুই কিন্তু এ্যাবস্ট্রাক্ট নয়। সব কিছুর শরীর আছে। যথাশরীর দিয়ে যদি যথাস্থান পূরণ হয় তাহলে সঙ্কট দ্রুত কেটে যায়। ২০১৬তে সর্বত্রই তাই ঘটুক। [email protected]
×