ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

ভোটের টানে নাতির কোলে শতবর্ষী, ক্রাচে ভর দিয়ে দুই অশীতিপর

প্রকাশিত: ০৫:৫৮, ৩১ ডিসেম্বর ২০১৫

ভোটের টানে নাতির কোলে শতবর্ষী, ক্রাচে ভর দিয়ে দুই অশীতিপর

স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহী ॥ এক শ’ আট বছরের বানভাসি, ৯০ বছরের হালিমা আর ৮৫ বছরের করিমন। ঠিকমতো চলাফেরা করতে পারেন না। এদের মধ্যে বানভাসিকে চলতে হয় অন্যের কোলে। হালিমা ও করিমন চলাচল করেন কোনরকমে বাঁশের তৈরি ক্র্যাচে ভর করে। তবে ভোটের টানে তারা এসেছিলেন ভোটকেন্দ্রে। ভোটও দিয়েছেন নির্বিঘেœ। ভোটের টানে নাতির কোলে চড়ে বাঘা উপজেলার আড়ানী পৌরসভার জয়তুননেসা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এসেছিলেন বানভাসি। আর ক্র্যাচে ভর দিয়ে দুর্গাপুরের ধরমপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে এসেছিলেন হালিমা ও করিমন। বুধবার বেলা ঠিক একটা। কুয়াশার ঘোর কেটে গেছে অনেকটা। শীতার্ত ভোটারদের শরীরে কেবলই উত্তাপ ছড়াতে শুরু করেছে রোদ। এমন এক সময় নাতির কোলে চড়ে ভোটকেন্দ্রে এলেন ১০৮ বছরের বৃদ্ধা বানভাসি। শীতের দাপট, সহিংসতার আতঙ্ক আর বয়সের ভার কোনকিছুই ঘরে আটকে রাখতে পারেনি তাকে। রাজশাহীর বাঘা উপজেলার আড়ানি পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের জয়গুননেছা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে দুপুরে নাতির কোলেই দেখা মেলে এই প্রবীণ ভোটারের। ভালভাবে চোখে দেখতে পান না। কথাও শোনেন আস্তে। তবুও নাতি সঞ্জুমান হালদারের সাহায্য নিয়ে ভোট দিয়েছেন নিজেই। প্রতীক বলেছেন দাদি, সিল দিয়েছেন নাতি। আর বয়স বিবেচনায় তাদের এ কাজের অনুমতি দিয়েছেন ওই কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার আবদুল সাবের। এদিকে জেলার দুর্গাপুরের ধরমপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে বিশাল লাইনের ফাঁকে দেখা গেল ৯০ বছরের ভোটার হালিমা ও ৮৫ বছরের করিমনকে। লাইনে দাঁড়াতে না পেরে ফাঁকে দাঁড়িয়ে রয়েছেন। পরে তারা ভোট দেন। হালিমা বলেন, কবে থেকে ভোট দেয়া শুরু করেছেন তা মনে নেই। ভোট এলে ভোট দেন প্রতিবারই। এবারও এসেছেন। তিনি বলেন, ভোট চলছে এ সময় ঘরে বসে থাকা যায় না। ভোট দিতে ভাল লাগে। আগে লাইনে দাঁড়িয়ে ভোট দিতেন এখন শক্তি নেই। তারপরও ক্র্যাচে ভর করে ভোট দিতে এসেছেন। বেঁচে থাকলে আবারও ভোটকেন্দ্রে আসার ইচ্ছে তার।
×