ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

দলীয় কোন্দলে রাজশাহীতে ৪ আ’লীগ প্রার্থী হারল

প্রকাশিত: ০৪:১৪, ১ জানুয়ারি ২০১৬

দলীয় কোন্দলে রাজশাহীতে ৪ আ’লীগ প্রার্থী হারল

স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহী ॥ রাজশাহীর ১৩টি পৌরসভা ৯টিতে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও ৪টিতে বিএনপির প্রার্থী বিজয়ী হয়েছে। উন্নয়নের আশার বাণী শুনিয়েও দলীয় কোন্দল আর বিদ্রোহী প্রার্থীর কারণে ৪টি পৌরসভায় আওয়ামী লীগের প্রার্থী পাস করতে পারেননি। পবা উপজেলার নওহাটার পৌরসভায় বেসরকারীভাবে নির্বাচিত হয়েছেন ধানের শীষ প্রার্থী মকবুল হোসেন। তিনি ভোট পেয়েছেন ১২ হাজার ৭৪২টি। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আব্দুল বারি খান পেয়েছেন ১১ হাজার ৬৭৯টি ভোট। এখানে আওয়ামী লীগের প্রার্থী পরাজয়ের অন্যতম কারণ হচ্ছে বিগত সময় আওয়ামী লীগের মেয়র আব্দুল গফুর থাকার সময় কোন উন্নয়ন হয়নি। এ কারণে সাধারণ ভোটারদের মনে ক্ষোভ ছিল। এদিকে, চারঘাটে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী জাকিরুল ইসলাম বিকুল ৭ হাজার ৭৩৭ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের নার্গিস বেগম পেয়েছেন ৭ হাজার ৩৩০ ভোট। চারঘাট পৌরসভায় দলীয় মনোনয়ন নিয়েই কোন্দল শুরু হয়। মনোনয়ন যুদ্ধে মাঠে নেমেছিল কয়েকজন আওয়ামী লীগের নেতা। তবে সবাইকে পেছনে ফেলে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীক ছিনিয়ে নেন নার্গিস খাতুন। আওয়ামী লীগ থেকে দলীয় মনোনয়ন পেতে ব্যর্থ হয়ে অনেকেই নার্গিসের পক্ষ থেকে নির্বাচনের মাঠে ছিলেন না। অনেকে আবার ‘আই ওয়াশ’ করার মতো মাঠে ছিল। নির্বাচনের শেষ পর্যন্ত এ কোন্দল মেটাতে না পারার কারণে নার্গিস খাতুনকে পরাজিত হতে হয়েছে। তবে সবচেয়ে বড় কারণ হচ্ছে ওই পৌরসভায় বিদ্রোহী হিসেবে আওয়ামী লীগের অন্য প্রার্থীর মাঠে থাকা। ওই পৌরসভা থেকে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী হিসেবে মাঠে ছিলেন গোলাম কিবরিয়া বিপ্লব। বিদ্রোহী হিসেবে বিপ্লব এক হাজার ৫৪ ভোট পেয়েছেন। এ ভোটটি যদি নার্গিস খাতুনের ব্যালটে জমা হতো তাহলে ২০১১ সালের পৌর নির্বাচনে দেশের প্রথম পৌর মেয়রকে পরাজিত হতে হতো না। পুঠিয়া উপজেলায় বিএনপি মনোনীত প্রার্থী আসাদুল হক আসাদ বিজয়ী হয়েছেন। তিনি ভোট পেয়েছে ৪ হাজার ৪০২ ভোট। অপরদিকে তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী পেয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী রবিউল ইসলাম রবি পেয়েছেন ৪ হাজার ১৩১ ভোট। এখানেও আওয়ামী লীগে প্রার্থীর পরাজয়ের মূল কারণে বিদ্রোহী প্রার্থী। এ পৌরসভা থেকে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী হিসেবে মাঠে ছিলেন জিএম হিরা বাচ্চু। বিদ্রোহী প্রার্থী ২ হাজার ৮০ ভোট পান। যদি বিদ্রোহী প্রার্থী মাঠে না থাকত তাহলে ফলাফল অন্যরকম হতে পারত। অপরদিকে তানোর পৌরসভায় মাত্র ১৩ ভোটে বিজয়ী হয়েছেন বিএনপি মনোনীত প্রার্থী মিজানুর রহমান মিজান। এখানে আওয়ামী লীগের পরাজয়ের কারণ দলীয় প্রার্থী নির্বাচনে ভুল। আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী হিসেবে ইমরুল হককে দলের নেতাকর্মীরা পছন্দ করেন না। এছাড়াও দলের বাইরেও সাধারণ মানুষ যারা আছেন তাদের কাছেও ব্যক্তি ইমেজ নেই ইমরুলের। সে কারণে তানোর পৌরসভায় আওয়ামী লীগের প্রার্থী হেরেছেন।
×