ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

বাণিজ্য মেলা আজ শুরু

প্রকাশিত: ০৬:১১, ১ জানুয়ারি ২০১৬

বাণিজ্য মেলা আজ শুরু

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) আয়োজনে শুরু হচ্ছে ২১তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা। রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের পাশের মাঠে এ মেলা চলবে টানা এক মাস। আজ বিকেল তিনটায় মেলার উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এবারের মেলায় ৫ মহাদেশের ২২টি দেশ থেকে ৫৪টি প্রতিষ্ঠান অংশ নিচ্ছে। এবারের মেলায় প্রথমবারের মতো অংশ নিচ্ছে সাতটি নতুন দেশ। মন্ত্রী বলেন, ২০১৮ সালের পর ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা শের-ই-বাংলা নগরে হবে না। কারণ ৮০০ কোটি টাকা ব্যয়ে পূর্বাচলে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার স্থায়ী স্থাপনা করতে যাচ্ছি আমরা। বৃহস্পতিবার মেলার আয়োজন সম্পর্কে জানাতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য তুলে ধরেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। সংবাদ সম্মেলনে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব হেদায়েত উলাহ আল মামুন, অতিরিক্ত সচিব শওকত আলী ওয়ারেছী, ইপিবি ভাইস চেয়ারম্যান শুভাশীষ বসু, এফবিসিসিআই সভাপতি আবদুল মাতলুব আহমাদসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন। সংবাদ সম্মেলনে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, এবারের মেলা অতীতের অন্য যে কোন বারের তুলনায় বেশি আকর্ষণীয় হবে। বিদেশীদের অংশগ্রহণ বাড়াতে এবার নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। এবার নিরাপত্তার বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হয়েছে। মেলার বিভিন্ন পয়েন্টে ১০০টি সিসি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। অন্য বারের মতো মেলায় থাকছে পুলিশ, র‌্যাব, আনসারের পাশাপাশি বিজিবির সদস্যরা। তিনি জানান, মেলার উদ্দেশ্য হচ্ছে দেশী-বিদেশী ভোক্তাদের বিভিন্ন পণ্যের সঙ্গে পরিচিত করা। সুস্থ প্রতিযোগিতার মাধ্যমে উৎপাদনকারীদের নিত্য নতুন এবং অধিকতর মানসম্পন্ন পণ্য নিয়ে ভোক্তার মুখোমুখি হওয়ার সুযোগ সৃষ্টি করা। গত বছর মেলা থেকে রফতানি আদেশ এসেছিল ৮৫ কোটি টাকার। এবার আরও বেশি রফতানি আদেশ পাওয়া যাবে বলে আশা করছেন বাণিজ্যমন্ত্রী। বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ২০১৮ সালের পর ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা শের-ই-বাংলা নগরে হবে না। কারণ ৮০০ কোটি টাকা ব্যয়ে পূর্বাচলে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার স্থায়ী স্থাপনা করতে যাচ্ছি আমরা। মন্ত্রী জানান, দশনার্থীদের সুবিধার্থে এবারের মেলায় থাকছে মা ও শিশু কেন্দ্র, স্বাস্থ্যকেন্দ্র। শিশুপার্ক, ই-পার্ক, ই-শপ, এটিএম বুথ, রেডিমেট গার্মেন্টস, হোমটেক্স, ফেব্রিক্স পণ্য, হস্তশিল্পজাত, পাট ও পাটজাত, গৃহস্থালি ও উপহার সামগ্রী, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, ক্রোকারিজ, তৈজসপত্র, সিরামিক, পাস্টিক, পলিমার পণ্য, কসমেটিকস হার্বাল ও প্রসাধনী সামগ্রী, খাদ্য ও খাদ্যজাত পণ্য, ইলেকট্রিক ও ইলেক্ট্রনিক্স সামগ্রী, ইমিটেশন ও জুয়েলারি, নির্মাণ সামগ্রী ও ফার্নিচার স্টল। মেলায় ১৩টি ক্যাটাগরিতে থাকছে- সাধারণ প্যাভিলিয়ন, সংরক্ষিত প্যাভিলিয়ন, প্রিমিয়ার প্যাভিলিয়ন, বিদেশী প্যাভিলিয়ন, সাধারণ মিনি প্যাভিলিয়ন, সংরক্ষিত মিনি প্যাভিলিয়ন, প্রিমিয়ার মিনি প্যাভিলিয়ন, বিদেশী মিনি প্যাভিলিয়ন, রেস্তরাঁ, প্রিমিয়ার স্টল, বিদেশী প্রিমিয়ার স্টল, সাধারণ স্টল এবং ফুড স্টল। এসব স্টল, প্যাভিলিয়নের জন্য ৫৫৩টি পট বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। গত বছর যা ছিল ৫০৩টি। এবারের মেলায় বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, চীন, মালয়েশিয়া, ইরান, থাইল্যান্ড, যুক্তরাষ্ট্র, তুরস্ক, সিঙ্গাপুর, অস্ট্রেলিয়া, ব্রিটেন, দক্ষিণ কোরিয়া, জার্মানি, নেপাল, হংকং, জাপান, আরব আমিরাত, মরিশাস, ঘানা, মরক্কো ও ভুটানসহ ২২টি দেশ অংশ নিচ্ছে। এবারও প্রবেশ মূল্য ধরা হয়েছে ৩০ টাকা। অপ্রাপ্ত বয়স্কদের টিকেটের দাম ২০ টাকা। মেলা চলবে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত। খোলা থাকবে প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ১০ টাকা।
×