ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন শনিবার সিলেটের খাদিমে অবস্থিত একাডেমি পরিদর্শন করেন

সিলেট ফুটবল একাডেমির দায়িত্ব নিচ্ছে সাইফ পাওয়ার সামিট

প্রকাশিত: ০৪:৩৪, ৩ জানুয়ারি ২০১৬

সিলেট ফুটবল একাডেমির দায়িত্ব নিচ্ছে সাইফ পাওয়ার সামিট

স্টাফ রিপোর্টার, সিলেট অফিস ॥ প্রায় ২শ’ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ ফুটবল একাডেমির দায়িত্ব নিচ্ছে সাইফ পাওয়ার সমিট। সিলেটের খাদিমনগর বাইপাস এলাকায় ২০০৮ সালে প্রতিষ্ঠা করা হয় বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন শনিবার সিলেটের খাদিমে অবস্থিত এই ফুটবল একাডেমি পরিদর্শন করেন। পরিদর্শনকালে সাইফ পাওয়ার টেকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তরফদার রহুল আমিন জানান, আগামী ২০ বছরের জন্য এই একাডেমির দায়িত্ব নিতে চান তারা। দেশের প্রথম ফুটবল একাডেমি গড়ে তোলার জন্য এই প্রতিষ্ঠান বাফুফেকে হস্তান্তর করে ক্রীড়া পরিষদ। দীর্ঘদিন অযতেœ পড়ে থাকার পর ২০১৪ সালে ফিফার ৪ লাখ ডলারের অনুদানে ৪০ জন ক্ষুদে শিক্ষার্থী নিয়ে চালু হয় বাংলাদেশ ফুটবল একাডেমির কার্যক্রম। গত বছর থেকে সেনাবাহিনীর আবাসন হিসেবে ব্যবহৃত হওয়ায় বাধাগ্রস্ত হয় একাডেমির কার্যক্রম। এ অবস্থায় সাইফ পাওয়ার টেককে ফুটবল একাডেমি তত্ত্বাবধানের দায়িত্ব দিচ্ছে বাফুফে। শনিবার সাইফ পাওয়ার টেকের ব্যবস্থাপনা পরিচালককে নিয়ে একাডেমি পরিদর্শনকালে ফুটবল একাডেমির অব্যবস্থাপনা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে কাজী সালাউদ্দিন। পরিদর্শন শেষে কাজী সালাউদ্দিন বলেন, আমরা গত বছর যেভাবে এই একাডেমিকে রেখে গিয়েছিলাম এখন সে অবস্থায় নেই। কিছুটা অব্যবস্থপনা রয়েছে। তবে সেনাবাহিনী কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, দ্রুত সময়ের মধ্যেই তারা এই একাডেমি ছেড়ে দেবেন। কাজী সালাউদ্দিন বলেন, সাইফ পাওয়ারটেক এটি ব্যবস্থাপনা করবে। তারা অর্থায়ন করবে। আর সকল সহায়তা দেবে বাফুফেকে। তিনি জানান, বেসরকারী উদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠান বিদেশী কোচ এনে এখানে আন্তর্জাতিক মানের একাডেমি গড়ে তুলবে। এক থেকে দেড় মাসের মধ্যে এই উন্নয়ন কাজ শুরু হবে। মার্চ থেকে এপ্রিলের মধ্যে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করে এই একাডেমির কার্যক্রম শুরু হবে। ফিফা প্রদত্ত ৪ লাখ ডলার এই একাডেমির অবকাঠামোগত উন্নয়নে ব্যয় করা হয়েছে বলে জানান সালাউদ্দিন। তরফদার রুহুল বলেন, এই একাডেমিতে অবকাঠামোগত সকল সুবিধাই রয়েছে। তবে ব্যবস্থাপনায় কিছু ত্রুটি ছিল। ভালভাবে পরিচালনা করা হলে একে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করা সম্ভব। তিনি বলেন, একমাসের মধ্যে আমরা একটা টিম পাঠাব। কী কী উন্নয়ন করতে হবে তারা ঠিক করবে। উন্নয়ন কাজ শেষ করতে ৩ মাসের মতো সময় লাগবে। এপ্রিল থেকে ৮ থেকে ৯ বছর বয়সী ১৪০ জন শিক্ষার্থী নিয়ে এই একাডেমির কার্যক্রম শুরু করা হবে। তার আগে ইউরোপ ও ল্যাটিন আমেরিকা থেকে কোচ নিয়ে আসা হবে। তিনি বলেন, বাফুফের সাথে চুক্তি এখনও চূড়ান্ত হয়নি। ঢাকায় গিয়েই আমরা চুক্তি চূড়ান্ত করব। তবে আমরা ২০ বছরের জন্য এই একাডেমির দায়িত্ব নিতে চাই। কারণ প্রথম ১০ বছর আমাদের বিনিয়োগ করতে হবে। ১০ বছর পর সুফল পাওয়া শুরু হবে। একাডেমির উন্নয়নে প্রতি বছর ৩ থেকে ৫ কোটি টাকা ব্যয় হবে।
×