ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

চীনের শেয়ার বাজারে চোঁট এশিয়ার বাজারে

প্রকাশিত: ০০:৫৫, ১১ জানুয়ারি ২০১৬

চীনের শেয়ার বাজারে চোঁট এশিয়ার বাজারে

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ গত কিছুদিন ধরে চলমান অস্থিরতা কাটেনি চীনের পুঁজিবাজারে। গত সপ্তাহে সর্বোচ্চ দরপতনের কারণে লেনদেন বন্ধের পরে চলতি সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসেও ধাক্কা খেয়ে শুরু হলো লেনদেন। সোমবার দেশটির পুঁজিবাজারে সাংহাই কম্পোজিট সূচক ৫.৩৩ শতাংশ পতনে গিয়ে বাজার শেষ করে। বিষয়টি এমন দাঁড়িয়েছে পুঁজিবাজারে সূচকটি নীচের জমিন পাচ্ছে না। বিবিসির এক খবরে বলা হয়, চীনের পুঁজিবাজারে এই নেতিবাচক প্রবণতা এশিয়ার অন্যান্য পুঁজিবাজারকেও কিছুটা চোট দিচ্ছে। আর সেই পালে হাওয়া দিচ্ছে তেলের অব্যাহত দরপতন। এর আগে গেল সপ্তাহে দুইদিন সূচক ৭ শতাংশের কাছাকাছি পড়ে যাওয়ায় লেনদেন বন্ধ করতে বাধ্য চীনের কর্তৃপক্ষ। এতে বিশ্ব বাজারও অস্থির হয়ে পড়ে। পুঁজিবাজারে এ নেতিবাচক প্রবণতা শুধু চীন নয়, এশিয়ার অধিকাংশ পুঁজিবাজারকেও ধাক্কা দিচ্ছে। আর সেই পালে হাওয়া দিচ্ছে তেলের অব্যাহত দরপতন। খবরে বলা হয়, হংকংয়ের হ্যাংসেং সূচক এদিন ২.৮ শতাংশ পড়ে যায়। সর্বশেষ লেনদেন হয় ১৯ হাজার ৮৮৮.৫ পয়েন্টে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটা সত্য যে, বর্তমান বাজারে বিনিয়োগকারীদের মধ্য ভয়, আশঙ্কা ও উদ্বেগ তৈরি হচ্ছে। এতে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে তারা আস্থা হারাচ্ছেন। কীভাবে এই অস্থিরতা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়- আমাদেরকে এখন সেই উদ্যোগ নেওয়া দরকার। সোমবার আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের আরও দরপতন হয়েছে। অপেক্ষাকৃত উন্নত মানের অপরিশোধিত ব্রেন্ট শ্রেণির তেল বিক্রি হয় ব্যারেল প্রতি ৩২.৮০ ডলার; যা আগের দিনের চেয়ে ৭৫০ সেন্ট কম। আর এতে জ্বালানি খাতের শেয়ারে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। অস্ট্রেলিয়ার বেঞ্চমার্কে এদিন এসঅ্যান্ডপি/এএসএক্স ২০০ সূচক ১.২ শতাংশ কমে ৪ হাজার ৯৩২ পয়েন্টে বাজার শেষ হয়। জ্বালানি খাতের কোম্পানি বিএইচপি বিলিটন ও রিও টিনটোর শেয়ারের দরপতন হয় যথাক্রমে ৪.৯ শতাংশ ও ৩.৩ শতাংশ। সরকারি ছুটি থাকায় জাপানের বাজার এদিন বন্ধ ছিল। দক্ষিণ কোরিয়ার বেঞ্চমার্কে কোসপি সূচক এদিন ১.২ শতাংশ পতনে গিয়ে ১ হাজার ৮৯৪.৭৩ পয়েন্টে বাজার শেষ করে। অন্যদিকে দক্ষিণ এশিয়ার বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ ভারতের সেনসেক্সও দিনটিতে আগের দিনের চেয়ে ১০৯ পয়েন্ট কমে দাঁড়ায় ২৪ হাজার ৮২৫ পয়েন্ট। অর্থাৎ মোট দশমিক ৪৪ শতাংশ হারে সেখানকার সূচক কমেছে। একই পরিস্থিতি করাচী স্টক একচেঞ্জেও সেখানে সব ধরনের সূচকই কমেছে। সেখানকার সার্বিক সূচকটি মোট ২১৪ দশমিক ৮০ পয়েন্ট কমে দাঁড়ায় ৩২ হাজার ৩২০ পয়েন্টে।
×