ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

আগামী বছর থেকে প্রাথমিকের সব শিক্ষার্থীকে উপবৃত্তি

প্রকাশিত: ০৫:৩০, ১৩ জানুয়ারি ২০১৬

আগামী বছর থেকে প্রাথমিকের সব শিক্ষার্থীকে উপবৃত্তি

স্টাফ রিপোর্টার ॥ আগামী বছর থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষার্থীকে উপবৃত্তি দেবে সরকার। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান এ তথ্য জানিয়ে বলেছেন, বর্তমানে প্রতিটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মোট শিক্ষার্থীর ৭০ শতাংশকে মাথাপিছু মাসিক একশ’ টাকা করে উপবৃত্তি দেয়া হয় মন্ত্রী বলেন, স্কুলগুলোর পরিচালনা পর্ষদে যারা থাকেন তারা সবাইকে উপবৃত্তি দিতে চান। এজন্য তারা স্কুলের মোট শিক্ষার্থীর সংখ্যা বাড়িয়ে দেখান। এতে দুটো সমস্যা হচ্ছেÑ প্রথমত প্রকৃত শিক্ষার্থীর সংখ্যা জানা যাচ্ছে না, আবার অতিরিক্ত বই ছাপতে হচ্ছে। মঙ্গলবার রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে শিশু অধিকার বিষয়ক সংসদীয় ককাস (পিসিসিআর) ও সেভ দ্য চিলড্রেন আয়োজিত ‘সবার জন্য প্রাথমিক শিক্ষা অধিকার’ শীর্ষক আলোচনা সভায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সংসদের ডেপুটি স্পীকার ফজলে রাব্বী। আরও বক্তব্য রাখেন ব্যারিস্টার আমির-উল ইসলাম, সংসদ সদস্য শামসুল আলম দুদু, আবুল কালাম আজাদ, হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়া, উম্মে রাজিয়া কাজল, শিক্ষক নেতা কাজী ফারুক আহমেদ ও সেভ দ্য চিলড্রেনের কান্ট্রি ডিরেক্টর টীম হোয়াইট প্রমুখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন গণস্বাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে চৌধুরী। মন্ত্রী মোস্তাফিজুর বলেন, প্রথমে আমরা ভেবেছিলাম উপবৃত্তির পরিমাণ বাড়াব। কিন্তু সবাইকে দেয়ার ইচ্ছে আছে প্রধানমন্ত্রীর। আবার আমরা ভুল হিসেবের মধ্যেও আছি। এজন্য আগামী বছর সবাইকে উপবৃত্তির আওতায় আনার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। বিভিন্ন এলাকায় সরেজমিনে গিয়ে ৫ শতাংশ বেশি শিক্ষার্থী দেখানোর প্রমাণ পাওয়া গেছে বলে জানান তিনি। বর্তমানে দেশে সরকারী ৬৩ হাজার ৪১টি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এক কোটি ৪৬ লাখ ৭১ হাজার ৯১৪ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। তবে এ সংখ্যার সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন আছে। এজন্য প্রাথমিক শিক্ষায় কত শিক্ষার্থী আছে তা নিশ্চিত হতে এবার বই দেয়ার সময় শিক্ষার্থীদের ছবি তুলে রাখা হয়েছে। পার্বত্য এলাকাসহ যেসব প্রত্যন্ত এলাকায় প্রাথমিক বিদ্যালয় নেই সেসব এলাকায় সরকার আবাসিক ব্যবস্থাসহ স্কুল নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে। এছাড়া ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর শিক্ষার্থীদের জন্য মাতৃভাষায় বই ছাপার কাজও চলছে বলেও তিনি জানান। তিনি আরও বলেন, প্রাথমিক শিক্ষায় অনেক উন্নতি হলেও প্রত্যাশার তুলনায় প্রাপ্তি আসেনিÑ এটা আমি মানি। তবে এজন্য আইন দরকার তা আমি মনে করি না। কারণ যেসব দেশে আইন হয়েছে তাদের তুলনায় আমাদের দেশে শিক্ষায় অন্তর্ভুক্তি বেশি, ঝরে পড়ার হার কম। ডেপুটি স্পীকার ফজলে রাব্বী বলেন, আমাদের উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে প্রত্যাশাও বাড়ছে। যে কারণে প্রাপ্তির সঙ্গে প্রত্যাশার ফারাক থাকছে। তবে একথা মানতে হবে, আমরা অনেক এগিয়েছি, আরও এগোতে চাই। আপনারা (আয়োজকরা) একটি সুপারিশমালা দেন। জাতীয় সংসদ অবশ্যই সেটি ইতিবাচকভাবে দেখবে।
×