স্টাফ রিপোর্টার॥ অতিরিক্ত এ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট মুরাদ রেজা বলেছেন, ১৯৭২ সালে প্রণীত মূল সংবিধানে উচ্চ আদালতের বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা জাতীয় সংসদের কাছে ছিলো। তখন তো সংবিধানের মৌলিক কাঠামোকে আঘাত করেনি। যদি সেই সময় আঘাত না করে থাকে তাহলে সেই ক্ষমতা পুনরায় জাতীয় সংসদের হাতে ফিরিয়ে আনায় সংবিধানের মৌলিক কাঠামোকে ক্ষতিগ্রস্থ করা হয়নি। কেন এবং কি কারণে আদি সংবিধানের ৯৬ অনুচ্ছেদ হুবুহু পুনস্থাপন করা হয়েছে সংসদের বক্তৃতায় তা স্পষ্ট করেছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
১৬তম সংশোধনীর বৈধতা চ্যালেঞ্জ সংক্রান্ত রিট আবেদনর পরিপ্রেক্ষিতে জারি করা রুলের চূড়ান্ত শুনানিতে আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পক্ষে তিনি এসব কথা বলেন। হাইকোর্টের বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী, বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের সমন্বয়ে গঠিত বিশেষ বেঞ্চে এ শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।
মুরাদ রেজা বলেন, সংবিধানের ১৬ তম সংশোধনীর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে আনীত জনস্বার্থমূলক মামলা মেইনটেইনবল (গ্রহণযোগ্য) নয়। কি কি ক্ষেত্রে জনস্বার্থমূলক হতে পারে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) বনাম আবু সায়ীদ খানের মামলার রায়ে আপিল বিভাগ বলে দিয়েছে। সেক্ষেত্রে এই বিষয়ে জনস্বার্থ মামলা হতে পারে না। তিনি বলেন, সুপ্রীম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের অধীনে এখন পর্যন্ত কেউ অপসারিত হয়নি। তাহলে এই পদ্ধতিকে কি কার্যকর বলা যাবে?
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: