ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

সোজা প্রশ্ন, সাফ জবাব

প্রকাশিত: ০৬:১৮, ৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

সোজা প্রশ্ন, সাফ জবাব

ক্যাটরিনা কাইফের পাশে এখনও সালমান খান! এ নিয়ে মিডিয়ায় আলোচনা যেমন আছে, রণবীর কাপুরের সঙ্গে বিচ্ছেদের সত্যি-মিথ্যা নিয়েও ফিসফিসানি কম নেই। ১২ ফেব্রুয়ারি আসছে তার নতুন ছবি ‘ফিতুর’। এসব নিয়ে কথা বলেছেন ক্যাটরিনা- রণবীর কাপুরের সঙ্গে আপনার ব্রেকআপ হয়েছে- এমন একটা ‘গুজব’ আছে। এ বিষয়ে যদি একেবারে সরাসরি হতে বলা হয় আপনাকে, কী বলবেন? দেখুন, ক্যারিয়ারের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত দেখে এসেছি, প্রফেশনাল বিষয়ের সঙ্গে ব্যক্তিগত গল্প-গুজব হাত ধরাধরি করে চলে। এক্ষেত্রে সব সময় যেমনটা করি, যেভাবে নিই, এই গুজবটিকেও একইভাবে নিচ্ছি। আমি যেটা করি- ব্যক্তিগত বিষয়গুলো নিয়ে কোন কথা বলি না। সুতরাং এসব নিয়ে কিছু বলার নেই। (যদিও অন্য এক সাক্ষাতকারে বিরক্ত হয়ে হোক, অথবা রেগে, ক্যাটরিনা বলেই দিয়েছেন ‘আমি সিঙ্গেল’) সে না হয় গেল, গত কয়েক বছরে দেখা যাচ্ছে আপনার ছবির সংখ্যা খুব কম। কারণ কি? এটা আমার পরিকল্পনাতেই ছিল। গত দু’বছর ধরে আমি বিভিন্ন কাজে মন দেয়ার চেষ্টা করছি। ১৩ বছরের ক্যারিয়ারে এমন কয়েক বছর থাকবেই, ব্যক্তিগত কারণে অন্যকিছুতে আমি মনোযোগী হব। কিন্তু এ বছর আমার ৩টি ছবি মুক্তি পাচ্ছে। এটা অবশ্যই আনন্দের। ৯ বছর ধরে প্রতি বছর আমার ৪টি করে ছবি মুক্তি পেয়েছে। সুতরাং, আমার মনে হয়, ব্যালেন্স হওয়া দরকার। এটা একঘেয়েমিও ভাঙ্গবে। কিন্তু বলিউডের মতো প্রতিযোগিতামূলক ইন্ডাস্ট্রিতে, এই ঝিমিয়ে পড়াটা কি ভাল সিদ্ধান্ত? বিশেষ করে যখন আপনার প্রতিযোগীরা অনেক প্রজেক্টে কাজ করছে? আমি প্রতিযোগিতা করি নিজের সঙ্গে। আমার তো মনে হয় যাদের নিজস্ব আইডেন্টিটি আছে, ব্যক্তিসত্তা আছে; তারা প্রত্যেকেই এমনটা করে। গত বছর আমি এক পা পেছনে সরে গিয়েছিলাম, এবং মনোযোগ দিয়েছিলাম আরও অন্যান্য কিছুর দিকে। কিন্তু এখন বেশকিছু ছবি কিন্তু করছি। কোথায় আমার মনোযোগটা যাচ্ছে, কোনদিকে, এসবের ব্যাপারে সব সময়ই আমি খুব সতর্ক। বিগ বস ৯-এর ফাইনাল এপিসোডে সালমান খান আপনাকে বলেছেন ‘সবচেয়ে কঠোর পরিশ্রমী’। যেটা আপনি করছেন, বা করেন, সেটার ভেতরে একেবারেই ডুবে যেতে পারেন? চেষ্টা করি। আমার মনে হয়, এটা ভাল দর্শন, যেটা সবার মেনে চলা উচিত। যেটা আপনি করছেন, সেটাতে আপনার যোগ্যতার সর্বোচ্চটুকু দেয়ার চেষ্টা করা উচিত। প্রত্যেকেরই উচিত। আমিও অনেক সময় অনেক কাজে শতভাগ দিতে পারিনি। ওই সমস্ত চিন্তা করলে এখনও খারাপ লাগে। সালমান খান এটাও বলেছেন যে, আপনি খুবই শক্ত মানুষ... এটা এমন একটি স্টেটমেন্ট যেটা ব্যাখ্যা করা খুবই কঠিন। এই শক্তি বলতে বিভিন্নজন বিভিন্ন রকম বোঝেন। মনে করেন, এমন একজন মেয়ে, যার নিজের পছন্দে নিজের সিদ্ধান্তে বিশ্বাস আছে, তাকেই আমি বলব একজন স্ট্রং উইমেন। এটা কি আপনি বুঝতে পারেন, বেশিরভাগ দর্শক পারফর্মেন্স নয়, আপনার সৌন্দর্যের দিকেই বেশি নজর দেয়? না। আমি এটা বিশ্বাস করি না। মাঝে মধ্যে আমরা একজন অভিনেত্রীর স্টাইল গ্ল্যামার এসবের দিকেই বেশি নজর দিই, বিশেষ করে এখন, যখন সোস্যাল মিডিয়া ও ডিজিটাল প্লাটফর্ম খুব গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু একজন অভিনেত্রী হিসেবে, যখনই আমি কোন চরিত্র করি, সেটা হোক ‘রাজনীতি’ অথবা ‘জিন্দেগি না মিলেঙ্গে দোবারা’র মতো কোন চরিত্র; আমি কিন্তু দর্শকদের কাছ থেকে একই রকম সাড়া পেয়েছি। এমনটা না যে আমার পারফর্মেন্স দর্শক দেখেই না! যখন কোন বিতর্কিত ইস্যু তৈরি হয় আপনাকে নিয়ে, তখন দেখা যায়Ñ আপনি খুব ধীরস্থির। রেগে-মেগে যাচ্ছেতাই করছেন না! এটাই কি আসল আপনি? আমি বিশ্বাস করি, কাজের জায়গায় মানুষের ব্যবহার হওয়া উচিত খুবই ভদ্র। অভিনয়, সিনেমা এটা আমার কাজ। এটা অর্থনৈতিক দিক দিয়ে হোক, অথবা পেশাগত দিক দিয়ে; একটা নিরাপত্তা বোধ দেয় আমাকে। আমি এই জায়গাটিকে তাই সেভাবেই সম্মান দিই। এমনিতে খুব মজা করি, কথা বলি; কিন্তু সেটা শুধুমাত্র পরিচিতদের সঙ্গে। আমি কিন্তু এক্সট্রোভার্ট নই। আনন্দকণ্ঠ ডেস্ক
×