ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

সংসদে আলোচনা

দেশের মানুষ এখন উন্নয়ন দেখতে চায়

প্রকাশিত: ০৭:৫৩, ৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

দেশের মানুষ এখন উন্নয়ন দেখতে চায়

সংসদ রিপোর্টার ॥ রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে বিএনপি-জামায়াত জোটের জ্বালাও-পোড়াও ও ধ্বংসাত্মক রাজনীতির কঠোর সমালোচনা করে সরকার ও বিরোধী দলের সংসদ সদস্যরা বলেছেন, দেশের ইতিহাসের পাতায় বিএনপি-জামায়াত জোট চিরদিন নাশকতাকারী, ধ্বংসকারী ও মানুষকে পুড়িয়ে হত্যাকারী বেইমানের দল হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকবেন। দেশের ১৬ কোটি মানুষ আর জ্বালাও-পোড়াও, মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা আর রক্তক্ষরণ দেখতে চায় না। তারা দেশের উন্নয়ন, অগ্রগতি দেখতে চায়, সমৃদ্ধির পথে যেতে চায়। বুধবার জাতীয় সংসদে ডেপুটি স্পীকার এ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বি মিয়ার সভাপতিত্বে আলোচনায় অংশ নেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক, সরকারী দলের ডাঃ হাবিব-এ-মিল্লাত, ডাঃ ইউনুস আলী সরকার, আবুল কালাম, হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়া, ন্যাপের আমিনা আহমেদ, জাতীয় পার্টির শওকত চৌধুরী। যথাযথ সম্মান না পাওয়ায় বাদলের ক্ষোভ ॥ চট্টগ্রামে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সম্প্রতি উন্নয়ন কাজের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্থানীয় সংসদ সদস্যদের যথাযথভাবে আমন্ত্রণ না পাওয়া সংসদে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ১৪ দলের শরিক জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সংসদ সদস্য মইনউদ্দীন খান বাদল। জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেন, ওই অনুষ্ঠানে লাখো মানুষের ঢল নেমেছিল। এত বড় সুন্দর অনুষ্ঠান। মানুষের হৃদয় স্পর্শ করেছে অনুষ্ঠানগুলো। সে সম্পর্কে সংসদে প্রশ্ন না তুললেই ভাল হতো। ডেপুটি স্পীকার ফজলে রাব্বি মিয়াও জাসদ নেতা বাদলকে বিধি অনুযায়ী বক্তব্য রাখার অনুরোধ জানান। বুধবার রাতে জাতীয় সংসদে অনির্ধারিত আলোচনা অংশ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে মইনউদ্দীন খান বাদল বলেন, তিন-চারদিন আগে চট্টগ্রামে প্রধানমন্ত্রী কিছু পরিকল্পনা এবং প্রজেক্ট উদ্বোধন করেছেন। সেখানে অনেক মন্ত্রীবর্গ ছিলেন। রেওয়াজ অনুযায়ী প্রকল্প এলাকাধীন সংসদ সদস্যদের সচরাচর সব জায়গায় উপস্থিত থাকে, এমনকি প্রধানমন্ত্রীকেও দেখি উনি তাদের ডেকে নেন। কিন্তু এই ক্ষেত্রে দেখলাম-এমন একটি জায়গায়, প্রধানমন্ত্রী একটি রাস্তার ওপর একটি প্রকল্প উদ্বোধন করলেন। যার দুই পাশে দুই সংসদ সদস্যরা উপস্থিতও ছিলেন। একজন সংসদ সদস্য আবার মন্ত্রীও বটে। তাদের কেউ কোন জায়গায় ডাকার প্রয়োজন মনে করল না। দুর্ভাগবশত আবার এই দুই জন সদস্যেই সরাসরি একজন বিরোধী দল করেন, আরেকজন ১৪ দলের শরিকের সঙ্গে জড়িত আছেন। এই কারণেই কি এই আচরণ হলো? এ সময় ফ্লোর নিয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ ডেপুটি স্পীকারের বক্তব্য সমর্থন করে বলেন, স্পীকার অত্যন্ত সঠিকভাবেই বলেছেন, মইনউদ্দীন খান বাদলের দাঁড়াবার প্রশ্ন ছিল না। আমিও গত ৩০ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে চট্টগ্রামে গিয়েছিলাম। সেদিন চট্টগ্রামে একটি মিলনমেলা অনুষ্ঠিত হয়েছিল। রাস্তায় কোন গাড়ি চলেনি। হাজার হাজার লোক রাস্তার দুই পাশে দাঁড়িয়ে প্রধানমন্ত্রীকে অভ্যর্থনা জানিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী সেখানে দেখলেন এবং জয় করে ঢাকায় ফিরে আসলেন। এ সময় বাদলকে উদ্দেশে করে তিনি বলেন, এত বড় সুন্দর অনুষ্ঠান। মানুষের হৃদয় স্পর্শ করেছে অনুষ্ঠানগুলো। সে সম্পর্কে এখানে তিনি না বললেই আমার কাছে ভাল লাগত।
×