নিয়ন বাতির নিচে বিশেষ ভঙ্গিতে দাঁড়ানো শরীরশিল্পী।
গাড়িটা ট্র্রাফিক জ্যামে দীর্ঘক্ষণ আটকে আছে, ফলে
অন্তর্ভেদী অবলোকনে আনন্দ যেন।
গভীর রহস্যে ডুবে দৃষ্টিসীমা অতিক্রম করে-
নিখুঁত শিল্পীরও থাকে কিছু গল্প কিছু ভিন্ন চিত্র
অনূদিত গল্পগুলো ক্রমশ ঝাপসা হয়, ব্যাকরণগত
ভুলে ভরা। অন্ধকার জীবনবৃত্তান্ত শুনে শুনে
অভ্যস্থ সকলে, তবু গভীরে ভাবি না।
মধ্যবয়সী একটি লোক এসে টোকা দিয়ে হেঁটে যায় পাশ
ঘেঁষে, আর শিল্পী হাসে সুনির্মল হাসি
হয়তো ভেতরের কথা: মুরদ নেই মরদ, এসেছ জ্বালাতে।
পোশাকবালক শিস দিয়ে গান গেয়ে তাকে অতিক্রম করে
হাতে তার চিরচেনা টিফিনের খালি বাক্স, এলুমিনিয়ম-
এই বাক্সে জমা হয় কত ক্ষুধা জানে ভুক্তভোগী,
জানি আমি, জানো তুমি, শিল্পী তো বটেই।
পবিত্র করার দায় সকলেরই থাকে-
কে কত দায়িত্ববান বুঝা বড় কষ্ট,
শরীরশিল্পীকে দেখি- মনে হলো ভূমিকা নিয়েছে সে-ও শরীর বিকিয়ে।
জ্যাম ছুটে গেলে পথ পিছনে ছুটবে স্বাভাবিক
আমি দ্রুত সম্মুখে ছুটছি।