ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

কালো হওয়া অপরাধ নয়

প্রকাশিত: ০৫:০২, ৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

কালো হওয়া  অপরাধ নয়

মহান সৃষ্টিকর্তা এই পৃথিবীটা অনেক রং-বেরঙের মাধ্যমে সৃষ্টি করেছেন। ফল-ফুল, তরুলতা, আকাশ-বাতাস, পশুপাখি, জীব-জানোয়ার ইত্যাদি ভিন্ন ভিন্ন রঙে এবং আকারে সৃষ্টি করেছেন। যেমন পশুপাখি, মাছ, হাঁস-মুরগি, ফল-ফুল, গরু-ছাগল ও সৃষ্টির সেরা জীব মানুষ। সকল কিছুতেই লাল-নীল, সাদা-কালো এবং হরেক রকম রঙের সংমিশ্রণ আছে। মহান সৃষ্টিকর্তার কালো মানুষগুলো কি অপরাধ করেছে যে, সকল স্থানে সকল ক্ষেত্রে কালো মানুষগুলো নিগৃহীত, অবহেলিত, বঞ্চিত! কেন কালো রঙের মানুষ অভিশপ্ত জীবনযাপন করবেন। পুরুষ মানুষরাই বিয়ে করে জীবনসঙ্গী বানাতে চাই সুন্দর মেয়ে। এক থেকে দশ-বিশ পর্যন্ত মেয়ে দেখতেও কার্পণ্য করি না। আর যাই হোক, যাকে বিয়ে করে জীবনসঙ্গী করে ঘরে আনব তাকে অবশ্যই সুন্দরী-সুশ্রী হতে হবে। প্রশ্নটা এখানেই- তাহলে বিধাতার সৃষ্টি কালো মেয়ে মানুষগুলোর অপরাধ কোথায়? সবাই যদি সুন্দর চাই, কালো মেয়েদের কে নেবে? রং কালো মন তো কালো নয়। ভেবে দেখুন ছেলেপক্ষ যখন মেয়ে দেখতে আসে সবকিছুই পছন্দ হয়েছে যেমন- কথাবার্তা, আচার-ব্যবহার, বাড়িঘর, শিক্ষা-দীক্ষা, ভদ্রতা-নম্রতা, সভ্যতা পরিবেশ ইত্যাদি। কিন্তু মেয়েটি কালো তাই ঘটকের মাধ্যমে পরে জানিয়ে দেয়া হয় মেয়ে পছন্দ হয়নি। একটু ভাবুন তো এই কথাটি শোনার পর বিধাতার সৃষ্টি কালো রঙের মেয়েটির মনের অবস্থা কেমন হতে পারে? নিজের কাছে নিজেকেই লজ্জিত মনে হয়, নিজেকে অপরাধী মনে হয়। আরেকটু ভাবুন, সিনেমায় নায়িকা সুন্দর হতে হবে। যথেষ্ট প্রতিভা আছে কিন্তু রং কালো, কাজেই নেয়া হবে না। প্রতিভার মূল্যায়ন না করে রঙের মূল্যায়ন অনেক বেশি কেন? বাংলাদেশে বর্তমানে অনেক টিভি চ্যানেল প্রতিষ্ঠা হয়েছে। সংবাদ পাঠিকা নিয়োগ হয়েছে অনেক, হচ্ছেও। কিন্তু ওই যে শিক্ষা আছে, প্রতিভা আছে, জ্ঞান আছে, অভিজ্ঞতাও আছে; নেই শুধু রংটুকু। কাজেই চাকরি পাবে না। বিমানবালা তাতেও একই অবস্থা। বিভিন্ন অফিসে রিসিপশনিস্ট, সেখানেও সুন্দর হতে হবে। ফ্যাশন শো। সেখানেও সুন্দর হতে হবে। প্রশ্ন, বিধাতার সৃষ্টি কালো রঙের মেয়েরা যাবে কোথায়? কালো হওয়াটা কি সত্যিই অপরাধ? কাজী নুরুল আমিন শ্রীনগর, মুন্সীগঞ্জ আলোকিত বাজরা গ্রাম ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার ঘোষণা অনুযায়ী দাউদকান্দি প্রত্যন্ত গ্রামগুলোতে বিদ্যুত সংযোগ দেয়া শুরু করেছে, কুমিল্লা পল্লী বিদ্যুত সমিতি-৩। তারই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি উপজেলার ১নং দাউদকান্দি উত্তর ইউনিয়নের বাজরা গ্রামকে আলোকিত করা হয়েছে। এ উপলক্ষে পুরো গ্রাম ঘিরে আলোক উৎসবের আয়োজন করা হয়। খুশির জোয়ারে ভাসছে বাজরা গ্রামটি। সম্ভাবনাময় বাজরা গ্রামটিতে বিদ্যুত সংয়োগের জন্য স্বাধীনতার পরবর্তী ৪৪ বছর পর্যন্ত এই গ্রামের বাসিন্দাদের একটাই দাবি ছিল। তাদের দীর্ঘদিনের দাবি অবশেষে পূরণ হয়েছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মেজর জেনারেল (অব) সুবিদ আলী ভূঁইয়া এমপির মাধ্যমে। প্রথম পর্যায়ে বাজরা গ্রামের ৩৭০টি গৃহে একযোগে পল্লী বিদ্যুতের সংযোগ দেয়া হয়। প্রথম বিদ্যুত সংযোগ পেয়ে বাজরা গ্রামবাসীদের মধ্যে এখন আনন্দের বন্যা বইতে শুরু করেছে। বাজরা গ্রামের নারী-পুরুষ থেকে শুরু করে সকল বয়সের বাসিন্দারা প্রত্যন্ত এ গ্রামাঞ্চলের বাসিন্দাদের ৪৪ বছরের স্বপ্ন পূরণ করার জন্য জননেত্রী শেখ হাসিনা ও জেনারেল ভূঁইয়াকে শুভেচ্ছা, অভিনন্দন ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছে। মোঃ ছালামত প্রধান শামীম দাউদকান্দি, কুমিল্লা।
×