ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

শুরু হলো বিশ্বের ৮০ প্রতিষ্ঠানের অংশগ্রহণে

ঢাকা আর্ট সামিটে চোখে জল এনে দিচ্ছে গণহত্যার ক্যানভাস

প্রকাশিত: ০৫:০৯, ৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

ঢাকা আর্ট সামিটে চোখে জল এনে দিচ্ছে গণহত্যার ক্যানভাস

স্টাফ রিপোর্টার ॥ শিল্পসম্ভারে সেজেছে জাতীয় চিত্রশালার নিচতলা থেকে চতুর্থ তলা। এক আঙিনায় উপস্থাপিত হয়েছে দেশ-বিদেশের খ্যাতিমান ও প্রতিশ্রুতিশীল শিল্পীদের কাজ। বৈভবময় সেই শিল্পরসে মুগ্ধ হচ্ছেন শিল্পানুরাগীরা। শিল্পী ও শিল্পানুরাগীদের এ মিলনমেলায় দেখা মিলছে অনবদ্য সব চিত্রকর্ম থেকে শুরু করে নয়নজুড়ানো ভাস্কর্য, স্থাপনাশিল্প, আলোকচিত্র, পারফর্মিং আর্ট, এদেশের স্থাপত্যবিদ্যার চিত্ররূপসহ বহুমাত্রিক শিল্প। আর এমন অশেষ সৌন্দর্যের আভায় শুরু হলো দক্ষিণ এশীয় আর্টের সবচেয়ে বড় আয়োজন ঢাকা আর্ট সামিট ২০১৬। দক্ষিণ এশিয়ার শিল্পীদের সঙ্গে বিশাল এ শিল্পযজ্ঞে যোগ দিয়েছেন ইউরোপ ও আমেরিকার শিল্পীরাও। সব মিলিয়ে এক ছাদের নিচে দৃশ্যমান হয়েছে বিশ্বের নানা প্রান্তের নানা মেজাজ ও ভিন্নধর্মী শিল্প-সমাহার। সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় যৌথভাবে এই শিল্প সম্মেলনের আয়োজন করেছে সামদানি আর্ট ফাউন্ডেশন ও বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি। বিগত দু’টি সম্মেলনের সাফল্যের পর এবার বসেছে তৃতীয় আসর। শুক্রবার সূচনা হয় দক্ষিণ এশীয় শিল্পকর্মের বৃহত্তম আয়োজন ঢাকা আর্ট সামিটের। চার দিনের সামিটে অংশ নিচ্ছেন বাংলাদেশ ছাড়াও বিভিন্ন দেশের তিন শতাধিক চিত্রশিল্পী-ভাস্কর, আলোকচিত্রী, কিউরেটর, শিল্প-সমালোচক, আর্ট প্রফেশনাল, শিল্প সংগ্রাহক ও স্থপতি। এই শিল্প সম্মেলনে এশীয় চিত্রকলার বেশ কয়েকজন প্রখ্যাত চিত্রশিল্পীর শিল্পকর্ম দেখার যেমন সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে তেমনি শিল্পীর সঙ্গে শিল্পবোদ্ধা কিংবা শিল্পরসিকের সঙ্গে শিল্পীর সান্নিধ্য পাওয়ার সুযোগ ঘটেছে। আয়োজনে যুক্ত হয়েছে বিশ্বের নামীদামী প্রায় ৮০টি প্রতিষ্ঠান। এর মধ্যে রয়েছে আন্তর্জাতিক জাদুঘর টেইট মডার্ন, মিউজিয়াম অব আর্ট নিউ ইয়র্ক, রুবিন মিউজিয়াম, হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটি, সুইস আর্টস কাউন্সিল প্রভৃতি। শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় চিত্রশালায় এই শিল্প-সম্মেলনে চতুর্থ তলার দু’টি প্রদর্শনী কক্ষে দেশের প্রদর্শনালয়গুলোর তত্ত্বাবধানে সাজানো হয়েছে বাংলাদেশের শিল্পীদের কাজ দিয়ে। এখানে বিশেষভাবে নজর কাড়ে একাত্তরের প্রেক্ষাপটে নির্মিত শিল্পীর শিল্পকর্ম। বিশাল স্থাপনাশিল্প ও চিত্রপটের আশ্রয়ে জাতিসত্তার স্মারক সেই শিল্প সৃজনের পথে হেঁটেছেন রোকেয়া সুলতানা। মুক্তিযুদ্ধের প্রত্যক্ষদর্শী শিল্পীর শিল্পে উঠে এসেছে খরস্রোতা একাত্তর। হঠাৎ করে যেন চোখের সামনে হাজির হয় ঝুলিয়ে রাখা কয়েকটি রাইফেল। বাঁশ, বেত ও খড়ের আশ্রয়ে গড়া রাইফেলগুলোর পেছনে বিশাল ক্যানভাস। ওই ক্যানভাসের কালো হরফে লেখা হয়েছে একাত্তরে স্বাধীন বাংলা বেতারে পরিবেশিত বেশ কিছু গানের চরণ। মাঝে জুড়ে দেয়া হয়েছে স্কুল শিক্ষার্থীদের ছোট ছোট কয়েকটি পোশাক। এর ভেতর থেকে উদ্ভাসিত হয়েছে মায়ের হাত ধরে নিরাপদ আশ্রয়ের সন্ধানে পালিয়ে বেড়ানোর এক শিশুর চিত্রকর্ম। শিল্পটির শিরোনাম দেয়া হয়েছে মায়ের পুটুলি। আরেকটি চিত্রপটের শিরোনাম দিয়েছেন একাত্তরের স্মৃতি। বিশাল ক্যানভাসের জমিনে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পাকবাহিনীর নৃশংসতার চিত্র। এর উপরের স্তরে দেখা যায়, রণাঙ্গনে ঝাঁপিয়ে পড়া মুক্তিযোদ্ধাদের বীরত্বগাথা। দেখা মেলে নিরাপদ আশ্রয়ের সন্ধানে শরণার্থীদের ভিটাভূমি ছেড়ে যাওয়ার দৃশ্য। চিত্রপটের একেবারের উপরের অংশে শিল্পী এঁকেছেন বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক সাতই মার্চের ভাষণের চিত্রকল্প। তর্জনী উঁচিয়ে জাতির জনক শেখ মুজিবুর রহমান পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে বেরিয়ে আসার ঘোষণা দিচ্ছেন। রোকেয়া সুলতানার সাতটি শিল্পকর্মেরই বিষয় হয়েছে মুক্তিযুদ্ধ। আপন শিল্পকর্ম প্রসঙ্গে শিল্পী বলেন, একাত্তর সরাসরি তাড়িত করেছে আমাকে। আমার বাবা তখন অংশ নিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধে আর মায়ের সঙ্গে আমরা পরিবারের সদস্যরা নিরাপদ আশ্রয়ের সন্ধানে ছুটে গেছি এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায়। সেই অনুভূতি থেকেই আমার সব শিল্পকর্মে উঠে এসেছে স্মরণীয় একাত্তর। স্বদেশের প্রতি মমত্ববোধ থেকে প্রতিটি শিল্পকর্ম সৃজনেই দেশজ উপকরণের ব্যবহার করেছি। অন্যদিকে এই শিল্পীর প্রদর্শনীর স্মারকগ্রন্থে যেন শিল্পীকে নতুন করে আবিষ্কার করেন প্রাবন্ধিক ও ইতিহাসবিদ অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন। তাঁর ভাষ্যে, এ রোকেয়া ভিন্ন রোকেয়া। আগে যেখানে তাঁর বিষয় ছিল নিসর্গ কিংবা নারী এখানে বিষয় হয়েছে মুক্তিযুদ্ধ, যা নিয়ে এই শিল্পী ভাবলেও কখনও আঁকেননি। মুক্তিযুদ্ধের সময় রোকেয়া ছিলেন কিশোরী। কিশোরীদের তখনকার মায়ের যন্ত্রণাটা আসলে বলে বোঝানো যায় না। এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় মেয়েকে নিয়ে লুকিয়ে থাকাটা ছিল সে সময়ের নিত্যদিনের ঘটনা। এ কথার পর ইতিহাসবিদ বলেন, রোকেয়া একটি ক্যানভাসে তিনটি ঘটনা বিবৃত করেছেন। প্রথমত, মুক্তিযুদ্ধের অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধুর সাতই মার্চের ভাষণ যেখানে স্বাধীনতার ঘোষণা সোচ্চার। দ্বিতীয়ত, তারই পরিণতিতে ২৬ মার্চ স্বাধীনতা ঘোষণা ও গণহত্যা শুরু এবং গণহত্যার ভয়াবহতা থেকে নিস্তার পাওয়ার জন্য বাস্তুভিটা ত্যাগ করে শরণার্থী হওয়া। শুক্রবার সকালে জাতীয় চিত্রশালা মিলনায়তনে প্রধান অতিথি হিসেবে ঢাকা আর্ট সামিটের উদ্বোধন করেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন এবং সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন সামিটের চেয়ারম্যান ফারুক সোবহান। স্বাগত বক্তব্য রাখেন সামদানি আর্ট ফাউন্ডেশনের সভাপতি নাদিয়া সামদানি। সভাপতিত্ব করেন শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী। আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির পাশাপাশি সাংস্কৃতিক চেতনায় উন্নয়ন একান্ত প্রয়োজন। একইসঙ্গে দেশের সাংস্কৃতিক ধারাকে দেশের গ-ি পেরিয়ে বহির্বিশ্বে বিস্তৃত করাটাও জরুরী। এই সামিট বিশ্বের সঙ্গে সেই যোগাযোগ করে তুলছে সন্দেহ নেই। এই আয়োজন এশীয় চারুকলার মধ্যে সবচেয়ে বড় হওয়ায় তা নিয়ে আমরা গর্ব করতে পারি। রাশেদ খান মেনন বলেন, শিল্পমনা জাতি হিসেবে বাংলাদেশের সুনাম রয়েছে। ঢাকা আর্ট সামিট শুধু বাংলাদেশের জন্য নয়, বিশ্বের জন্য খুবই গুরুত্ব পূর্ণ একটি আয়োজন। আসাদুজ্জামান নূর বলেন, রাজনৈতিভাবে সব সময় অশুভ শক্তি মোকাবেলা করা যায় না। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ধারা এই অশুভ শক্তিকে প্রতিহত করতে পারে। সে কারণেই এ ধরনের আন্তর্জাতিক মানের সাংস্কৃতিক আয়োজনের পৃষ্ঠপোষকতা দেয়া জরুরী। ফারুক সোবহান বলেন, এই শিল্প-সম্মেলনকে ঘিরে দেশের মানুষের মাঝে যেমন আগ্রহ জন্মেছে, তেমনি বিশ্বের বিভিন্ন দেশেও সৃষ্টি হয়েছে ব্যাপক কৌতূহল। গত দু’বারের তুলনায় এবারের আয়োজন আরও বর্ণাঢ্য ও তাৎপর্যপূর্ণ।’ নাদিয়া সামদানি জানান, সময়ের দাবি পূরণে এবার ঢাকা আর্ট সামিটের তৃতীয় সংস্করণে বেশ কিছু নতুনত্ব আছে। সেসব আয়োজন শিল্পবোদ্ধাদের কাছে বিশেষভাবে আকর্ষণীয় হবে। পৃথিবী থেকে যেন ক্রমশ প্রকৃতি বিলীন হচ্ছে। তবে সবাই যেন এ বিষয়ে অসচেতন। মানুষকে সে সচেতনতার কথাই বলছেন মিযানমারের শিল্পী তুন উইন আডং। শিল্পীর বলবার ভাষাটি চমকে দেয় শিল্পরসিকদের। মনে করিয়ে দেবে বনাঞ্চলের স্মৃতি। জাগিয়ে তোলে বনাঞ্চল নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবার শঙ্কা। ছয়টি দৃশ্যপট ও সাতটি ভিডিওর মাধ্যমে মিয়ানমারের এই শিল্পী ফুটিয়ে তুলেছেন তার শিল্পকর্ম। বাংলাদেশের শিল্পী সুমন আহমেদ আলো ফেলেছেন অন্য দিকে। গুয়ানতামো বে কারাগারে আটক একজন বাংলাদেশীকে নিয়ে কাজ করেছেন তিনি। মুবারক হুসাইন বিন আবুল হাশেম নামের সেই ব্যক্তিকে নিয়ে ভিডিওচিত্রের সঙ্গে শব্দের সংযোগ মেলে ধরেছেন কারাগারের নির্যাতনের ভয়াবহতা। চিত্রশালার ৫ ও ৬ নং গ্যালারি দুটি সাজানো হয়েছে বাংলাদেশের প্রখ্যাত শিল্পীদের শিল্পকর্ম দিয়ে। তাদের মধ্যে রয়েছেন রফিকুন নবী, হাশেম খান, জামাল আহমেদ, শেখ আফজাল, শাহাবুদ্দিন আহমেদ, মুর্তজা বশীর, কনক চাঁপা চাকমা, মনিরুল ইসলাম, শহীদ কবির, হামিদুজ্জামান খান, রোকেয়া সুলতানা, ফরিদা জামান, কালিদাস কর্মকার, আবুল বারক আলভী, সমরজিৎ রায় চৌধুরী, রণজিৎ দাস, শামীম সুব্রানা প্রমুখ। সাতচল্লিশের দেশভাগ থেকে একাত্তরের স্বাধীনতা সংগ্রামের আগ পর্যন্ত দক্ষিণ এশীয় শিল্পের ধারা নিয়ে সাজানো হয়েছে ‘রিওয়াইন্ড’ বিভাগ। উপমহাদেশের কিংবদন্তি শিল্পীদের কাজ নিয়ে সাজানো হয়েছে এই বিভাগ। এখানে আছে বাংলাদেশের তিন পথিকৃৎ শিল্পীর চিত্রকর্ম। তাঁরা হলেনÑসফিউদ্দিন আহমেদ, এসএম সুলতান ও রশীদ চৌধুরী। অন্য দেশের শিল্পীদের মধ্যে রয়েছেন ভারতের মনিকা কোরেয়া, আকবর পদ্মশ্রী, কৃষ্ণ রেড্ডি ও অর্পিতা সিং। পাকিস্তানের শিল্পীদের মধ্যে রয়েছে-জহুর উল আখলাক ও আনোয়ার জালাল শেমজার কাজ। মিয়ানমারের শিল্পীদের মধ্যে রয়েছেন জার্মেইন ক্রুরল ও বেগি অং সোয়ে। শ্রীলংকার লিওনেল ওয়েন্ড। এই শিল্প সম্মেলনে এশীয় চিত্রকলার নামী-দামী শিল্পী ও গ্যালারি কিউরেটরের তত্ত্বাবধানে একাধিক প্রদর্শনী চলছে। তবে চিত্রশালার ২ নং গ্যালারিটি একটু ভিন্ন। এই গ্যালারিতে বাংলাদেশের ১৩ জন প্রতিশ্রুতিশীল শিল্পীর কাজ প্রদর্শিত হচ্ছে। শিল্পীরা হলেনÑঅসিত মিত্র, অতিশ সাহা, ফারজানা আহমেদ ঊর্মি, গাজী নাফিস আহমেদ, পলাশ ভট্টাচার্য, রফিকুল শুভ, রাসেল চৌধুরী, রূপম রায়, সালমা আবেদীন পৃথ্বী, শামসুল আলম হেলাল, শিমুল সাহা, সুমন আহমেদ ও জিহান করিম। তাঁদের মধ্য থেকে একজনকে সামদানি আর্ট এ্যাওয়ার্ড তুলে দেয়া হবে সামিটের শেষ দিনে। শিল্পকর্মের পরিচিতি ছাড়াও বাংলাদেশী স্থপতিদের বিশে^র দরবারে তুলে ধরার আরেক প্রয়াস হিসেবে স্থাপন করা হয়েছে আলাদা একটি কর্নার। কিংবদন্তি স্থপতি মাযহারুল ইসলামকে উৎসর্গীকৃত এই কর্নারে বাংলাদেশের ১৭ স্থপতির নজরকাড়া স্থাপত্য নকশা প্রদর্শন করা হচ্ছে। স্থপতিদের মধ্যে রয়েছেনÑস্থপতি শামসুল ওয়ারেস, সাইফ উল হক, জালাল আহমাদ, নাহাস আহমেদ খলিল, রাজিউল হাসান, উত্তম কুমার সাহা, রফিক আজম, এহসান খান, মোস্তফা খালিদ পলাশ, এনামুল করিম নির্ঝর, কাশেফ মাহবুব চৌধুরী, মেরিনা তাবাসসুম, সালাহউদ্দিন আহমেদ প্রমুখ। বেঙ্গল গ্যালারি, গ্যালারি কসমস, গ্যালারি কায়া, গ্যালারি চিত্রকসহ দেশের ১১টি স্বনামধন্য গ্যালারি অংশ নিচ্ছে এই আয়োজনে। সামিটে প্রদর্শিত হচ্ছে দেশ-বিদেশের ১৭ জন শিল্পীর ১৭টি একক শিল্পকর্ম। যাদের একক শিল্পকর্ম রয়েছে তাঁরা হলেন বাংলাদেশের মুনেম ওয়াসিফ, মুস্তাফা জামান ও সুমন আহমেদ, মিয়ানমারের তুন উইন অডং ও ওয়াহ নু এবং পো পো, যুক্তরাষ্ট্রের রিন্ডা বেঙ্গলিস, মালয়েশিয়ার সিমরিন গিল, পাকিস্তানের ওয়াকাস খান, ভারতের নয়াদিল্লির দয়ানিতা সিং, ভারতের মুম্বাইয়ের শকুন্তলা কুলকার্নি ও ব্যাঙ্গালুরের প্রভাভাথি মেপাইল, যুক্তরাজ্যের হারুন মির্জা, প্যারিসভিক্তিক যুক্তরাষ্ট্রের আমানুল্লাহ মোজাদিদি, যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ভারতের শিল্পী সন্দীপ মুখার্জি, জার্মানিভিত্তিক যুক্তরাজ্যের শিল্পী টিনো শেহগাল, যুক্তরাজ্যের ক্রিস্টোফার কুলেনড্রান থমাস। সবার জন্য উন্মুক্ত এই শিল্প সম্মেলন চলবে ৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে শুরু হয়ে চলবে রাত ১০টা পর্যন্ত। ৭ ও ৮ ফেব্রুয়ারি থাকছে শিশুদের জন্য বিশেষ আয়োজন।
×